অথবা, ডকুমেন্ট স্টাডির সংজ্ঞা দাও।
ভূমিকাঃ পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, প্রশ্নপত্র ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের কৌশল হিসেবে সমাজ গবেষণায় ডকুমেন্ট স্টাডি ব্যাপক প্রচলিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে সমাজ গবেষণার প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি আরও একাধিক সূত্র হতে সুকৌশলে লাভ করা সম্ভবপর। উপযুক্ত পদ্ধতির ক্ষেত্রে গবেষণার ফলে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু ডকুমেন্ট স্টাডিতে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। তথ্যের উৎস হিসেবে প্রচলিত বা উপস্থিত তথ্যকে ডকুমেন্ট বিবেচনা করা হয়।
ডকুমেন্ট কিঃ ডকুমেন্ট হলাে ব্যক্তি, দল বা সমাজের এমন কিছু অভিব্যক্তি যা কোনাে না কোনাে প্রকারে সংরক্ষিত।
ডকুমেন্টের প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ Kennith & Baily ডকুমেন্ট সম্পর্কে বলেন, ‘……documents by which we mean any written materials that contain information about the phenomena we wish to study (ডকুমেন্ট বলতে যা লিখিত কোনাে উপাদান বা অনুসন্ধিৎসু ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য ধারণ করে থাকে তাকে বুঝানাে হয়ে থাকে।)
G.R Adams ও G. Schyaneveldt- শব্দ, চিত্র, প্রতীক ইত্যাদিকে ডকুমেন্ট হিসেবে গণ্য করে বলেন, “Any record (written or oral) that contains information about human behaviour social conditions, and social procses can sub-summed under the broad are a of documents.” (যেকোনাে ধারণ (লিখিত বা মৌখিক) যা মানব আচরণ, সামাজিক অবস্থা এবং সামাজিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে তাদেরকে ডকুমেন্টের বৃহৎ পরিসরে একত্রীভূত করা যেতে পারে।)
ডকুমেন্ট স্টাডির সংজ্ঞাঃ যেসকল গবেষণা ডকুমেন্টের উপর নির্ভর করে করা হয় তাকে ডকুমেন্ট স্টাডি বলা হয়।
অর্থাৎ, যেকোনাে ধারণ লিখিত বা মৌখিক মানব আচরণ, সামাজিক অবস্থা এবং সামাজিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে তাদেরকে ডকুমেন্টের বৃহৎ পরিসরে একত্রীভূত করে যে গবেষণা করা হয় তাকে ডকুমেন্ট স্টাডি বলে।
পরিশেষঃ পরিশেষে লিখিত শব্দ, চিত্র, প্রতীক প্রভৃতি ডকুমেন্ট হিসেবে পরিগণিত হতে পারে যা উপযুক্ত সংজ্ঞা থেকে পাওয়া যায়।
Leave a comment