অ্যারিস্টটল তাঁর পোয়েটিক্স্ গ্রন্থের পঞ্চম অধ্যায়ে মহাকাব্য সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। এর পর বিস্তৃত আকারে এ সম্বন্ধে কোনো আলোচনা না থাকলেও পরে কোনো কোনো অধ্যায়ে ট্রাজেডি ও মহাকাব্যের পার্থক্য করেছেন।

আমরা মহাকাব্য সম্বন্ধে তাঁর যে ধারণার পরিচয় পাই, এবং ট্র্যাজেডি সম্বন্ধে যে ধারণার পরিচয় পাই, তা থেকে ট্রাজেডি ও মহাকাব্যের মধ্যে যে পার্থক্য তা আলোচনা করা হলো-

১ – মহাকাব্যের লক্ষ্যও ট্র্যাজেডির মতো গুরুগম্ভীর ঘটনার অনুকরণ হলেও ট্র্যাজেডির থেকে মহাকাব্যে উচ্চশ্রেণীর চরিত্র সৃষ্টি করে থাকে।

২ – ট্র্যাজেডিকে সংস্কৃত আলংকারিকদের মতো ‘দৃশ্যকাব্য’ না বললেও একে দৃশ্যাত্মক কাব্য (Narrative of spectacles) অ্যারিস্টল বলেছেন। তার সঙ্গে তুলনায় মহাকাব্যকে বলেছেন শ্রবণমূলক কাব্য (Narrative in form )।

অর্থাৎ ট্র্যাজেডি দৃশ্যাত্মক কাব্য ও মহাকাব্য শ্রবণমূলক কাব্য।

৩ – ট্র্যাজেডির সঙ্গে মহাকাব্যের প্রধান পার্থক্য আয়তনে। আয়তন বলতে আরিস্টটল দুটি জিনিস বুঝিয়েছেন -বিশালতা (in the scale on which it is constructed) এবং দৈর্ঘ্য (length)। দু– দিক থেকেই মহাকাব্য অনেক বড়ো।

আরও পড়ুন :- ট্রাজেডি কাকে বলে ও কত প্রকার?

অর্থাৎ আয়তনের দিক থেকে ট্র্যাজেডি ছোট এবং মহাকাব্য বড়ো।

৪ – তিনি আরও দেখিয়েছেন, মহাকাব্যের উপাদান চারটি, কিন্তু ট্র্যাজেডির উপাদান ছয়টি।

মহাকাব্য এবং ট্র্যাজেডির বৃত্ত গঠনের রীতি একরকম হওয়া উচিত বলেই অ্যারিস্টটল বিভিন্ন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন।