ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মা কখন ডাকাতের বউ হিসেবে পরিচিত ছিল?

সৌখীর বাবা যতদিন বেঁচে ছিল, ততদিন সৌখীর মা ডাকাতের মা হিসেবে পরিচিত ছিল।

“ডাকাতের মায়ের ঘুম কি পাতলা না হলে চলে!” —কেন ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না?

ডাকাতের বাড়িতে রাতবিরেতে যখন-তখন দরজায় টোকা পড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না।

“টকটক করে দু-টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে”—সৌখীর মা কী বুঝতে পারে?

টকটক করে দু-টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে সৌখীর মা বুঝতে বারে যে সৌখীর দলের লােক টাকা দিতে এসেছে।

“তিনবারের পর আরও একবার হলে বুঝতে হবে যে,”-  কী বুঝতে হবে?

দরজায় তিনবারের পর আরও একবার টোকা পড়লে বুঝতে হবে যে, সৌখী বাড়ি এসেছে।

“ছেলের আবার কড়া হুকুম।”—ছেলের কড়া হুকুম কী ছিল?

সৌখীর মার প্রতি কড়া হুকুম ছিল যে, দরজায় টোকা শােনামাত্রই দরজা না খুলে দশবার নিশ্বাস ফেলার সময় কাটানাের পরই যেন সে দরজা খােলে।

“কতবার হয়েছে, কতবার বদলেছে?”—কী বদলেছে?

রাতবিরেতে সৌখীদের বাড়ির দরজায় টোকা-দেওয়ার সাংকেতিক নিয়ম অনেকবার বদলেছে।

“তখন তাকে ঠেকানাে হয় মুশকিল।”- কাকে ঠেকানাে মুশকিল হয়?

সৌখীর ডাকাত-দলের কারও মনে যখন পাপ ঢােকে, তখন তাকে ঠেকানাে মুশকিল হয়।

বাংলা- একাদশ শ্রেণি

কর্তার ভূত MCQ (একাদশ শ্রেণি)

তেলেনাপােতা আবিষ্কার MCQ (একাদশ শ্রেণি)

সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার  MCQ (একাদশ শ্রেণি)

গালিলিও MCQ (একাদশ শ্রেণি)

নীলধ্বজের প্রতি জনা MCQ (একাদশ শ্রেণি)

বাড়ির কাছে আরশীনগর MCQ (একাদশ শ্রেণি)

দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ (একাদশ শ্রেণি)

নুন MCQ (একাদশ শ্রেণি)

বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে MCQ (একাদশ শ্রেণি)

‘শিক্ষার সার্কাস’ MCQ (একাদশ শ্রেণি)

“সৌখীর বাপের মুখে শােনা যে,”- কী শােনা গিয়েছিল সৌখীর বাপের মুখে?

এক অনুচর আহত হয়ে ধরা পড়বার পর নিজহাতেই নিজের জিভ কেটে ফেলে, পাছে পুলিশকে দল সম্বন্ধে কিছু বলে ফেলে। সৌখীর বাবার কথাই বলেছিল।

“আর আজকাল দেখ!”- আজকাল কী দেখা যায়?

আজকাল দেখা যায় যে, সৌখী জেলে যাবার পর প্রথম দু বছর তার পরিবারকে অনুচররা মাসােহারা দিলেও পরবর্তীকালে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

“এ কি কখনও হতে পারত আগেকার কালে।”- কী হতে পারত?

ডাকাত সর্দার জেলে যাওয়ার কিছুদিন পরই তার পরিবারের মাসােহারা বন্ধ করে দেওয়া—এমনটা আগেকার কালে কখনও হতে পারত না।

“একেবারে ভেঙে গিয়েছে শরীর।”—কার শরীর, কেন একেবারে ভেঙে গিয়েছিল?

সৌখীর রােগা-রােগা চেহারার দ্বিতীয় বউয়ের শরীর একেবারে ভেঙে গিয়েছিল সন্তান প্রসব করবার পর।

“তারই কিনা দুবেলা ভাত জোটে না!”- এই বিস্ময়ের কারণ কী?

যার বাপের নামে চৌকিদারসাহেব ভয়ে কাঁপেন, দারােগাসাহেব পর্যন্ত যার বাপকে তুইতােকারি করতে সাহস করেননি কোনােদিন—সেই ছেলেরই দুবেলা ভাত জোটে না বলেই এখানে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।

“তা দিয়ে নিজের পেট চালানােই শক্ত।” -কী দিয়ে?

সৌখীর মা যে বাড়ি বাড়ি খইমুড়ি বিক্রি করে তা দিয়ে তার নিজেরই পেট চালানাে ছিল শক্ত।

“ঝি-চাকরের কাজও তাে আমরা করতে পারি না।”- কারা, কেন করতে পারে না?

অভাব-অনটনের জন্য সৌখীর মা ও বউ ঝি-চাকরের কাজ করতে পারে না, কারণ তারা দুজনেই গয়লা-জাতের বাড়ির মেয়ে।

“করলেই বা রাখত কে?”—কী করার কথা এখানে বলা হয়েছে?

অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পেতে সৌখীর মা ও বউ-এর ঝি-চাকরের কাজ করার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

“করলেই বা রাখত কে?”—কেউ রাখত না কেন?

ডাকাত-বাড়ির মা-বউকে কেউ বিশ্বাস করে না বলেই সৌখীর মা ও বউকে কেউ পরিচারিকার কাজে রাখত না।

“নইলে আমার কি ইচ্ছা করে না যে,”- কার, কী ইচ্ছা করে?

সৌখীর মার ইচ্ছা করে বউমানাতি নিয়ে ঘর করার।

“বউনাতিটার পেটে একটু একটু দুধ পড়ছে।”- বক্তা কেন এমনটা ভেবেছিল?

বেয়াইয়ের দুটো মােষ ছিল বলে সেখানে থাকা তার নাতি ও বউমার পেটে দুধ পড়ছে বলে নিশ্চিত ছিল সৌখীর মার।

‘দেখিয়ে দেব পাড়ার লােকদের যে”—কে, কী দেখিয়ে দেবে?

সৌখী জেল থেকে ফিরে এলে তার মা পাড়ার লােকদের দেখিয়ে দেবে যে, তার নাতি পথের ভিখিরি নয়।

“দলের ওই বদলােকগুলােকে ঠান্ডা করতে হবে”- ওই বদলােকগুলাে বক্তা কী কী বলে অভিহিত করেছেন?

ওই বদলােকগুলােকে সৌখীর মা যে দুই অভিধায় অভিহিত করেছেন, তা হল একলষেঁড়ে লােক’ এবং ‘ছিঁচকে চোর।

“ওই যেটা টাকা দিতে আসত।”—কে, কীভাবে টাকা দিতে আসত?

সৌখীর এক রােগা-পটকা অনুচর, যার থুতনির নীচে দুগাছা দাড়ি ছিল, সে মুখে কালি-ঝুলি মেখে, মশাল হাতে নিয়ে সৌখীর মাকে টাকা দিতে আসত।

কীভাবে না শুলে সৌখীর মার কোনােকালেই ঘুম হয় না শীতের দিনে?

কম্বলের মধ্যে পুরাে মাথাটা ঢুকিয়ে দিয়ে না শুলে শীতে ঘুম হয় না সৌখীর মায়ের।

“…তাহলে খুন করে ফেলে দেব।”- কখন খুন করবে বক্তা?

সৌখী তার মাকে প্রহার করে এই শাসানি দিয়েছিল যে, যদি কোনােদিন রাত্রে সে নাক-মুখ কম্বলে ঢেকে ঘুমায়, তবে সে মাকে খুন করে ফেলে দেবে।

“এ কি কম দুঃখের কথা।”- দুঃখের কথাটা কী?

বিগত পাঁচ বছর ধরে সৌখীর মা রাত্রে নাক-মুখ কম্বলে ঢেকে ঘুমালেও তাকে বকুনি দেওয়ার মতাে কোনাে লােক, পর্যন্ত যে বাড়িতে নেই, সেটাই তার কাছে দুঃখের কথা।

“..বাইরে নােনা-আতা গাছতলায় শুকনাে পাতার ওপর একটু খড়খড় করে শব্দ হল।”- এই শব্দ শুনে কী অনুমান করেছিল সৌখীর মা?

বাইরে গাছতলায় খড়খড় শব্দ শুনে সৌখীর মা মনে করেছিল যে, গন্ধগােকুল বা শিয়াল হয়তাে সেখানে ঘােরাঘুরি করছে।

“কী খেতে যে এরা আসে বােঝা দায়।”- কাদের আসার কথা বলা হয়েছে?

উক্তিটি সৌখীর মার অনুমান। সে ভেবেছিল যে, গন্ধগকুল বা শেয়াল কিছু খেতে তার উঠোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

“..বাইরে নােনা-আতা গাছতলায় শুকনাে পাতার ওপর একটু খড়খড় করে শব্দ হল।”—এমন শব্দ হওয়ার কারণ কী?

জেল থেকে আগেভাগেই ছাড়া পেয়ে মাঝরাত্রে সৌখী তাদের উঠোনের নােনা-আতা গাছতলা দিয়ে হেঁটে ঘরে আসছিল বলেই ওখান থেকে একটা খড়খড়ে শব্দ সৌখীর মা পেয়েছিল।

“সে কি আজকের কথা!”- কার কথা এখানে বলা হয়েছে?

সৌখীর মা যে অনেক কালের-পুরােনাে কম্বলটা জড়িয়ে শুয়ে ঠান্ডায় কাপছিল, সেটি সৌখী আগের বার জেল থেকে এনেছিল বলে সে বলেছে যে তা অনেক কালের কথা।

“..তার হিসাব করতে গিয়ে বাধা পড়ে।”—কার হিসেব করতে গিয়ে বাধা পড়ে?

যে কম্বলটা জড়িয়ে শুয়ে সৌখীর মা ঠান্ডায় কাঁপছিল, সেই কম্বলটার বয়সের হিসেব করতে গিয়েই বাধা পড়েছিল।

“কম্বলখানার বয়স ক’বছর হবে তার হিসাব করতে গিয়ে বাধা পড়ে।”—কীভাবে বাধা পড়েছিল?

টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ সৌখীর মার কানে আসায় কম্বলটার বয়সের হিসেব করার কাজে বাধা পড়েছিল।

“টিকটিকির ডাক বােধ হয়।”—কাকে টিকটিকির ডাক বলে মনে হয়েছিল?

ঘরে কম্বল-মুড়ে শুয়ে থাকা সৌখীর মা যখন হঠাৎ টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ শােনে, তাকেই তার মনে হয়েছিল টিকটিকির ডাক।

“হাতি পাকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে।”- প্রবাদটির অর্থ কী?

প্রবাদটির নিহিতার্থ হল ক্ষমতাবান ব্যক্তি বেকায়দায় বা দুরবস্থার মধ্যে পড়লে নগণ্য ব্যক্তিও তাকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।

“হাতি পাকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে।”- বক্তা কখন একথা বলেছিল?

ঘরে কম্বল-মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা সৌখীর মা হঠাৎ টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ শুনে তাকে টিকটিকির ডাক মনে করে বিরক্ত হয় এবং প্রশ্নোস্তৃত উক্তিটি করে।

“টকটক করে আবার দরজায় দুটো টোকা পড়ল।”- টোকা পড়ার আওয়াজটা কেমন ছিল?

দরজায় যে দুটো টোকা পড়েছিল, সেই আওয়াজটা ছিল। টিনের কপাটের ওপর টোকা মারলে সৃষ্টি হওয়া খনখনে আওয়াজ-এর মতাে।

“বুড়ি উঠে বসে।”- বুড়ি কখন উঠে বসেছিল?

সৌখীর বুড়িমার টিনের দরজায় একটু সময় বাদে বাদে দুবার যখন জোড়া-টোকার খনখনে শব্দ হয়, তখন সে উঠে বসে।

“…সেটা কখন নিভে গিয়েছে।”- কোন্টার নিভে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

সৌখীর মা শীতের রাত্রে ঘর গরম করার জন্য মেঝেতে যে আগুন তৈরি করে রেখেছিল, তার নিভে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।

“আর সন্দেহ নেই।”- কোন্ ব্যাপারে সন্দেহ ছিলনা?

দরজায় দুবার জোড়া-টেকার খনখনে শব্দ শুনে সৌখীর মা যে সৌখীর অনুচরের আগমন প্রত্যাশা করেছিল, তৃতীয়বারের জোড়া-টোকা শুনে সে সেই ব্যাপারে নিঃসন্দিগ্ধ হয়।

“অনেকদিনের অনভ্যাসের পর এই সামান্য ব্যাপারটা বুড়ির মনের মধ্যে একটু উত্তেজনা এনেছে।”—‘অনেক দিনের অনভ্যাস-এর কথা কেন বলা হয়েছে?

সৌখী পাঁচ বছর আগে জেলে যাওয়ার পর প্রথম দুবছর তার অনুচররা যেহেতু প্রতিমাসে টাকা দিয়ে যেত, তাই তখন টোকার শব্দ সৌখীর মা শুনতে পেত। কিন্তু শেষ তিন বছর তারা না আসায় অনেক দিনের অনভ্যাস তৈরি হয় তার।

“এ টোকা পড়বার কথা ছিল না।”—কেন একথা ভেবেছিল সৌখীর মা?

চতুর্থবারের জোড়া-টোকার অর্থ ছিল সৌখীর আগমন। কিন্তু সৌখীর ছাড়া পেতে এক বছর দেরি, তাই সৌখীর মা চতুর্থ জোড়া-টোকার শব্দ শুনে এমন ভেবেছিল।

“টোকা মারবার নিয়মকানুনগুলাে হয়ত ভালাে জানে না!”—কাদের সম্বন্ধে একথা অনুমান করা হয়েছে?

সৌখীর মা পুলিশের লােক সম্বন্ধে একথা অনুমান করেছে।

“কথা বলতে হবে সাবধানে।”- কার সঙ্গে কথা বলার কথা বলা হয়েছে?

পুলিশের লােকের সম্বন্ধে সৌখীর মা একথা বলেছে।

“কথা বলতে হবে সাবধানে।”- কেন সাবধান হওয়ার দরকার পড়েছিল বক্তার?

সৌখীর ডাকাত-দলের কারও নাম-ধাম যাতে সৌখীর অজান্তে পুলিশের কাছে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য সে পুলিশের সঙ্গে সাবধানে কথা বলার কথা ভেবেছিল।

“কিন্তু দরজায় টোকা মেরে মা’র সঙ্গে খুনসুড়ি হচ্ছিল এতক্ষণ।”- কেন একথা ভেবেছিল সৌখীর মা?

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বুক ফুলিয়ে পাড়া জাগিয়ে ঘরে না ঢুকে সৌখী দরজায় টোকা দিয়ে ঘরে ঢুকেছিল বলেই তার মা একথা ভেবেছিল।

“তাই বেশি রেমিশন পেয়ে গেলাম।”- বেশি রেমিশন পাবার কারণ কী?

