ঢাকা মেট্রো রেল বাঙালিদের স্বপ্নের একটি রেল। এই ঢাকা  মেট্রোরেলের
জয়যাত্রায় ঢাকা শহর হবে আরো সমৃদ্ধ হবে দূষণমুক্ত একটি মুক্ত শহর। বাঙ্গালীদের
এই স্বপ্নের ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে আমার আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ঢাকা মেট্রো রেল সম্পর্কে তোমাদের দশ ১০টি অথবা ১৫ টি
বাক্য লিখতে আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যদি তোমরা দশ ১০টি বা পনেরো ১৫ টি বাক
মুখস্ত করো পরীক্ষার হলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তোমরা অবশ্যই একটু
বেশি মুখস্ত করবে। আমি তোমাদের জন্য ২০ টা বাক্য লিখে দিলাম। আশা করি তোমাদের
অনেক উপকার হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে বিস্তারিত

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে বিস্তারিত

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণ পরিবহন ব্যবস্থা হলো ঢাকার
মেট্রোরেল। ঢাকা নগরবাসীর প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বাড়ছে কারণ ঢাকায় যানবাহন ও
প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ঢাকা-বাসীকে প্রহাতে হচ্ছে সীমাহীন কষ্ট কারণ স্বল্প দূরত্বে
যেতে ও তাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। জনবহুল ঢাকা নগরবাসীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন
সমস্যা ও পথের দূরত্ব  সহ যানজট কমাতে ২০১৩ সালে কৌশল গত পরিবহন ও পরিকল্পনা
প্রণয়ন করা হয়।

এবং এর ওই পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা করা হয় ঢাকা মেট্রোরেল স্থাপনের এবং এই
পরিকল্পনার কারণে মেট্রোরে নিয়ান্ত্রিক সংস্থা ঢাকা ম্যাচ ট্রানজিট কোম্পানি
লিমিটেড। ঢাকা মেট্রো লাইনের সংখ্যা তিন ৩ টি থেকে পাঁচ ৫টি করা হয় ২০১৬ সালে
প্রণীত সংশোধিত কৌশরগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত
প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য ২১. ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬ কে নির্ধারণ
করা হয়।

 এম আর কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০১৮
সালে বুয়েটের একটি সমীক্ষা হয় এবং সেই সমীক্ষায় দেখা যায় যে বার্ষিক চার ৪
দশমিক চার ৪  বা ৪.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় শুধু ঢাকা শহরে যানজটের জন্য।
জাতীয় বাজেটের শতকরা ১০% এর বেশি ঢাকা মহানগরীতে ৫0 লাখ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে
শুধু মাত্র যানজটের কারণে।

যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন
মানুষের হাটার গতির মত যানবাহনের গতীয় ঘন্টায় পাঁচ ৫ কিলোমিটার চলে এসেছে। অথচ
আজ থেকে ১২ বছর আগে ঢাকায় যানজটের গতি ছিল ঘন্টায় প্রায়.২১ কিলোমিটার।

আরো পড়ুনঃ নিয়মানুবর্তিতা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

২০৩০ সাল নাগাদ বিএমটিসিএলও জাইকা পরিকল্পনা করেছে ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬
মেট্রো রেল লাইন নির্মাণের। এই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ৫৩ টি গর্ভস্থ ও
৫১ টি ওরাল স্টেশন করতে পারবে। এই ছয় ৬টি লাইন মেট্রোরেল হলো ঢাকা বাসির
যাতায়াতের একটি সুবিধা জনক মাধ্যম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ
হাসিনা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেট্রো রেল উদ্বোধন করেন।

এবং এই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়। সরকার
মেট্রোরেলের সিদ্ধান্ত নেন যানজট নিরসনের লক্ষ্যে। আর এই লক্ষ্যেই ডিএম সিটি এল
গ্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়। রেপিড ট্রানজেকশন ডেভেলপমেন্ট
প্রজেক্ট লাইন এর মাধ্যমে প্রথম প্রকল্প হিসেবে নেওয়া হয়।

