(১) অ্যানালগ কম্পিউটার: বিভিন্ন যন্ত্রের ভৌত পরিসংখ্যান নির্ণয় করার জন্য অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। যেমন স্ফিগমােম্যানােমিটার দ্বারা রক্তচাপ নির্ণয়। ভোল্ট মিটারের সাহায্যে ভোল্টেজ পরিমাপ, থার্মোমিটারের সাহায্যে উত্মতা পরিমাপ।
(২) ডিজিটাল কম্পিউটার : এই জাতীয় কম্পিউটার গাণিতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে। এই মেশিনে ল্যাঙ্গুয়েজ ০-১ দ্বারা গঠিত, লেখাগুলি বুঝতে সক্ষম। ডিজিটাল কম্পিউটারকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
(a) মাইক্রো কম্পিউটার : যেমন— পামটপ, ল্যাপটপ, নোটবুক।
(b) মিনি কম্পিউটার : যেমন- HP3000, NOVA, SSD 92, DEC ইত্যাদি। এই কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং কাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
(c) মেইনফ্রেম কম্পিউটার : মিনি ও মাইক্রো কম্পিউটারের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। এগুলি বিমান, রেল, ব্যাংকিং লেনদেন ইত্যাদি পরিসেবায় ব্যবহৃত হয়।
(d) সুপার কম্পিউটার : সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী ও মূল্যবান কম্পিউটার হল সুপার কম্পিউটার। যেমন CRAY-1, PARAM 2000 ইত্যাদি।
(৩) হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer) : অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় প্রকারের সমন্বয় হল হাইব্রিড কম্পিউটার। রোগীর রক্তচাপ, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া মাপা হয় এই ধরনের কম্পিউটারের সাহায্যে।
Leave a comment