জেলে সৌখী হেড জমাদারকে ঘুষ দেওয়ায় তিনি জেলরবাবুর কাছে তার হয়ে সুপারিশ করলে জেল-ভ্রমণে আসা লাটসাহেবের কাছে জেলর সৌখীর প্রশংসা করে। এ কারণেই লাটসাহেবের হুকুমে বেশি রেমিশন পেয়েছিল সৌখী।

“তাই বাপের মুখের আদল ধরা পড়েছে ছেলের মুখে।”- কী কারণে এমনটা হয়েছিল?

পাঁচ বছর পর জেল থেকে ফিরে আসা সৌখীর চুলে বেশ পাক ধরাতেই সৌখীর মার মনে হয়েছিল যে, সৌখীর মুখে তার মৃত বাপের আদল ধরা পড়েছে।

“অপ্রতিভের চেয়ে হতাশ হয়েছে বেশি সৌখী।”—কখন?

সৌখী যখন শােনে তার বউ ছেলে-সহ বাপের বাড়ি গেছে, তখনই সে অপ্রতিভের তুলনায় বেশি পরিমাণে হতাশ হয়।

“তাই নিয়ে কত কল্পনার ছবি এঁকেছে জেলে বসে বসে?”- কী নিয়ে?

সৌখীর না-দেখা ছেলেটা দেখতে কেমন হয়েছে তা নিয়ে সে জেলে কল্পনার ছবি এঁকেছে।

“সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে,”—কখন সে মনে মনে ঠিক করেছিল?

পাঁচ বছর পর জেল থেকে ফিরে এসে যখন সৌখী তার মার কাছে শােনে যে তার স্ত্রী পুত্রসহ তার বাপের বাড়ি গেছে, তখনই সে মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল।

“সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে”—কী ঠিক করে ফেলেছিল?

সৌখী মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল যে, পরদিনই সে শ্বশুরবাড়ি যাবে তার বউ-ছেলেকে নিয়ে আসতে।

“একথা এখনই মাকে বলে ফেলা ভালাে দেখায় না।” কোন্ কথা?

সৌখী যে পরদিনই বউ-ছেলেকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া মনে মনে ঠিক করেছিল—সেই কথা তখনই সে মাকে জানাতে চায়নি।

“ভােরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায় যে,”- ছেলেকে কী বলা যায় না?

সদ্য জেল-ফেরত ছেলে সৌখীকে ভােরে উঠেই বলা যায় না যে, সে পয়সা জোগাড় করে আনলে তবেই তার মা তাকে বেঁধে দেবে।

“আজ যখন মুড়ি বেচতে গিয়েছিল, তখন দেখেছে যে,”- কী দেখেছে?

সৌখীর মা পাড়ায় মুড়ি বেচতে গিয়ে দেখেছিল যে, পেশকার সাহেবের বাড়ির পড়ে-যাওয়া উত্তরের পাঁচিলটা রাজমিস্ত্রি দিয়ে গাঁথা হচ্ছে।

“সে পাঁচিল ভাঙতে বুড়ির বিশেষ অসুবিধা হল না।”- কেন?

পেশকারসাহেবের বাড়ির পাঁচিলটা মাত্র দু-আড়াই ফুট গাঁথা হয়েছিল এবং তার দু-পাশে মাটি আর ভাঙা ইটের পাহাড় পড়ে থাকায় তা ভাঙতে সৌখীর বুড়িমার বিশেষ অসুবিধা হয়নি।

“বারান্দার দোরগােড়ায় গুছিয়ে রাখা রয়েছে…”—কী গুছিয়ে রাখা ছিল?

পেশকারসাহেবের বাড়ির বারান্দার দোরগােড়ায় তাঁর খড়মজোড়া এবং জলভরা একটি ঘটি গুছিয়ে রাখা ছিল।

“সেইজন্য হুলস্থুল পড়ে গেল তার বাড়িতে সকালবেলায়।”—কেন হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল?

লােটা ছাড়া সংসার অচল বলে এবং সারাদিনে কয়েকবার লােটাটা না মাজলে মাতাদীনের হাত নিশপিশ করত বলে লােটা চুরি যেতে সকালবেলায় মাতাদীনের বাড়িতে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল।

“খােকার মা নাকে কেঁদে স্বামীকে মনে করিয়ে দিলেন…”- কী মনে করিয়ে দিলেন?

মাতাদীন পেশকারের খােকার মা স্বামীকে মনে করিয়ে দেন যে, লােটা বাড়ির লক্ষ্মী এবং অবিলম্বে বাড়ির লক্ষ্মীশ্রী ফেরানাের জন্য আর-একটি লােটা কিনে আনা দরকার।

“আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে যে,”—কী স্পষ্ট লেখা আছে?

আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে যে, চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।

“ফিরতিমুখাে তিনি এলেন বাসনের দোকানে।”—কোথা থেকে ফিরতিমুখখা তিনি বাসনের দোকানে এলেন?

মাতাদীন পেশকার থানা থেকে ফিরতিমুখাে বাসনের দোকানে এসেছিলেন।

“চোর ধরা পড়বার পর দারােগাসাহেবের কাজে আর ঢিলেমি নেই।”- কী করলেন তিনি?