আর এই লাইন এখন ৬ নামে পরিচিত। প্রকল্প টি কমলাপুর থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি
পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে আংশিক মেট্রো রেল চালু হয় ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর
জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। শুরুতে শুধু উত্তরা, উত্তর দিয়া বাড়ি
ও আগারগাঁও এই দুটি স্টেশনে থামতো। এরপর ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন
খুলে দেয়া হয়।

মেট্রোরেলের ইতিহাস

ঢাকা ও বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল প্রথম হলেও উপমহাদেশের জন্য মেট্রোরেল নতুন
নয়। বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মেট্রোরেল এসেছে অনেক পরে। বিশ্বে ১৮৬৩ সালে
প্রথম লন্ডন আন্ডার গ্রাউন্ডে মেট্রো রেল চালু হয়। এর ১২0 বছর পর ভারত
উপমহাদেশের কলকাতায় মেট্রোরেল চালু হয় এবং এ মেট্রোরেল আধুনিক জীবন ব্যবস্থার
অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

এরপর ব্যাঙ্গালুরু, হায়দারাবাদ, দিল্লী ও চেন্নাই এ মেট্রোরেল সার্ভিস চালু হয়।
এছাড়া মেট্রোরেল আছে পাকিস্তানের লাহোরে। দক্ষিণ এশিয়ায় মেট্রোরেলের ইতিহাসে
সবার পরে উঠেছে বাংলাদেশের নাম। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ
মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হয়। ১১.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯ টি স্টেশন যুক্ত এই অংশ
ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

১৯২০ সালে কলকাতায় মেট্রো রেল বসানোর কথা থাকলেও সেটি বসানো হয়নি। এর প্রায়
চার ৪ দশক পর অর্থাৎ ১৯৬৯ সালে মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট শুরু হয়
কলকাতায় নির্মাণ কাজ । ১৯৭২ সালে সেটি অফ জয় খ্যাত কলকাতা শহরে ১২ বছর পর চালু
হয় মেট্রো রেল।

প্রকল্পের বর্ণনা

২০১২ সালে সরকার মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে কিন্তু ২০১৭ সালে এর কার্যক্রম শুরু
হয়। আর জায়কা বা জাপান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা রয়েছে এই প্রকল্পের সহযোগী
হিসাবে।

এমআরটি লাইনঃ এক ১ (বিমানবন্দর যাত্রা পথ)

এমআরটি লাইন এক ১ নামক লাইনে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১৯ সালের ১৫
অক্টোবর। আর এ প্রকল্পের আওতায় ছিল নতুন বাজার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত
মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার। মেট্রো রেল নির্মিত হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা এই 
প্রকল্পের খরচ হিসেবে ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা
আর জাইকা বা জাপান সরকার দিবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

এমআরপিএফ প্রকল্পে পাতাল পথ হবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ . ২১
কিলোমিটার আর উড়াল পথ হবে কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার
এবং ৩.৬৫ কিলোমিটার হবে নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন
লাইনসহ ৩১.২৪ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে।

আরো পড়ুনঃবাংলাদেশের উৎসব রচনা সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত

এই মেট্রোরেলের সাত ৭ টি স্টেশন থাকবে ওরাল সেতুর উপরে এবং বারো ১২ টি স্টেশন
থাকবে মাটির নিচে। দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল হবে এমআরটি লাইন এক ১।

এমআরটি লাইন ১ (পূর্বাচল যাত্রাপথ)

২০২৮ সাল নাগাদ নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ  ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৭ কিলোমিটার
উড়াল পথের কাজ শেষ হতে পারে। এই কাজ শেষ হলে খুব দ্রুত সময়ে অর্থাৎ মাত্র. ২0
মিনিটে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ যাওয়া যাবে।

