জীববৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে ঔষধ শিল্পে প্রয়ােজনীয় উদ্ভিদ, ছত্রাক, বিভিন্ন ভেষজ উপকরণের শনাক্তকরণ করাকে বায়াে-প্রস্পেকটিং বলে।

লবণাক্ত জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভজাতীয় বনভূমি দেখা যায়।

যেখানে জীবদেহের জিনগত বস্তু (Genetic Material) সংরক্ষণ করে বিপন্ন জীবপ্রজাতির জিনের বৈচিত্র্য রক্ষা করা হয় তাকে জিন ব্যাংক বলে।

জিনগত জীববৈচিত্র্যের জন্য একই প্রজাতির মধ্য বিভিন্নতা সৃষ্টি হয়।

কোনাে জীবের স্থানীয় পরিবেশকে ওই জীবের বাস্তুক্ষেত্র বলে।

জিনের সম্পূর্ণ অপসারণ জিনগত বৈচিত্র্যের বিনাশকে নির্দেশ করে।

ভারতের বৃহত্তম পাখিরালয় রাজস্থানের ভরতপুরে অবস্থিত।

Man and the Biosphere Programme।

পশ্চিমবঙ্গে ব্যাঘ্রপ্রকল্প সুন্দরবন ও বক্সায় অবস্থিত।

বর্তমানে অবিপন্ন বা অবলুপ্তির বিপদ থেকে মুক্ত জীব প্রজাতি সমূহের তালিকা যে বইতে প্রকাশ করা হয় তাকে গ্রিন ডেটা বুক বলে।

যে বইতে ক্ষতিকর বা ধ্বংসাত্মক জীবপ্রজাতিসমূহের উল্লেখ করা থাকে তাই হল ব্ল্যাক ডেটা বুক।

রেড ডেটা বুক (Red Data Book)-এ বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় জীবের তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে।

IUCN সমীক্ষিত বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীর তালিকা যে বইতে প্রকাশিত হয় তার নাম রেড ডেটা বুক।

প্রাকৃতিকভাবে ভারতীয় সিংহের বাসস্থান গুজরাতের গির অরণ্য অঞ্চলে।

ভারতের পশ্চিমঘাট অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সরীসৃপ পাওয়া যায়।

ভারতের সাইলেন্ট ভ্যালি বাঁধ প্রকল্প বাতিল বলে ঘােষণা করা হয়েছে।

ইন-সিটু সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি পদ্ধতি।

প্রকৃতিতে পাখির সংখ্যা অত্যধিক হারে কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হল পাখিদের বাসস্থানের অভাব।

কোনাে জীবকে তার প্রাকৃতিক বাসস্থান থেকে সরিয়ে অন্য কোনাে স্থানে সংরক্ষণ করাকে এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলে।

যে প্রাণীর অচিরেই লুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাকে লুপ্তপ্রায় প্রাণী বলে।

ভারতের প্রধান জীববৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলি হল উত্তর ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমঘাট বনাঞ্চল ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।

পরীক্ষাগারে বর্ধিয়ু কাণ্ডের কোশগুলিকে পােষক পদার্থ দিয়ে বৃদ্ধি করা হল টিস্যু-কালচার।

স্টকহােম সম্মেলন 1972 খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়।

WWF-এর পুরাে কথাটি হল World Wide Fund for Nature।

বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য কথাটির সমার্থক কথাটি হল আবাসস্থলের বৈচিত্র্য।

ভারতের প্রথম বায়ােস্ফিয়ার রিজার্ভ অঞ্চল হল- নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চল।

নামধাফা জাতীয় উদ্যান অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত।

ভারতে দুটি বিলুপ্ত প্রায় ভেষজ উদ্ভিদের নাম হল- (i) কালমেঘ ও (ii) সর্পগন্ধা।

ইংল্যান্ডের রয়্যাল বােটানিক্যাল গার্ডেন হল বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিদ উদ্যান।

নীলগিরি বায়ােস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর অধিকাংশ অঞ্চল তামিলনাড়ুর বনাঞ্চলে অবস্থিত।

