শিক্ষক আমাদের সবার কাছে ভালোবাসার এবং শ্রদ্ধার ব্যাক্তি। আমাদের জ্ঞান এবং আলোর
পথপ্রদর্শক হলেন আমাদের শিক্ষক। একজন শিক্ষক ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালায়
আর শিক্ষকদের সম্মানার্থে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। তাই আমাদের জাতীয় শিক্ষক
দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তোমরা যারা জাতীয়
শিক্ষক দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা জানতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
শিক্ষকেরা আমাদের গুরুজন, আমাদের প্রিয় জন, আমাদের ভালবাসার মানুষ। তাই জাতীয়
শিক্ষক দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। নিচে
জাতীয় শিক্ষক দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো-
পোস্ট সূচিপত্রঃ জাতীয় শিক্ষক দিবস – শিক্ষক দিবস – রচনা
ভূমিকা
শিক্ষা একটি জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির প্রধান ধারক ও বাহক। আর শিক্ষাকে অগ্রগতির
পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যক্তির নাম হল শিক্ষক। শিক্ষক হলো শিক্ষার মূল উৎস
এবং প্রাণ। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ই অক্টোবর জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন
করা হয়। একজন শিক্ষকের মানবিক দিক, পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ওপর
নির্ভর করে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত উৎকর্ষ। একজন দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকই পারেন
মূল্যবোধ সম্পূর্ণ শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের সংকট
উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে।
শিক্ষকদের সম্মানার্থে তাই তো কবি কাদের নেওয়াজ লিখেছেন তার বিখ্যাত কবিতা
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা। আর এই কবিতার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি একজন শিক্ষক কত
সম্মানিত। তিনি তার কবিতার মাধ্যমে সমগ্র শিক্ষক জাতিকে জানিয়ে দেন-
- “শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
- দিল্লির পতি সে তো কোন্ ছার,
- “আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির
- সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশা আলমগীর”।
শিক্ষক দিবস কি
শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ যে দিবস পালন করা হয় তাকে শিক্ষক
দিবস বলা হয়। আর এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়।
প্রতিবছর পাঁচ ৫ ই অক্টোবর জাতীয় শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। আর এ দিবস
পালনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে তৈরি হয় মেলবন্ধন।
শিক্ষক দিবসের ইতিহাস
১৯৬৬ সালের পাঁচ ৫ই অক্টোবর শিক্ষকদের অবস্থা নিয়ে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে
আন্তঃ সরকার সম্মেলন হয়েছিল। আর এই সম্মেলনেই ইউনেস্কো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম
সংগঠন শিক্ষকদের কথা চিন্তা করে কিছু পরামর্শের স্বাক্ষর করেন। আর শিক্ষকদের
অধিকার, দায়িত্ব এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষকতা পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে এটি ছিল
বিশ্বব্যাপী প্রথমবারের মতো পরামর্শ। জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোতে ১৯৯৪
সালে ২৬ তম অধিবেশন হয়।
এবং এই অধিবেশনেই ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আর
এই ঘোষনার পর থেকেই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঁচ ৫ অক্টোবর যথাযোগ্য
মর্যাদার সাথে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে
ভিন্ন ভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। যেমন আমাদের প্রতিবেশী
রাষ্ট্র ভারতে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশে কোন বিখ্যাত শিক্ষক অথবা উল্লেখযোগ্য
মাইলফলক অর্জনকে কেন্দ্র করেই এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তাই অন্যান্য
আন্তর্জাতিক দিবস গুলোর মত একই সাথে সারা বিশ্বে পালিত না হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর
ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কো ২৬ তম অধিবেশনে ইউনেস্কোর তৎকালীন মহা পরিচালক
ফেডারিক এম মেয়র এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল এর অনুরোধে পাঁচ ৫ই অক্টোবর কে বিশ্ব
শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয়
একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় ভূমিকা হল একজন ব্যক্তি বা ছাত্রের ব্যক্তিত্ব বা
ভবিষ্যৎকে সঠিক ও সুন্দরভাবে রূপ দেওয়া। একজন শিক্ষকই কেবল পারেন একজন