এমআরটি লাইন দুই ২

বাংলাদেশ সরকার ও জাপান সরকার সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এই মর্মে যে, ২০২৩
সালের মধ্যে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত পাতাল  ও উড়াল সমন্বয়ে
প্রায় ২৪ কিলোমিটার  দীর্ঘ ডি ২ জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে এম আর টি লাইন
দুই ২ নির্মাণ করা হবে।

এমআরটি লাইন ৪

২০৩০ সালের মধ্যে পিপিপি পদ্ধতিতে কমলাপুর নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ট্রাকের পাশ দিয়ে
চলছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রো রেল হিসেবে এমআরটি লাইন সার নির্মাণ
কাজ।

এমআরটি লাইন পাঁচ ৫ (উত্তর)

এই প্রকল্পের আওতায় বিশ ২০ কিলোমিটার লাইনে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত
নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা এর মধ্যে
বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকা। আর জাইকা বা জাপান সরকার দিবে
২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।

এই প্রকল্পে মোট ২০ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হবে এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার হবে
উড়াল এবং ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল পথ এবং এ রুটে মোট স্টেশন হবে ১৪ টি এর মধ্যে
পাঁচ ৫ টি ওড়ালো নয় ৯ টি পাতাল হবে।

এমআরটি লাইন ৫ দক্ষিণ

২০৩০ সালের মধ্যে ১৭.৪০ কিলোমিটার মেট্রো রেল নির্মাণ করা হবে গাবতলী থেকে দারেশ
কান্দি পর্যন্তএর মধ্যে ওরাল হবে ৪.৬০ কিলোমিটার আর পাতাল হবে ১২.৮০ কিলোমিটার

এমআরটি লাইন ৬ প্রথম পর্যায়

এই প্রকল্পের অধীনে প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য পথ নির্ধারণ করা হয়েছে এমআরটি
লাইন  ৬ নামক ২0.১0 কিলোমিটার দীর্ঘ পথ। ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯
লক্ষ টাকা এই প্রকল্পের ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ  জাইকা  ১৬
হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় করবে এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে।

এই প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে
দুই দিক থেকে ঘন্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে। উত্তরা তৃতীয়
ধাপ হল এমআরপি ৬ এর চূড়ান্ত রুট এলাইনমেন্ট।

রোকেয়া স্মরনীর পশ্চিম পাশ দিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যান, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে
ফার্মগেট, সোনারগাঁ হোটেল, শাহবাগ, এসসি দোয়েল চত্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক
পর্যন্ত এ রুটে মোট ১৬ টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশন গুলো হল উত্তরা উত্তর, উত্তরা
দক্ষিণ, উত্তরা সেন্টার, পল্লবী, মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, আগারগাঁও, কাজীপাড়া,
শেওড়াপাড়া, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কমলাপুর,
মতিঝিল, সচিবালয়।

আরো পড়ুনঃ  শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন

জাতীয় গ্রিট থেকে ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি ঘন্টায় যে ১৩.৪৭ বিদ্যুৎ প্রয়োজন
হবে তা নেওয়া হবে। এই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রয়োজন
হবে তা স্থাপিত হবে বাংলা একাডেমি, সোনারগাঁ, তালতলা, পল্লব, উত্তরায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি ৬ প্রকল্প নির্মাণ কাজের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এমআরটি লাইন ৬ দ্বিতীয় পর্যায়

এমআরটি লাইনে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২৩ সালের শেষের দিকে আগারগাঁ থেকে মতিঝিল
পর্যন্ত চালু করার কথা রয়েছে। এবং তা কমলাপুর পর্যন্ত ২০২৫ সাল নাগাদ চালু হতে
পারে।

ঢাকা মেট্রোরেলের সুবিধা

ঢাকা মেট্রো রেলের অনেক সুবিধা রয়েছে এমনি এগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো

  • মেট্রো রেল বায়ু দূষণ ঘটায় না
  • শব্দ দূষণ ঘটায় না
  • মেট্রো রেল পরিবেশ বান্ধব
  • শক্তি খরচ অনেক কম হয়
  • রাস্তা ভিত্তিক সিস্টেমের তুলনায় প্রতি যাত্রী শতকরা ২০ শতাংশ
  • মেট্রোরেলের ট্রাফিক ক্ষমতা বৃহত্তর
  • মেট্রো রেল গাড়ি ট্রাফিকের ২৪ লেন
  • মেট্রোরেল বাস ট্রাফিকের সাত ৭ লেন
  • মেট্রোরেল যতটা সম্ভব ট্রাফিক বহন করে থাকে
  • ঢাকা মেট্রোরেলে অনেক দ্রুত যাওয়া যায়
  • আরামদায়ক ভ্রমণ করা যায়
  • যাতায়াতের তুলনায় ভাড়া অনেক কম

মেট্রোরেল সম্পর্কে ২০ টি বাক্য

ঢাকা মেট্রো রেল সম্পর্কে ২০ টি বাক্য নিচে আলোচনা করা হলো-

  • ঢাকা মেট্রোরেলের সর্বপ্রথম কার্যক্রম শুরু হয়েছিল  ২০১৬ সালে।
  • ঢাকা নির্মাণ করা শহর ভিত্তিক রেল ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেল।
  • ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্পের মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা।
  • ঢাকা মেট্রো রেল আনুষ্ঠানিকভাবে মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে আরটি নামে
    পরিচিত।
  • মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে মোট ব্যয় এর পরিমাণ ২২০০ কোটি টাকা।
  • মেট্রোরেলের প্রথম স্তর চালু হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।
  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম মেট্রোরেল
    উদ্বোধন করেন।
  • মেট্রোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে জাইকা এবং বাংলাদেশ সরকার। তবে জাইকা
    দিয়েছে শতকরা ৭৫ শতাংশ।
  • সর্বপ্রথম ঢাকা মেট্রোরেলের সেবা চালু হয়েছিল  ঢাকা উত্তরা থেকে ঢাকা
    মতিঝিল পর্যন্ত।
  • মেট্রোরেলের প্রথম নারীচালক মরিয়ম আফিজা।
  • বাংলাদেশ মেট্রো রেল প্রকল্পের সর্বমোট বাজেটের পরিমাণ হলো ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন
    ডলার।
  • বাংলাদেশ মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার নাম
    হল জাইকা
  • মেট্রোরেল ধাপ এবং প্যাকেজ এর সংখ্যা হল আটটি ।
  • প্রাথমিক স্তরে মেট্রোরেলের মোট স্টেশনের সংখ্যা ১৬ টি।
  • মেট্রো রেলের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা
    হয়েছে।
  • ঢাকা মেট্রোরেলের প্রতি এক ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করার ক্ষমতা আছে।
  • ঢাকা মেট্রো রেলের ফলে ঢাকা শহরের যানজট কমবে এবং দুর্ঘটনার পরিমাণ হ্রাস পাবে।
  • প্রথম স্তরের দিকে ঢাকা মেট্রো রেলের সংখ্যা হবে ২৪ টি।
  • ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
  • ঢাকা মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।

শেষ কথা

মেট্রোরেল হলো বাঙালির স্বপ্নের একটি রেল। ঢাকা শহরের যানজট থেকে মুক্তি পেতে
মানুষ এমনই একটি যানবাহন হয়তো এতদিন খুঁজে চলেছে। মেট্রো রেলের মাধ্যমে ঢাকা
নগরের জনগণ শব্দ দূষণ বায়ু দূষণ থেকে মুক্তি পাবে। আমরা এ কথা বলতে পারি যে
মেট্রোরেল হল সেই স্বপ্নের প্রকল্প যে প্রকল্প ঢাকা শহরকে বর্তমান অবস্থা থেকে
আধুনিক কসম পলিটনের রূপান্তর করবে।

বাংলাদেশের মতো একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্বে
পদার্পণ সময়ের ব্যাপার মাত্র ধারাবাহিক উন্নয়নের অবস্থা অব্যাহত থাকলে সে
সময় বেশি দূরে নয় ঢাকার মেট্রোরেল এরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।