জামিন ( Bail): জামিনের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধিতে দেয়া হয় নি । তবে জামিন সংক্রান্ত বিধানাবলী এতে রয়েছে। সাধারণত জামিন বলতে সংশ্লিষ্ট আদালতে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির করার শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে আইনগত হেফাজত হতে মুক্তি প্রদান করে জামিনদারের নিকট সমর্পণ করা বুঝায়।
আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দোষ হিসেবে গন্য করাই আইনের একটা নীতি। তাই বিচারের পূর্বে অযথা আটক রাখা আইন সমর্থন করে না। আবার বিচারের সময় আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তির হাজির থাকাও আবশ্যক। তাই শর্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দানের ব্যবস্থা রয়েছে। জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজ অধিকার বলেই জামিনের আবেদন করতে পারে এবং আদালত সেক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করতে বাধ্য থাকে। কিন্তু জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বা সুবিবেচনার উপর নির্ভর করে। কিন্তু এই ক্ষমতা ইচ্ছা মাফিক প্রয়োগ না করে আইনানুগ বা বিবেকসঙ্গতভাবে প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণত মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য সকল অপরাধের ক্ষেত্রে আদালত জামিন মঞ্জুর করে থাকেন। মৃত্যুদণ্ড বা যাজজ্জীবন কারাদণ্ডের মত অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ কতিপয় ক্ষেত্রে, যেমন মহিলা অপরাধী অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধী, ইত্যাদির ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যায়।
Leave a comment