বাংলার মুসলমান সমাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও বহুপ্রচলিত নাচ হল জারিনাচ। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা মহরমপর্ব পালনকে ধর্মীয় অঙ্গ বলে মনে করেন। মহরমের চাঁদ দেখার রাত থেকে জারিগানের সঙ্গে শুরু হয় জারিনাচ, চলে প্রায় দশদিন। সাধারণত এক-একটি দলে ১৫-২০ জন কিশাের ও তরুণ এই নাচে অংশ নেয়। দলের প্রধান যিনি, তিনি গান করেন, কিন্তু নাচে অংশগ্রহণ করেন না। গায়ককে অঞ্চলবিশেষে হাদি, ওস্তাদ, বয়াতি, জোগালি ইত্যাদি নামে বােঝানাে হয়ে থাকে। গানে ও নাচে অংশগ্রহণকারীদের ‘পাইল’, ‘দোহার’ বলা হয়।
সাধারণত প্রতিদিনের ব্যবহারের লুঙ্গি, শার্ট বা গেঞ্জি, হাতে ও মাথায় লাল রুমাল জড়িয়ে জারিয়ালরা নেচে থাকে। কেউ কেউ পায়ে নূপুর বাঁধে। কোথাও বয়াতি চটি নামক চামড়ার তৈরি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে, দোহাররা হাততালি দেয়। মুরশিদাবাদে ঝরানি বাদ্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জারিনাচ বৃত্তাকার রেখায় হয়ে থাকে। মূল গায়েন প্রধানত কারবালার করুণরসের গাথা গায়, দোহারেরা দিশা বা গড়ান গেয়ে তাকে সাহায্য করে। শােকার্তভাব ফুটিয়ে তােলাই জারিগান বা জারিনাচের মূল লক্ষ্য। উৎসবের শেষ দিনে স্থানীয় কোনাে দরগাহ বা নকল কারবালায় বিভিন্ন দলের সমাবেশে নাচ-গান অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও।
পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে।
কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও।
কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে।
বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
Leave a comment