দারােগাসাহেব তৎক্ষণাৎ সাইকেলে করে অকুস্থলে এসে সবকিছু শুনে সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন।

“সব ব্যাপার শুনে তিনি সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে ঠেলে উঠলেন।”—সেখানে গিয়ে কী দেখলেন তারা?

দারােগাসাহেব সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে, সৌখীর মা উনুনে আলুর তরকারি চড়িয়েছে, তার ছেলে সৌখী তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি।

“কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য।”- আজ অন্য ব্যাপার কেন?

সেদিন পুলিশের সঙ্গে মাতাদীন পেশকার এবং বাসনওয়ালা সৌখীর মার বাড়িতে উপস্থিত ছিল বলে লেখক আলােচ্য উদ্ধৃতিটি করেছেন।

“তখন তাে মাথা হেঁট হয়নি তার।”—কখন তার মাথা হেঁট হয়নি?

পাঁচ-সাত বছর আগে বন্দুকের তল্লাশিতে একবার যখন পুলিশ সৌখীদের বাড়ি ভােররাতে ঘেরাও করেছিল, তখন সৌখীর মার মাথা হেঁট হয়নি।

“কোনো জবাব বেরুল না বুড়ির মুখ দিয়ে।”- কোন্ প্রশ্নের জবাব বেরােয়নি?

দারােগাসাহেব যখন সৌখীর মাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর দেখানাে লােটাটা সেদিন সে বাজারের বাসনের দোকানে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছে কি না, সেই জিজ্ঞাসার জবাব বেরােয়নি বুড়ির মুখ দিয়ে।

“এখনও সে টাকা তার কোমরের বাটুয়ায় রয়েছে।”- কীভাবে সে উপার্জন করেছিল সে টাকা’?

জেলখানার গুদামে ঠিকাদারের অধীনে ডিউটি করে নব্বই টাকা সৌখী উপার্জন করেছিল।

“…একথা তাে মায়ের অজানা নয়।”—কোন্ কথা?

জেলে থাকাকালীন সৌখী যে ছিচকে ‘কদুচোর দের সঙ্গে পারতপক্ষে কথা বলত না, কথা বলত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আসামিদের সঙ্গেই—সে কথা সৌখীর মায়ের অজানা নয়।

“বিজ্ঞ দারােগাবাবু তাঁর অনুচরদের দিকে বিজয়ীর দৃষ্টি হেনে ভাব দেখাতে চাইলেন যে,”—কী ভাব দেখাতে চাইলেন দারােগাবাবু?

দারােগাবাবু এই ভাব দেখাতে চাইলেন যে, অনেক বেলা পর্যন্ত সৌখীকে ঘুমােতে দেখে সৌখীই যে চোর, তা তিনি বুঝতে পারলেও বৃদ্ধার মুখ থেকে সেই কথাটা বার করে নিতেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন।

ডাকাতের মা গল্পে প্রথমবার কখন সৌখীর মা জোড়া টোকার শব্দ শােনে?

সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা তাঁর গায়ে দেওয়া পুরানাে কম্বলটার বয়স যখন হিসেব করছিল, তখন জোড়া-টোকার শব্দ শুনতে পেয়েছিল।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে দ্বিতীয়বার কখন সৌখীর মা জোড়া টোকার শব্দ শােনে?

যখন সৌখীর মা টিকটিকির খুনসুড়ি করার কথা ভেবে বিরক্ত হচ্ছিল তখন দ্বিতীয়বার জোড়া-টোকার শব্দ শুনেছিল।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে প্রথমবার জোড়া-টোকার শব্দ শুনে কী ভেবেছিল সৌখীর মা?

প্রথমবার জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল টিকটিকি তার সঙ্গে খুনসুড়ি করছে।

ডাকাতের মা গল্পে দ্বিতীয়বারের জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা কী ভেবেছিল?

দ্বিতীয়বার জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল সৌখীর অনুচর এসেছে বাড়িতে টাকা দিতে।

ডাকাতের মাগল্পে তৃতীয়বার দরজায় জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা কী ভেবেছিল?

তৃতীয়বার দরজায় জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল নিশ্চিতভাবেই সৌখীর অনুচর এসেছে।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা পুলিশের লােকের সঙ্গে সাবধানে কথা বলবে ভেবেছিল কেন?

সৌখীর মা পুলিশের লােকের সঙ্গে সাবধানে কথা বলবে ভেবেছিল কারণ সৌখীর অনুচরদের নামধাম তারা যাতে জানতে না পারেন।

ডাকাতের মা গল্পে দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরে কেন সৌখী দরজায় সাংকেতিক টোকা দিয়েছিল?

দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরে সৌখী দরজায় সাংকেতিক টোকা দিয়েছিল তার মার সঙ্গে খুনসুড়ি করার জন্য অন্তত এমনটাই মত সৌখীর মায়ের।

“এ আনন্দ তার রাখবার জায়গা নেই…”-আনন্দের কারণ কী?

সৌখীর মার আনন্দের কারণ, এতদিন পর জেল থেকে ফিরেও তার সঙ্গে ছেলে খুনসুড়ি করছে।

“দরকারের চাইতেও জোরে কথাগুলাে বলল সৌখী …”- সুখী কেন জোরে কথা বলেছিল?

