জানার জন্য শিক্ষা বলতে সেই শিখন প্রক্রিয়াকে বােঝায়, যা শিক্ষার্থীকে বিশ্বজগতের নানান বস্তু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে, মানুষকে জ্ঞানের বিকাশের পথে অগ্রসর করে।
(১) সাধারণ শিক্ষা ও সীমিত বিষয়ে জ্ঞানের সমন্বয়সাধন : সাধারণ শিক্ষা ও সীমিত বিষয়ে জ্ঞানের সমন্বয়সাধন, সাধারণ শিক্ষা ও সীমিত শিক্ষার সমন্বয় ব্যক্তির জীবনে জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটাবে, এবং দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার মােকাবিলা করা, জীবনব্যাপী বিভিন্ন পদক্ষেপে অভিযােজনে সক্ষম করে তুলবে।
(২) কৌতূহল ও আগ্রহ: জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ মেটায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কৌতূহল আরও বৃদ্ধি করে, যা জ্ঞানার্জনের ইচ্ছাকে ব্রমশ বাড়িয়ে তােলে ও শিক্ষার মাধ্যমে তার তৃপ্তি ঘটে।
(৩) জ্ঞানের মৌলিক উপাদানের অনুশীলন: জ্ঞানের উপাদান হল স্মৃতি, মনঃসংযোগ, চিন্তন, ক্ষমতা। এগুলি অনুশীলনের মাধ্যমে জ্ঞানের আত্তীকরণ সম্ভব। ধ্যান, যােগ ইত্যাদির দ্বারা মনঃসংযােগ বৃদ্ধি করতে হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়ানাের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে। এসকল বিষয় বিদ্যালয়ের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
উপরােক্ত আলােচনার মাধ্যমে বােঝা যায়, জ্ঞান শিক্ষার অন্যান্য উদ্দেশ্য পূরণে বিদ্যালয় নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে থাকে। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে অভিযোজনের মাধ্যমে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। জ্ঞান শিক্ষার্থীকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় বিষয়ে সচেতন করে।
Leave a comment