স্থানিক সংরক্ষণের একটি উদাহরণ হল—সুন্দরবন ব্যাঘ্র সংরক্ষণ।

পশ্চিমঘাট বনাঞ্চল হল ভারতের পশ্চিম অংশে অবস্থিত জীববৈচিত্র্য হটস্পট।

আলিপুর চিড়িয়াখানা একটি অস্থানিক সংরক্ষণ পদ্ধতি।

জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্ব হল- জীববৈচিত্র্যের মাধ্যমেই বাস্তুতন্ত্র সুস্থায়ীভাবে টিকে থাকে।

অনিয়ন্ত্রিত বন্যপ্রাণী সংহারের ফলে জীববৈচিত্রের বিনাশ ঘটে।

কোনাে নির্দিষ্ট অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ (Biosphere Reserve) বলে।

কোনাে একটি প্রজাতির মধ্যে যে জিন ভাণ্ডার থাকে তার সংরক্ষণকে জিন বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বলে।

জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের মাধ্যমেই মানুষ তার খাদ্য ও অন্যান্য উপাদানের জোগান অব্যাহত রাখে।

মে বনভূমিকে জনগণের ব্যবহার আইনানুসারে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ তাকে সংরক্ষিত বনভূমি (Reserve Forest) বলে।

যে বনভূমিকে জনগণ সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করতে পারে তাকে সুরক্ষিত বনভূমি (Protected Forest) বলে।

যেসব অঞ্চলে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ সবধরনের উদ্ভিদ ও জীবজন্তুকে তাদের নিজস্ব পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়, সেইসব অঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান বলে।

জীববৈচিত্র্য পরিবর্তনশীল প্রকৃতির হয়।

কোনাে জীবের প্রজাতি বিশ্ব থেকে চিরতরে নষ্ট হয়ে যাওয়াই হল বিশ্ব বিলুপ্তি।

কোনাে জীবপ্রজাতির সংখ্যা যখন হ্রাস পেতে থাকে তখন ওই প্রজাতি সংশ্লিষ্ট বাস্তুতন্ত্রের ওপর কোনাে প্রভাব ফেলে না, এই পরিস্থিতিকে বাস্তুতান্ত্রিক বিলুপ্তি বলে।

যেসব প্রজাতির অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে তাদের বিপন্ন প্রজাতি বলে।

যেসব প্রজাতির জীবসংখ্যা দ্রুত হারে হ্রাস পাওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের বিপদপ্রবণ প্রজাতি বলে।

বিপন্নতার মাত্রা অনুযায়ী, যেসব প্রজাতির বিপন্নতার মাত্রা খুব কম তাদের ন্যূনতম উদ্বিগ্ন প্রজাতি বলে।

বিপন্নতার মাত্রা অনুযায়ী, যেসব প্রজাতির বিপন্নতার মাত্রা নির্ধারিত হয়নি তাদের অ-নির্ধারিত প্রজাতি বলে।

কয়েকটি সদৃশ প্রজাতি একত্রে গণ (Genera) তৈরি করে।

কয়েকটি সদৃশ গণ একত্রে গােত্র (Family) তৈরি করে।

বিজ্ঞানী Whittaker (1972) আঞ্চলিক বৈচিত্র্যের অঞ্চলকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।

বাস্তুতন্ত্র গঠনকারী প্রজাতিসমূহের সংরক্ষণকে বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ বলে।

অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জীববৈচিত্র্যের বিনাশ ঘটে।

বিজ্ঞানী Whittaker আলফা বৈচিত্র্যকে বিন্দু বৈচিত্র্য বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রজাতির সংখ্যা বা ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে গামা বৈচিত্র্যের মাত্রা বেড়ে যায়।

আলফা বৈচিত্র্যের দ্বারা একই গােষ্ঠীভুক্ত জীবসমূহের মধ্যেকার বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানভুক্ত বিভিন্ন গােষ্ঠীসমূহের মধ্যে যে জীববৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় তাকে বিটা বৈচিত্র্য বলে।

ভিন্ন ভৌগােলিক ক্ষেত্রে একইরকম পরিবেশের প্রজাতির পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপনের ফলে যে বৈচিত্র্য তৈরি হয়, তাকে গামা বৈচিত্র্য বলে।