ঘরে থাকা অন্যরা যাতে তার কথাগুলাে শুনতে পায় তার জন্য সৌখী জোরে কথা বলেছিল।

“বাপের মুখের আদল ধরা পড়েছে ছেলের মুখে।”- কী কারণে?

সৌখীর মুখে তার বাপের আদল ধরা পড়েছে তার চুলে পাক ধরায়।

“প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নের ভয়ই করছিল।”- প্রশ্নটা কী?

বাড়ি ফিরে সৌখী ছেলেবউকে দেখছে না কেন- সৌখীর এই প্রশ্নের ভয়ই করেছিল বুড়ি।

“সৌখী এ প্রশ্ন কানে তুলতে চায় না।”- কোন প্রশ্ন?

সৌখীর জেলে অসুখ-বিসুখ করেছিল কি না?-এই প্রশ্ন সৌখী কানে তুলতে চায় না।

সৌখীর ‘বাড়ি ফিরবার আনন্দ অর্ধেক মাটি হয়ে গিয়েছে’ কী শুনে?

সৌখীর বাড়ি ফেরার আনন্দ মাটি হয়ে যায় যখন সে শােনে যে তার বউ ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি গেছে।

ডাকাতের মা গল্পে জেলে বসে সৌখী কী কথা ভাবত?

জেলে বসে সৌখী ভাবত তার ছেলের মুখ কার আদলে হয়েছে।

ডাকাতের মা গল্পে মাতাদীন পেশকারের হাত নিশপিশ করে কখন?

সারাদিন বেশ কয়েকবার লােটাটাকে না মাজলে মাতাদীন পেশকারের হাত নিশপিশ করে।

ডাকাতের মা গল্পে নতুন পাওয়া স্বাধীনতা উপভােগ করবার জন্য সৌখী কী ঠিক করেছিল?

নতুন পাওয়া স্বাধীনতা উপভােগ করার জন্য সৌখী ঠিক করেছিল বেলা বারােটার আগে ঘুম থেকে উঠবে না।

ডাকাতের মা গল্পে বাসনওয়ালাকে লােটা বিক্রি করে সৌখীর মা নিশ্চিন্ত ছিল কী ভেবে?

বাসনওয়ালাকে চুরি করা লােটা বিক্রি করে সৌখীর মা নিশ্চিন্ত ছিল এই ভেবে যে পুরানাে বাসন রং-চং করেই তা বিক্রি করা হয়। ফলে কেউই আর তার চুরির হদিশ করতে পারবে না।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখী দারােগাবাবুর সঙ্গে থানায় যখন যাচ্ছিল, তখন সৌখীর মা কী করছিল?

সৌখী যখন লােটা চুরির দায়ভার গ্রহণ করে দারােগার সঙ্গে থানায় যাচ্ছিল তখন তার মা মেঝেতে পড়ে ডুকরে কাঁদছিল।

ডাকাতের মা’ গল্পে বাড়ি ফিরে সৌখী শােওয়ার আগে কি কিছু খেয়েছিল?

বাড়ি ফিরে সৌখী শােওয়ার আগে শুকনাে খাবার খই-মুড়ি খেয়েছিল।

ডাকাতের মা গল্পে কী হলে বােঝা যেত দলের লােকেরা টাকা দিতে এসেছে?

রাত্রে দুটো টোকা পড়ে একটু থেমে তৃতীয় টোকা পড়লে বােঝা যেত দলের লােকেরা টাকা দিতে এসেছে।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে কাকে ঠেকানাে মুশকিল হলে সৌখীর মা মনে করেছে?

ডাকাত দলের কারও মনে পাপ ঢুকলে তাকে ঠেকানাে মুশকিল বলে সৌখীর মার মনে হয়েছে।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মার মনে ন্যায়-অন্যায় কর্তব্য-অকর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে কেন?

সৌখী জেলে যাওয়ার পরে দলের ছেলেরা দুবছর পর থেকে টাকা না দেওয়ায় সৌখীর মার মনে ন্যায়-অন্যায় কর্তব্য-অকর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন জাগে।

ডাকাতের মা গল্পে কাকে দেখে সৌখীর মার গা ছমছম করেছিল?

রাত্রে দরজা খুলে এক লম্বা-চওড়া লােককে দেখে সৌখীর মার গা ছমছম করেছিল।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে হেডজমাদার সৌখীর জন্য জেলারের কাছে সুপারিশ করেছিল কেন?

সৌখীর কাছে টাকা ঘুষ নিয়ে হেডজমাদার সৌখীর জন্য জেলারের কাছে সুপারিশ করেছিল।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখী ঘরে ঢুকে মাকে কুপি জ্বালাতে বলে কী খুঁজেছিল?

সৌখী রাতে ঘরে ঢুকে তার মাকে কুপি জ্বালাতে বলে তার স্ত্রী ও পুত্রকে খুঁজছিল।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখী স্ত্রীর বাপের বাড়ি যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার মা কী বলেছিল?

