100ml রেকটিফাইড স্পিরিটের মধ্যে 5g আয়োডিন কেলাস ও 5g KI মিশ্রিত করে যে দ্রবন তৈরি হয় তাকে টিংচার আয়োডিন বলে।

টিংচার আয়োডিন কাটা- ছেঁড়া জীবানুনাশক ও পচনরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২% – ৭% আয়োডিন এবং ২% – ৪% পটাশিয়াম বা সোডিয়াম আয়োডাইডের ইথানলিয় জলীয় দ্রবন কে টিংচার আয়োডিন বলে।

টিংচার আয়োডিন প্রস্তুতি

৫০ মিলি ইথানলে ২-৭ গ্রাম দানাদার আয়োডিন এবং ২-৪ গ্রাম পটাশিয়াম বা সোডিয়াম আয়োডাইড দ্রবীভূত করে ঐ মিশ্রনে বিশুদ্ধ পানি যোগ করে ১০০ মিলি করা হয়।

টিংচার আয়োডিন সাধারণত শক্তিশালী জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ক্ষার কাকে বলে?
উত্তরঃ ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সোইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে।

প্রশ্ন-২। রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন রাসায়নিক সমীকরণ হতে সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া সম্পর্কে যা কিছু জানা যায় না, তাকে রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা বলে।

প্রশ্ন-৩। অণু ধারণার প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ অণু ধারণার প্রবর্তক হচ্ছেন অ্যাভোগেড্রো।

প্রশ্ন-৪। অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?
উত্তরঃ অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৫। ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় মনােমার অণুসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হবার সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু যেমন: CO2H2O, CH₃OH ইত্যাদি অপসারণ করে সেই পলিমারকরণ বিক্রিয়াকে ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় নাইলন 6 : 6 পলিমার তৈরি হয়।

প্রশ্ন-৬। ভর ক্রিয়া সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি বিক্রিয়ার গতিবেগ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিক্রিয়কের সক্রিয় ভরের (সক্রিয় ভর বলতে গ্যাসের ক্ষেত্রে আংশিক চাপ এবং তরলের ক্ষেত্রে মোলার ঘনমাত্রা বুঝায়) সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-৭। পলির বর্জন নীতি কী?
উত্তরঃ একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো একই হতে পারে না।

প্রশ্ন-৮। বেনজিনের সমগোত্রক কাকে বলে?
উত্তরঃ বেনজিন অণু (C₆H₆) থেকে এক বা একাধিক H-পরমাণু সমসংখ্যক অ্যালকাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে এক শ্রেণির অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন উৎপন্ন হয়, তাদেরকে বেনজিনের সমগোত্রক বলে।

প্রশ্ন-৯। রেডন এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় গবেষণায় এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে রেডন ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১০। স্বতঃ জারণ-বিজারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কখনও কখনও জারক বা বিজারকের উপস্থিতি ছাড়া একটি পদার্থ বিয়োজিত হয়ে এমন দুটো পদার্থে পরিণত হয় যার একটিতে মূল পদার্থটির একটি উপাদান মৌলের জারণ এবং অপরটিতে আর একটি উপাদান মৌলের বিজারণ ঘটতে দেখা যায়। একে স্বতঃ জারণ-বিজারণ বলে। যেমন, 2KClO= 2KCl + 3O2