মেগা জীববৈচিত্র্যের দেশগুলির বেশিরভাগ নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত।

জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যুক্ত সর্বাধিক বিপদগ্রস্ত বাস্তুতান্ত্রিক অঞ্চলকে বায়ােডাইভারসিটি হটস্পট বলে।

সামুদ্রিক এলাকার জীববৈচিত্র্য হটস্পটের দুটি উদাহরণ হল- (i) মেডিটেরিনিয়ান বেসিন ও (ii) পলিনেশিয়া মাইক্রোনেশিয়া।

যেসব এলাকায় অতিমাত্রায় জীববৈচিত্র্য বিদ্যমান সেইসব এলাকাকে মেগাবায়ােডাইভারসিটি বলে।

বাস্তুতন্ত্রকে অটুট রাখার জন্য বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণ প্রয়ােজন।

দুটি বিলুপ্ত প্রজাতি হল- (i) ডােডাে পাখি ও (ii) আইরিস হরিণ।

ভারত থেকে বিলুপ্ত এমন দুটি প্রজাতি হল— (i) গােলাপি মাথাযুক্ত হাঁস, (ii) সুমাত্রার গন্ডার।

IFRC-এর পুরাে নাম হল International Federation of Red Cross and Red Crescent Societies

যেসব প্রজাতির জীবকে তথ্যের অভাবের জন্য কোনাে নির্দিষ্ট শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি, তাদের স্বল্পজ্ঞাত প্রজাতি বলা হয়।

একই প্রজাতির মধ্যে জিনগত পার্থক্য বিভিন্নতা সৃষ্টি করে।

যখন কোনাে প্রজাতির সর্বশেষ স্বতন্ত্র জীবটি কোনাে বংশধর না রেখেই মারা যায় তখন সেই ঘটনাকে প্রজাতি বিলুপ্তি বলে।

কোনাে একটি স্থানে বিশেষ প্রজাতি পূর্বে উপস্থিত থাকলেও পরবর্তী সময়ে ওই অঞ্চলে প্রজাতিটির বিলুপ্তি ঘটলে তাকে স্থানীয় বিলুপ্তি বলে।

যেসব প্রজাতির প্রমাণ বা অস্তিত্ব বর্তমানে আর নেই তাদের বিলুপ্ত প্রজাতি বলে।

একটি প্রজাতির জীব থেকে একাধিক প্রজাতির সৃষ্টি হলে তাকে প্রজাতিভবন বলে।

কোনাে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্ত জিন, প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য ও সমগ্রতাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

কোনাে অঞ্চলে যত সংখ্যক উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সমাবেশ লক্ষ করা যায় তাই হল ওই অঞ্চলটির প্রজাতিগত বৈচিত্র্য।

কোনাে একটি অঞ্চলে যত সংখ্যক প্রজাতি উপস্থিত থাকে তাকে প্রজাতি সমৃদ্ধি বলে।

জীব প্রজাতিসমূহের মধ্যে জীবগুলির সংখ্যাগত আপেক্ষিক প্রাধান্যকে প্রজাতি প্রাচুর্য বলে।

কোনাে প্রজাতির প্রাণী বা উদ্ভিদ এবং তার সমস্ত বংশধরকে একসঙ্গে ক্ল্যাড় বলা হয়।

বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে যে বিশাল বিভিন্নতা লক্ষ করা যায় তাকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে।

প্রজাতিভবনের বিপরীত অবস্থাকে প্রজাতি বিলুপ্তি বলে।

পৃথিবীর ১/৩ শতাংশ অঞ্চলে অরণ্য থাকা প্রয়ােজন।

ভারতে বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহকে বন্যপ্রাণী সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়।

প্রতি বছর 5 জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কেন্দ্রীয় অঞ্চল (Core area), মধ্যবর্তী অঞ্চল (Buffer Area) এবং পরিবর্তনশীল অঞ্চল (Transitional Area) বায়ােস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর তিনটি অঞ্চল।

International Biological Programme.

International Union for Conservation of Nature and Natural Resources.

ইকো ট্যুরিজম প্রাকৃতিক, নান্দনিক বিষয় উপভােগ ও পরিবেশের ভারসাম্য একত্রে রক্ষা করে।