শিশুর জন্মের এক মাস পর থেকে ১0 টি ভয়ংকর রোগের টিকা প্রদান করা হয়। আর এ
টিকা প্রদানের জন্য আমাদের জানতে হবে টিকা কার্ড কি – শিশুদের ইপিআই টিকা
সম্পর্কে। আমরা যদি টিকা কার্ড কি – শিশুদের ইপিআই টিকা কি এসম্পর্কে না জানি
তাহলে সঠিক সময়ে টিকাগুলো প্রদান করতে পারবোনা। টিকা কার্ড কি – শিশুদের ইপিআই
টিকা সম্পর্কে জানতে আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শিশুদের জন্মের পর থেকে দেড় মাস বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা প্রথম ধাপ হিসেবে প্রদান করতে হয়। এরপরে ৪ সপ্তাহ ১ মাস পর পর বাকি ডোজ গুলোর কার্যক্রম শেষ করতে হয়। সরকার ইপিআইয়ের মধ্যে অতি জরুরী ১০ টি রোগের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এই ১0 টি ভয়ংকর রোগের নাম সহ টিকা কার্ড কি – শিশুদের ইপিআই টিকা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টিকা কার্ড কি – শিশুদের ইপিআই টিকা 

টিকা কার্ড কি

শিশুদের জন্মের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেক রোগের টিকা প্রদান করা হয়। আর এইসব
টিকা প্রদান করতে হলে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। আর এইসব তথ্য
সংরক্ষণ করে বা তালিকাভুক্ত করে রাখার জন্য একটি কার্ড প্রদান করা হয়।।আর একেই
বলা হয় টিকা কার্ড।

শিশুদের ইপিআই টিকা কি

শিশুদের জন্মের পর থেকে দেড় মাস বয়সের মধ্যে ইপিআই টিকা শুরু করা হয়। এই ইপিআই
টিকার মধ্যে ১০ টি ভয়ংকর রোগের ভ্যাকসিন সংরক্ষিত থাকে। আর
শিশুদের সুরক্ষার জন্য যে  ১০টি রোগের টিকা প্রদান করা হয় তাকে বলা
হয় ইপিআই টিকা।শিশুদের জন্মের পর থেকে দেড় মাস বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা প্রথম ধাপ
হিসেবে প্রদান করতে হয়। এরপরে ৪ সপ্তাহ ১ মাস পর পর বাকি ডোজ গুলোর
কার্যক্রম শেষ করতে হয়। 

সরকার   ইপিআইয়ের মধ্যে অতি জরুরী ১০ টি রোগের ভ্যাকসিন দিচ্ছে।
দশটি রোগের নাম হল – পোলিও, হেপাটাইটিস বি, পিসিভি,ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার,
হুপিংকাশি,যক্ষ্মা,ইনফ্লুয়েঞ্জা,হিমোফাইলাস নিউমোকক্কাসজনিত নিউমোনিয়া ।

         হিট স্ট্রোক কাকে বলে  –  হিট স্ট্রোক কেন হয়  জেনে নিন

শিশুদের বয়স অনুযায়ী টিকা সুপারিশ করা হয়। এসব টিকার সময়সূচি তালিকাভুক্ত
থাকে। কোন বয়সে কোন টিকা, টিকার ডোজ কতো  তা নির্দিষ্ট থাকে। আর টিকা
কার্ড প্রদান করা হয় এসব তথ্য সংগ্রহে রাখার জন্য।

শিশুদের নিয়মিত ইপিআই টিকা দান কর্মসূচী 

শিশুদের নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কর্মসূচির তালিকা নিচে দেয়া হল –

রোগের নাম

টিকার নাম

টিকার ডোজ

ডোজের সংখ্যা

ডোজের মধ্যে

ন্যূনতম বিরতি

টিকা দেয়ার

সঠিক সময়

টিকা দানের

স্থান

টিকার প্রয়োগ

পথ

যক্ষ্মা

বিসিজি

০.০৫ এম এল

জন্মের পর থেকে

বাম বাহুর উপরের অংশে

চামড়ার মধ্যে

নিউমোকক্কাল

নিউমোনিয়া

পিসিভি টিকা

০.৫ এম এল

৪ সপ্তাহ

৬ সপ্তাহ

১০ সপ্তাহ

১৪ সপ্তাহ

ডান উরুর

মধ্যভাগের

বহিরাংশে

মাংশপেশী

ডিফথেরিয়া

হুপিংকাশি

ধনুষ্টংকার

হেপাটাইটিস–বি

হিমোফাইলাস

ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি

পেন্টাভ্যালেন্ট

টিকা (ডিপিটি,

হেপাটাইটিস-বি,হিব

০.৫ এম এল

৪ সপ্তাহ

৬ সপ্তাহ

১০ সপ্তাহ

১৪ সপ্তাহ

বাম উরুর

মধ্যভাগের

বহিরাংশে

মাংশপেশী

পোলিওমাইলাইটিস

বিওপিভি

 