তার মা সৌখীকে বলেছিল মা-বাবাকে দেখার জন্যই সৌখীর বউ বাপের বাড়ি গেছে।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখীকে তার মা কী খেতে দিয়েছিল?

সৌখীর মা তার পুত্র সৌখীকে তার ব্যাবসার পুঁজি খইমুড়ি খেতে দিয়েছিল।

ডাকাতের মাগল্পে মাতাদীন পেশকারের বাড়ি সৌখীর মা কীভাবে প্রবেশ করেছিল?

দু-আড়াই হাত গাঁথা পাঁচিল ডিঙিয়ে সৌখীর মা মাতাদীন পেশকারের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।

ডাকাতের মা গল্পে লােটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়ে সৌখীর মা কী ভেবেছিল?

লােটা চুরি করে বাইরে বেরিয়ে সৌখীর মা ভেবেছিল রাতদুপুরে জল-ভরতি লােটা হাতে দেখলে কেউ সন্দেহ করবে না।

ডাকাতের মাগল্পে আইনের ধারায় কী স্পষ্ট লেখা থাকার কথা মাতাদীন পেশকার তার স্ত্রীকে বলেছিল?

মাতাদীন পেশকার তার স্ত্রীকে বলেছিল আইনের ধারায় লেখা আছে চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে দোকানদারের দোকানে নিজের লােটা দেখে পেশকার কী অভিযােগ করেছিল?

দোকানদারের দোকানে নিজের লােটা দেখে পেশকার বলেছিল, দিনে দোকানদারি করলেও সে রাত্রে সিধকাঠি নিয়ে চুরি করতে বেরােয়।

‘ডাকাতের মা’ গল্পের রচয়িতা কে?

ডাকাতের মা গল্পের রচয়িতা সতীনাথ ভাদুড়ী।

ডাকাতের মা গল্পে ডাকাতের নাম কী?

ডাকাতের মা গল্পে ডাকাতের নাম সৌখী।

ডাকাতের মা কোন্ ধরনের রচনা?

ডাকাতের মা’ রচনাটি ছােটোগল্প।

সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম কী?

সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম হল চিত্রগুপ্ত।

কোন্ উপন্যাসের জন্য সতীনাথ ভাদুড়ী রবীন্দ্র পুরস্কার পান?

জাগরী উপন্যাসের জন্য সতীনাথ ভাদুড়ী রবীন্দ্র পুরস্কার পান।

ডাকাতের মা গল্পটি কোন্ সংকলক গ্রন্থের অন্তর্গত?

ডাকাতের মা গল্পটি ‘চকাচকী’ গল্প সংকলন গ্রন্থ থেকে গৃহীত।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর অনুচর ভাগ্য ভালাে ছিল না কেন?

সৌখীর অনুচর ভাগ্য ভালাে ছিল না, কারণ সৗখী পাঁচ বছরের জন্য জেলে গেলে দলের অনুচররা প্রথম দুবছর তার বাড়িতে টাকা দিলেও পরবর্তী সময়ে আর দেয়নি।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌথী তার ছেলের ছােটো থেকে মুখ দেখেনি কেন?

ছেলে বউয়ের পেটে থাকার সময় সৌখীর পাঁচ বছরের জেল হয় বলেই সে তার ছেলের মুখ দেখেনি।

‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা বউমাকে কেন বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল?

খইমুড়ি বেচে তিনজনের পেট চলে না। আবার বউমা রুগ্ণ বলে তার পুষ্টিকর খাবারের প্রয়ােজন, তাই সৌখীর মা বউমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল।

ডাকাতের মা গল্পে রাতে সৌখীদের ঘরের বাইরে কীসের শব্দ হয়েছিল?

রাতে সৌখীদের ঘরের বাইরে নােনা ও আতা গাছের শুকনাে পাতার খড়খড় করার শব্দ হয়েছিল।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মা ঘরে আগুন জ্বেলেছিল কেন?

শীতের রাতে ঘর গরম রাখার জন্যই সৌখীর মা ঘরে আগুন জ্বেলেছিল।

ডাকাতের মা গল্পে জেল থেকে ফেরার পর সৌখীকে দেখতে কেমন হয়েছিল?

জেল থেকে ফেরার পর সৌখীর চুলে পাক ধরেছিল, বাপের মুখের আদল মুখে ধরা পড়েছিল এবং তাকে রােগা লাগছিল।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর কাজ দেখে কে খুশি হয়েছিল?

সৌখীর কাজ দেখে লাটসাহেব খুশি হয়েছিল।

ডাকাতের মা গল্পে সৌখী কীভাবে তার মাকে তেলের শিশি খুঁজতে সাহায্য করেছিল?

সৌখী তার কাছে রাখা দেশলাই-এর কাঠি জ্বালিয়ে তেলের শিশি খুঁজতে সাহায্য করেছিল।

“হ্যা রে, জেলে তাের অসুখ-বিসুখ করেছিল নাকি?”- একথা কে, কেন জিজ্ঞাসা করেছিল?

সৌখীর মা জিজ্ঞাসা করেছিল তার ছেলে সৌখীকে, কারণ জেলে গেলে তার শরীর ভালাে হয় কিন্তু এবারে সে রােগা হয়েছে।

ডাকাতের মা গল্পে টোকা মারার আগে সৌখী দরজায় কান পেতেছিল কেন?

ছেলে কেমন করে মা-এর সঙ্গে গল্প করে তাই শােনবার জন্য সৌখী দরজায় কান পেতেছিল।

ডাকাতের মা গল্পে পরদিন বউছেলেকে আনতে যাওয়ার কথা সৌখী মাকে জানায়নি কেন?

যদি মা ভাবে বউ এসে ছেলেকে পর করে দিয়েছে তাই সৌখী তার মাকে পরদিন বউ-ছেলেকে আনতে যাওয়ার কথা জানায়নি।

“এতক্ষণে শেষের কথাটা কানে গেল।”- কথাটি কী?

নে, হাতমুখ ধুয়ে নে।

“ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল।”—কার খটকা লাগল? খটকা দূর হল কীভাবে?

ঘটি দেখে মাতাদীন পেশকারের খটকা লাগল। পকেট থেকে চশমা বের করে সেটি নাকের ডগায় বসিয়ে তিনি যখন দেখলেন যে ঘটিটির নীচে তাঁর ঘটির মতােই তারাচিহ্ন আঁকা রয়েছে, তখনই খটকা দূর হল তার।

ডাকাতের মা গল্পের শেষাংশে সৌখীর মা কেঁদেছিল কেন?

তার অপরাধের জন্য ছেলে সৌখীকে নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখনই সৌখীর মা ডুকরে কেঁদে ওঠে।

“পেশকার সাহেব বড়াে খুঁতখুঁতে।”—কী ব্যাপারে?

পেশকার সাহেব তাঁর লােটা সম্বন্ধে খুব খুঁতখুঁতে, খুরাে দেওয়া বড় সাইজের মুখের লােটার জন্যই তার এই খুঁতখুঁতে স্বভাব।

ডাকাতের মা-এর ঘুম পাতলা হওয়ার কারণ কী?

রাতবিরেতে দরজায় টোকা পড়তে পারে এই ভাবনা থেকেই সৌখীর ঘুম পাতলা হওয়ার প্রয়ােজন হয়।

“ঘুম আর আসতে চায় না”—কার কেন ঘুম আসে না?

মাথা পর্যন্ত কম্বলে ঢুকিয়ে না দিলে শীতের দিনে সৌখীর ঘুম আসে না। অথচ ছেলের কড়া নিষেধে তা না করতে পারায় সৌখীর ঘুম আসতে চায় না।

“সেই হয়েছে বুড়ির মস্ত ভাবনা।”—কোন্ ভাবনা?

জেলফেরত সৌখীকে পরদিন সকালে কী খেতে দেবে এই ভাবনাই ভাবছিল সৌখীর বৃদ্ধা মা।

“কী কপাল নিয়ে এসেছিল।” এ কথা বলার কারণ কী?

ডাকাত হিসেবে সৌখীকে চৌকিদার দারােগারা সমীহ করলেও তার ছেলের দু-বেলা ভাত জোটে না—এ কারণেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।

“কী মারই মেরেছিল মাকে!”—এই মারার কারণ কী?

সৌখী একবার রাতদুপুরে ফিরে টোকা দিলেও কম্বল মুড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার মা সেটা শুনতে না পাওয়ায় সৌখী তার মা-কে মেরেছিল।

“সৌখীর মা আস্তে আস্তে উঠে দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।”- এই দাঁড়ানাের কারণ কী?

দরজায় টোকা পড়ায় বন্ধ কপাটের ফাক দিয়ে বাইরের লােকটাকে দেখার চেষ্টা করবে বলেই সৌখীর মা দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

“এতদিনে কি তাহলে দলের হতভাগাগুলাের মনে পড়েছে। সৌখীর মায়ের কথা?”- এই মনে পড়ার মাধ্যমে কী বােঝানাে হয়েছে?

জেলবন্দি সৌখীর দলের লােকেরা আগের মতােই মাসের টাকা দিয়ে যেতে এসেছে এমনটাই বােঝাতে চেয়েছে সৌখীর মা।

“তারপর সব কথা আস্তে আস্তে বলা যাবে।”- সব কথা বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে?

দলের লােকের কথা না রাখা, সৌখীর স্ত্রী এবং ছেলের শরীর খারাপ ইত্যাদি কথার বিষয়ে বলা হয়েছে।

“কতকাল হয়তাে জেলে খেতে পায় নি।”—কী খেতে না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

জেলে থাকাকালীন সৌখীর পছন্দের আলুচচ্চড়ি ভাত না খেতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

“ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল।”—এই খটকা লাগার কারণ কী?

ঘটি দেখে খটকা লাগার কারণ, তার চুরি যাওয়া লােটার মতােই এটিরও খুরাের নীচে তারা আঁকা ছিল।

সৌখী তার নতুন পাওয়া স্বাধীনতা কীভাবে উপভােগ করতে চেয়েছিল?

সৌখী জেল থেকে মুক্তির পরে তার নতুন পাওয়া স্বাধীনতা বেলা বারােটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে উপভােগ করতে চেয়েছিল।