ব্যক্তিকে তার জীবনের সঠিক পথ বেছে নেওয়া বুদ্ধি, উপদেশ বা আদেশ দিতে। আর একজন
ছাত্রের ওপরে ওঠার সিঁড়ি হলো শিক্ষক। আর ঠিক একই কারণে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশে শিক্ষকের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। এমনকি পিতা-মাতার চেয়েও
শিক্ষককে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়। আর শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাঁচ
৫ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য
একজন আদর্শ শিক্ষক হলেন দেশ গড়ার কারিগর। ছাত্ররা হলো দেশের ভবিষ্যৎ আর দেশের
এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানুষের মত মানুষ তৈরি করতে পারেন একমাত্র শিক্ষক। একজন
যোগ্য শিক্ষকই পারেন বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করতে।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার আর এই আর শিক্ষক হলেন এবং একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে
শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে এবং শিক্ষা ছাড়া মৌলিক অধিকার পূরণ করা যায় না।
ইউনেস্কোর হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় ২৬৪ মিলিয়ন শিশু ও যুবক স্কুলের
বাইরে। ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পৌঁছে
দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় ছয় কোটি নতুন শিক্ষক প্রয়োজন। আবার আধুনিক বিশ্বের
সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শিক্ষকদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। কারণ একজন
শিক্ষকই প্রকৃত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাকে বিকাশিত করতে পারেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষক দিবস
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর ১০০ টি দেশে শিক্ষক দিবস পালন হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশে
শিক্ষক দিবস বিভিন্ন তারিখে পালন হয়। যেমন-
- ভারতে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর।
- অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবার শিক্ষক দিবস পালন হয়।
- ভুটানে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় দুই ২ মে।
- ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ২৫ নভেম্বর।
- মালয়েশিয়ায় শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১৬ মে।
- ইরানে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় দুই ২ মে।
- ইরাকে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১ মার্চ।
- আর্জেন্টিনায় শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১১ সেপ্টেম্বর।
- ব্রাজিলে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১৫ অক্টোবর।
- চীনে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১০ সেপ্টেম্বর।
- তাইওয়ানে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ২৮ সেপ্টেম্বর।
- থাইল্যান্ডে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ১৬ জানুয়ারি।
- সিঙ্গাপুরে শিক্ষক দিবস পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শিক্ষক দিবস পালন করা হলেও শিক্ষক দিবস
পালন করা সবার একই উদ্দেশ্য। আর তা হলো শিক্ষকদের সম্মান করা। একমাত্র
শিক্ষকদের সম্মানার্থেই এই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।
শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা
একজন শিক্ষক হলেন সমাজ গড়ার কারিগর। একজন আদর্শ নিষ্ঠাবান আগামীর প্রজন্ম গড়ে
ওঠে একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরে। আর আমাদের আগামী প্রজন্মকে যিনি সঠিকভাবে
গড়ার দায়িত্ব পালন করেন তিনি হলেন শিক্ষক। আর এই শিক্ষক দিবসে তাই প্রত্যেক
শিক্ষকের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একটি দেশ আছে তাদের
যোগ্য নাগরিক তাই তাদের নিবন্ধে শিক্ষক দিবসের কিছু শুভেচ্ছা বার্তা-
- হে হে মহান মানব, আপনারাই গড়ে দেন জাতির ভবিষ্যৎ।
- বিনম্র শ্রদ্ধায় অবন্ত মোরা, হে মানুষ গড়ার কারিগর।
-
সমাজ গঠনে অসামান্য অবদানের জন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে জানাই শুভ শিক্ষক
দিবস। -
সূর্য যেমন আলো দেয় পৃথিবীকে, আপনারাও তেমনি আলোকিত করেন জাতির ভবিষ্যৎ
কে। -
ফুল যেমন সুবাস ছড়াই বাতাসে, আপনারা ঠিক তেমনি সুভাষ ছড়িয়ে দেন জাতির
পরতে পরতে। -
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া আপনার হাত ধরেই, আপনি শিখিয়েছেন কিভাবে
চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। শিক্ষক দিবসে আপনাকে জানাই প্রণাম।
শিক্ষকদের বর্তমান প্রেক্ষাপট