 

২ ফোঁটা

৪ সপ্তাহ

৬ সপ্তাহ

১০ সপ্তাহ

১৪ সপ্তাহ

মুখে

মুখে

আইপিভি

( ফ্রাকশনাল)

০.১ এম এল

৮  সপ্তাহ

৬ সপ্তাহ

১৪ সপ্তাহ

ডান বাহুর

উপরের অংশে

চামড়ার মধ্যে

হাম ও রুবেলা

এম আর টিকা

০.৫ এম এল

৯ মাস ও ১৫ মাস

বয়স পূর্ণ হলে

ডান উরুর

মধ্যভাগের

বহিরাংশে

চামড়ার নীচে

শিশুদের টিকা নেওয়ার সুবিধা

শিশুদের ইপিআই টিকা নেওয়ার সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –

  1. শিশুরা ইপিআই টিকা নিলে অনেক ভয়াবহ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
  2. শিশুদের সঠিক সময়ে ইপিআই টিকা নেওয়া উচিত। নিউইয়র্কের শিশুরা যদি
    ইস্কুলে যাই বা শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে যায় তাহলে তাদের টিকা নেওয়া
    বাধ্যতামূলক।
  3. টিকা বা ভ্যাকসিন শিশুদের হাম, মাম্পস, হুপিং কাশি এবং চিকেন পক্স থেকে
    রক্ষা করে। যে সমস্ত শিশুদের টিকা দেওয়া হয়নি তারা এইসব রোগে সহজেই
    আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি এই রোগে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
  4. শিশুরা সঠিকভাবে টিকা নিলে অন্যেরাও সুরক্ষিত থাকে।
  5. কোনো টিকা ব্যবহার করার জন্য অনুমোদন পাওয়ার আগে, তা কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা
    করা হয়।
  6. তারপর সুরক্ষার জন্য এবং সেটি কতটা ভালো কাজ করছে তা দেখার জন্য প্রতিটি
    টিকা নিরীক্ষণ
  7. করা হয়।
  8. টিকাকরণের সুবিধা ঝুঁকির থেকে অনেক গুণ বেশী। টিকা দেয়ার আগে দেখা গেছে যে
    বর্তমানেরতুল নায় অনেক বেশি শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়ত বা এই সব রোগের কারণে
    মারা যেত।
  9. টিকা থেকে গুরুতর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া খুব কম দেখা দেয়। যে কোনো
    পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মাত্রা মৃদ্যু থাকে।
  10. হামের টিকা নেয়ার আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মিলিয়নের থেকে বেশী লোক
    হামের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে, ৪৮000 জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা
    হয় এবং প্রায় ৪৫0 জন মারা যায়।

আপনার সন্তানের কোন টিকা ও কখন  প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানতে আপনার
শিশুর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী (হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) এর কাছে থেকে জেনে
নিন।

শিশুদের ইপিআই টিকা বা সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

শিশুদের ইপিআই টিকা বা সেবা প্রদানের জন্য জাতীয় প্রচার মাধ্যম ও
আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়। শিশুদের
টিকা প্রদানের লক্ষ্যে টিকাদান কেন্দ্রে .০ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের
নিয়ে যেতে হয়। এরপর কর্মসূচি অনুযায়ী পোলিও, হেপাটাইটিস বি,
হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুরেলা যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার,
হুপিংকাশি, রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়।

এইসব টিকা প্রদানের পর যারা নতুন তাদের টিকা কার্ড প্রদান করা হয় এবং যারা
পুরাতন তাদের কার্ডে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করা হয়।

শেষ কথা

শিশুদের জন্মের পর থেকে দেড় মাস বয়সের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা প্রথম ধাপ
হিসেবে প্রদান করতে হয়। এরপরে ৪ সপ্তাহ ১ মাস পর পর বাকি ডোজ গুলোর
কার্যক্রম শেষ করতে হয়। সরকার   ইপিআইয়ের মধ্যে অতি জরুরী ১০ টি
রোগের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। দশটি রোগের নাম হল – পোলিও, হেপাটাইটিস বি,
পিসিভি,ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি,যক্ষ্মা,ইনফ্লুয়েঞ্জা,হিমোফাইলাস
নিউমোকক্কাসজনিত নিউমোনিয়া ।

যে সমস্ত শিশুদের টিকা দেওয়া হয়নি তারা এইসব রোগে সহজেই আক্রান্ত হতে পারে।
এমনকি এই রোগে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনার সন্তানের কোন টিকা ও
কখন  প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানতে আপনার শিশুর স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারী (হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) এর কাছে থেকে জেনে নিন।