সংজ্ঞাঃ

দুন উপত্যকার উত্তরে আছে হিমাচল পর্বতশ্রেণীর নাগটিব্বা ও মুসৌরী পর্বত । এই পর্বতদুটির পূর্বদিকে অনেকগুলি হ্রদ দেখতে পাওয়া যায় । এদের তাল বলে । এই অঞ্চলে “তাল” বলতে হ্রদকে বোঝায় ।

উদাহরণঃ নৈনিতাল, ভীমতাল, নাউকুচিয়াতাল, সাততাল, পুনতাল, বাসুকিতাল প্রভৃতি এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য তাল ।

বৈশিষ্ট্যঃ এর বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ

  • হিমালয় পর্বতমালার পর্যায়ক্রমিক উত্থান-নিমজ্জনের ফলে অবনত অংশে তাল সৃষ্টি হয়েছে ।
  • তালগুলি আশেপাশে উঁচু পর্বতাঞ্চল দ্বারা পরিবেষ্টিত । 
  • জলের সংস্থানজনিত কারণে তালের আশেপাশে জনবসতি ও অন্যান্য মনুষ্য কার্যাবলী গড়ে উঠেছে ।
  • এই অঞ্চলের জলবায়ু পার্শ্ববর্তী অন্যান্য অঞ্চলগুলির তুলনায় অনেক অনুকূল । 
  • অসাধারণ ভূনৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে এই অঞ্চলগুলি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । 

তাল ও দিয়ারা কাকে বলে?
উত্তর:
তাল অঞ্চল: ‘তাল’ শব্দের অর্থ জলাভূমি। কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহের পশ্চিম ভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত কালিন্দী নদীর পূর্বভাগের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নীচু ভূভাগকে তাল সমভূমি বলে। ভূপ্রাকৃতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চলটি আসলে একটি নিম্নভূমি, যা জলাভূমি ও বিলে পরিপূর্ণ। নিম্নভূমি বলে বর্ষাকালে এই অঞ্চলটি জলে প্লাবিত হয়। পলিগঠিত, কাদামিশ্রিত ও মিহিদানাযুক্ত মৃত্তিকায় গঠিত তাল অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর।

দিয়ারা অঞ্চল: মালদহ জেলার কালিন্দী নদীর দক্ষিণাংশের ভূমি দিয়ারা নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি নবীন পলিগঠিত বলে অত্যন্ত উর্বর ও ঘনবসতিপূর্ণ।