উদ্দিষ্ট বিষয়: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছােটোগল্পে উচ্ছব নাইয়া মন্তব্য করেছে যে, সতীশবাবু ভাত না খেতে পারার জ্বালা বুঝতে পারবে না। সতীশবাবু অবস্থাপন্ন গৃহস্থ। উচ্ছবদের মতাে নদীর পাড়ে তার বাড়ি নয় আর মেটে ঘরেও সে থাকে না। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে তার পাকা বাড়ি তাই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি ধান, চালও সে পাকা ঘরে রেখেছে। ফলে চোর ডাকাতের পক্ষেও তা চুরি করা সম্ভব নয়। দেশজুড়ে যখন দুর্যোগ চলছিল, লঙ্গরখানা খােলা হয়েছিল, তখনও সতীশবাবুর ঘরে রােজ রান্না হয়েছে। তাই ঘরবাড়ি এবং স্ত্রী-পুত্র হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে-পড়া উচ্ছবদের মতাে হতদরিদ্র মানুষের ক্ষুধার জ্বালা সতীশবাবুর মতাে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা লােকেরা কিছুতেই বুঝতে পারবে না।
সতীশবাবুর আচরণ : মাতাল মাতলা নদীর আগ্রাসী ঢেউয়ে উচ্ছব ভিটেমাটি, স্ত্রী-সন্তানদের হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। খিদের জ্বালায় সতীশবাবুর কাছে উচ্ছব একদিন ভাতের প্রার্থনা করে। উচ্ছবকে খেতে দিলে পঙ্গপালের মতাে দলে দলে অভুক্ত মানুষ তার কাছে এসে জড়াে হবে এই বলে সতীশবাবু তাকে খাবার না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। সতীশবাবু উচ্ছবকে জানায় যে, ভগবানের মারের হাত থেকে সে উচ্ছবকে বাঁচাতে পারবে না। সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে একরকম অমানবিক আচরণই করেছিল।
Leave a comment