বক্তা, প্রসঙ্গ ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: কর্তার সিং দুগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখক তার বােনকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন মার কাছে। নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় আটকানাের গল্প শুনে লেখকের বােন তা অবিশ্বাস করলে লেখক তাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেন।
মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত: আলােচ্য গল্পটিতে কুয়ােতে জল না থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলী কান্ধারী দেখেন, পাহাড়ের নীচে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে, আর তার কাছেই বসে আছেন শিষ্য-সহ গুরু নানক। বলী কান্ধারী এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে নানকের ওপর রেগে পাহাড়ের ওপর থেকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন নীচের দিকে। কিন্তু নানক তা হাত দিয়ে আটকে দেন। মায়ের কাছেগল্পটি শুনে লেখকের বােনের তা বিশ্বাসযােগ্য মনে হয় না। কিন্তু লেখকের অভিজ্ঞতায় তখন রয়েছে তার মায়ের বান্ধবীর কাছে শােনা জীবন দিয়ে ট্রেন থামানাের কাহিনি। লেখকের মনে হয়েছে, বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ট্রেন থামিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষেরাই যেখানে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিল, সেখানে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাই ঠেকানাে অবাস্তব হতে পারে না। এইভাবেই দেশচেতনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঞ্জাসাহেবের ‘অলৌকিক’ ঘটনার মধ্যে যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন লেখক।
Leave a comment