জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ :

আমরা জানি, কোন অণু, পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করলে তাকে জারণ বিক্রিয়া এবং কোন অনু, পরমানু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করলে তাকে বিজারণ বিক্রিয়া বলে।
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে তার ব্যাখ্যা করা যায়। সোডিয়াম পরমানু তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস থেকে একটি ইলেকট্রন বেশি থাকায় সোডিয়াম পরমানু সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর হতে একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে সোডিয়াম আয়ন (Na+) গঠন করে এবং জারিত হয়। 

অপরদিকে ক্লোরিন পরমাণুতে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস থেকে একটি ইলেকট্রন কম থাকায় ক্লোরিন পরমাণু তার বাইরের শক্তিস্তরে একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়ন (Cl-) গঠন করে এবং বিজারিত হয়। সোডিয়াম পরমাণু যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়েছে ক্লোরিন পরমাণু ঐ ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়েছে। কাজেই বলা যায় জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটনা।
Na ——–> Na+    + e-  ( জারন অর্ধ বিক্রিয়া)
Cl + e-  ——-> Cl-  (বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া)

  

2FeCl₂ + Cl₂ ——-> 2FeCl₃ 

বিক্রিয়াটিতে জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ :

বিক্রিয়ক ফেরাস ক্লোরাইডে আয়রনের জারণ সংখ্যা +2. এই ফেরাস আয়ন একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ফেরিক আয়ন গঠন করে জারিত হয় এবং এর জারণ সংখ্যা হয় +3. অপরদিকে বিক্রিয়ক ক্লোরিন অণুর জারণ সংখ্যা শূন্য ছিল। ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়ন গঠন করে বিজারিত হয়। উৎপাদে ক্লোরাইড আয়নের জারণ সংখ্যা -1হয়। বিক্রিয়াটিতে ফেরাস আয়ন যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়েছে ঠিক ঐ ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণু গ্রহণ করে বিজারিত হয়েছে। 

অর্থাৎ জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে।
Fe²+  ——-> Fe³+  +e- (জারন অর্ধ বিক্রিয়া)
Clº + e-   ——> Cl- (বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া)

আবার, বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান সংঘটিত হওয়ার জন্য বিক্রিয়াটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া