কোন বিক্রিয়ায় যদি ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে এবং বিক্রিয়ক ও উৎপাদের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে তবে বিক্রিয়াটিতে জারণ বিজারণ ঘটবে। অন্যথায় বিক্রিয়াটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া নয়।
₀ ₀ +1×2-2
2H₂ + O₂ ——–> 2H₂O
H₂ ——> 2H+ (জারণ বিক্রিয়া)
এখানে, বিক্রিয়ক হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে হাইড্রোজেনের (H+) জারণ সংখ্যা +1. অর্থাৎ হাইড্রোজেন পরমাণু একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়ক অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা শূন্য এবং উৎপাদে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -2. অক্সিজেন পরমাণু দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়েছে।
২.
এখানে, বিক্রিয়ক SnCl₂ এ টিনের জারণ সংখ্যা +2 এবং উৎপাদে টিনের জারণ সংখ্যা +4. Sn²+ দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Sn⁴+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়ক FeCl₃ এ আয়রনের জারণ সংখ্যা +3 এবং উৎপাদে আয়রনের জারণ সংখ্যা +2. Fe³+ একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Fe²+ অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক PCl₅ এ ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1 এবং উৎপাদে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা 0 .
Cl- একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Clº অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়ক PCl₅ এ ফসফরাসের জারণ সংখ্যা +5 এবং উৎপাদে ফসফরাসের জারণ সংখ্যা +3. P⁵+ দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে P³+ অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক H₂ এ হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা +1 . H₂ দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে 2H+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে I₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে আয়োডিনের জারণ সংখ্যা -1. I₂ দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে 2I- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক N₂ এ নাইট্রোজেনের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে নাইট্রোজেনের জারণ সংখ্যা +2 . N দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে N²+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে O₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -2.অক্সিজেন দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে O²- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক N₂ এ নাইট্রোজেনের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে নাইট্রোজেনের জারণ সংখ্যা -3 . N তিনটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে N³- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক FeCl₂ এ আয়রনের জারণ সংখ্যা +2 এবং উৎপাদে আয়রনের জারণ সংখ্যা +3 Fe²+ একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Fe³+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে Cl₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1. ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়ক SO₂ এ সালফারের জারণ সংখ্যা +4 এবং উৎপাদে সালফারের জারণ সংখ্যা +6 . S⁴+ দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে S⁶+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
O² – অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে। যেহেতু বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটেছে, সেহেতু বিক্রিয়াটি একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া।
এখানে, বিক্রিয়ক H₂S এ সালফারের জারণ সংখ্যা -2 এবং উৎপাদে সালফারের জারণ সংখ্যা 0 . S² – দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Sº অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে Cl₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1. ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে
Cl- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়কে অ্যালুমিনিয়ামের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে অ্যালুমিনিয়ামের জারণ সংখ্যা +3. Alº তিনটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Al³+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
O² – অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে। যেহেতু বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটেছে, সেহেতু বিক্রিয়াটি একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া।
2Ca + O₂ ——-> 2CaO
এখানে, বিক্রিয়কে ক্যালসিয়ামের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ক্যালসিয়ামের জারণ সংখ্যা +2.
Caº দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Ca²+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
O² – অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে। যেহেতু বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটেছে, সেহেতু বিক্রিয়াটি একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া।
এখানে, বিক্রিয়কে সোডিয়ামের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে সোডিয়ামের জারণ সংখ্যা +1.
Naº একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
O² – অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে। যেহেতু বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটেছে, সেহেতু বিক্রিয়াটি একটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া।
এখানে, বিক্রিয়কে সোডিয়ামের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে সোডিয়ামের জারণ সংখ্যা +1.
Naº একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Na+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে Cl₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1. ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে
Cl- অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
এখানে, বিক্রিয়কে ক্যালসিয়ামের জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ক্যালসিয়ামের জারণ সংখ্যা +2.
Caº দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Ca²+ অর্থাৎ জারিত হয়েছে।
আবার বিক্রিয়কে F₂ এর জারণ সংখ্যা 0 এবং উৎপাদে ফ্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1. ফ্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে
F – অর্থাৎ বিজারিত হয়েছে।
2F + 2e ——-> 2F – (বিজারণ বিক্রিয়া)
Leave a comment