প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছােটোগল্পে ঝড়জল- বন্যার রাতটি উচ্ছবের ঘরের সব কিছু এবং তার পরিবারকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলেও গাছে বেঁধে কোনােক্রমে বেঁচে যায় সে। জল নেমে গেলে পরদিন সকাল থেকে উচ্ছব সব কিছু ফিরে পাওয়ার ব্যর্থ আশায় কয়েকদিন উদগ্রীব হয়ে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে উচ্ছবের বুদ্ধি লােপ পায়। ঘরের চালের নীচ থেকে প্রিয়জনদের ডাক শােনার আশায় সে আকুল হয়ে ওঠে। সব কিছু ফিরে পাওয়ার আশায় শুনসান বাড়ি ছেড়ে কয়েকদিন কোথাও না নড়ায় তার কিছু খাওয়াও হয় না। এমনকি, লঙ্গরখানায় দেওয়া খিচুড়িও নয়।
পরবর্তী আচরণ : যখন সে খানিকটা স্বাভাবিক হয়, তখন খিচুড়ি দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই শুকনাে চাল চিবিয়েই সে কয়েকদিন কাটায়। টানা বেশ কিছুদিন ভাত না জোটায় সে ভাত খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। যার জমিতে উচ্ছব চাষ করে, সেই সতীশবাবুও তাকে ভাত দিতে অস্বীকার করলে সে অত্যন্ত দুঃখ পায়। ক্রোধও জন্ম নেয় তার মনে। দিনের পর দিন উপােসের ফলে সব হারানাে উচ্ছবের মানসিক বিকৃতি ঘটতে থাকে। তার মনে হয়, দীর্ঘদিন ধরে পেটে ভাত না পড়ায় সে প্রেত হয়ে যাচ্ছে। ভাত খেলে সে মানুষ হবে এবং তখনই সে বউ ও ছেলেমেয়ের দুঃখে কাঁদবে।
Leave a comment