জনগণের সচেতনতা, প্রেষণা এবং অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উপযুক্ত মাধ্যম ও যােগাযােগের সাহায্যে সারা দেশব্যাপী একটি কৌশল গ্রহণ করা হয়। জাতীয় স্তরে, রাজ্য স্তরে এবং জেলা স্তরে প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলিকে উন্নতমানের শিখন উপাদান প্রস্তুত করতে বলা হয়। কেন্দ্র, রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটরি সকলেই সাক্ষরতা প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল NLM।
(১) সাক্ষরতাকেন্দ্র: সরকারি উদ্যোগে বয়স্কদের স্বাক্ষর করতে দেশে প্রায় ৫০ হাজার সাক্ষরতা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
(২) নৈশ বিদ্যালয় : সাক্ষরতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেশের যুব সংগঠন ও ক্লাব গুলি নৈশ বিদ্যালয় চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো চালানাের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অনুদান দিয়ে থাকে।
(৩) প্রথা বহির্ভূত শিক্ষার : বিভিন্ন কারণে যে সকল ছেলে মেয়ে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি, বা কোনাে কাজ করার ফলে বিদ্যালয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে, তাদের জন্য প্রথা বহির্ভূত শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এটি প্রথাগত শিক্ষার সঙ্গে সমমানের হবে।
(৪) ন্যাশনাল অথরিটি অন এডাল্ট এডুকেশন : এই কমিটি ক্যাবিনেটের মতামত ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রীর নেতৃত্বে এই কমিটি থাকবে।
(৫) জনশিক্ষা নিলয় : জনশিক্ষা নিলয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত পরবর্তী শিক্ষা চর্চার সুযোগ পায়। যাতে বয়স্ক শিক্ষার্থীরা সুযোগের অভাবে অক্ষর জ্ঞান ভুলে না যায়, তাই ধারাবাহিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনশিক্ষা নিলয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(৬) মহিলা মন্ডল : সরকারি আর্থিক সহায়তায় মহিলাদের স্বাক্ষর করতে মহিলা মণ্ডল’ গঠিত হয়েছে।
(৭) অবসর বিনোদন মূলক কেন্দ্র : কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত গ্রামাঞ্চলের অবসর বিনোদনমূলক কেন্দ্রগুলো সাক্ষরতা কর্মসূচির দায়িত্ব পালন করছে।
(৮) District Resource Centre : DIET-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে District Resource Centre প্রযুক্তিগত ব্যাপারে জেলা শিক্ষাবোর্ডকে সহায়তা করবে।
Leave a comment