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের মৌলিক চাহিদা হলো শিক্ষা আর এই শিক্ষা
যিনি প্রদান করে থাকেন তিনি হলেন শিক্ষক। শিক্ষক দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো
শিক্ষকের অবদানকে স্মরণ করা কিন্তু এত কিছুর পরেও শিক্ষকদের সঠিকভাবে মর্যাদা
দেওয়া হয় না। একজন শিক্ষক কোন কোন ক্ষেত্রে তার মৌলিক অধিকারটুকু থেকেও
বঞ্চিত হয়। সবচেয়ে বড় বৈষম্য হলো শিক্ষকদের বেতন কাঠামো। বর্তমান উন্নত
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের শিক্ষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থা করা অত্যন্ত আবশ্যক।
আর এর প্রধান কারণ একজন প্রকৃত শিক্ষকই মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাকে বিকশিত
করেন কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ঠিক না থাকায় একজন
প্রকৃত মেধাবী শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না। এরপরেও এত বাধা-বিপত্তি ছেড়েও
আমাদের গুরুজন শিক্ষকরা এখনো শিক্ষকতা পেশায় আছেন এবং সমাজকে উন্নত করার জন্য
তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের এবারের শিক্ষক দিবসের এটাই লক্ষ্য
হওয়া উচিত শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।
শিক্ষক দিবসের সেরা উক্তি
যদি তুমি জীবনে সাফল্য অর্জন করে থাকো তাহলে মনে রাখবে তোমার পাশে একজন শিক্ষক
ছিল যে তোমাকে সাহায্য করেছিল – বারাক ওবামা
একজন শিক্ষার্থীর মা হলেন তার প্রথম শিক্ষক, আর একজন শিক্ষক হচ্ছেন তার
দ্বিতীয় মা –
যে শিক্ষক প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী তিনি আপনাকে তার জ্ঞানের ঘরে প্রবেশ করার জন্য
অনুরোধ করেন না, বরং আপনাকে আপনার মনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান – খলিল জিব্বান
আমি বরাবরই অনুভব করেছি যে শিক্ষার্থীর জন্য সত্য পাঠ্যপুস্তক তার শিক্ষক –
মহাত্মা গান্ধী
ভালো শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে কিভাবে সেরাটা বের করে আনতে হয় তা
জানেন – চার্লস কোবাল্ট
সৃষ্টিশীল প্রকাশ এবং জ্ঞানের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করা হলো শিক্ষকের সর্ব প্রধান
শিল্প – আলবার্ট আইনস্টাইন
একজন মহান ও আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গুণ অবশ্যই থাকা উচিত করুণা,
জ্ঞান এবং অদম্য ইচ্ছা শক্তি – এ পি জে আব্দুল কালাম
একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন
ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশি শিখতে পারে – এপিজে আব্দুল
কালাম
শিক্ষকগণ, আমি বিশ্বাস করি সমাজের সর্বাধিক দায়িত্বশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য
হলেন আপনারা। কারণ আপনাদের পেশাদার প্রচেষ্টা পৃথিবীর ভাগ্যকে প্রভাবিত করে।
যদি কোন দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয় এবং সবার মধ্যে সুন্দর মনের মানসিকতা গড়ে ওঠে
আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি সেখানকার সামাজিক জীবনে তিন রকম মানুষ থাকবে
যারা পরিবর্তন আনতে পারে তারা হলেন পিতা, মাতা ও শিক্ষক – এপিজে আবদুল কালাম
আমাদের মনে রাখতে হবে একটি বই, একটি কলম, একটি শিশু এবং একজন শিক্ষক বিশ্বকে
পরিবর্তন করতে পারে – মালালা ইউসুফজাই
শিক্ষক হলেন পরিচালক ও নির্দেশক তিনি নৌকাটি চালিয়ে যান কিন্তু চালিকা শক্তির
উৎস হলো শিক্ষার্থী – জন ডিউই
মাঝারি মানের শিক্ষক বলেন, ভালো শিক্ষক বুঝিয়ে দেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক করে দেখান,
মহান শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন – উইলিয়াম অর্থার ওয়ার্ড
একজন শিক্ষক সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে কেউ বলতে পারেনা তার প্রভাব কোথায় গিয়ে
শেষ হয় – হেনরি এডামস
সত্যিকারের শিক্ষক তাঁরাই যারা আমাদের ভাববে সাহায্য করেন – সর্বপল্লী রাধা
কৃষ্ণণ।
তিনজনই পারেন একটি দেশ বা জাতিকে বদলাতে তারা হলেন বাবা-মা ও শিক্ষক- এপিজে
আবদুল কালাম
শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব
শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। যাদের নির্দেশনা ছাড়া আমরা জীবনের লক্ষ্য
অর্জন করতে পারি না তারা হলেন শিক্ষক। তাই শিক্ষার গুরুত্ব আমাদের জীবনে এত
বেশি যে তাছাড়া আমরা সফল হতে পারি না। শিক্ষক ছাড়া মানুষ অসম্পূর্ণ আর এখান
থেকেই আমরা অনুমান করতে পারি যে, আমাদের প্রতিটি ছাত্রের জীবন গঠনে একজন
শিক্ষকের অবদান কতটা রয়েছে।
একজন শিক্ষকই আমাদের জীবনের পথ প্রশস্থ করেন একজন ভালো শিক্ষকের অভাবে একজন
মানুষ পথভ্রষ্ট হয় যে কোন দেশ ও জাতির মজবুত ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকেন একজন মহান শিক্ষক। আর তাই শিক্ষকদের সম্মানার্থে শিক্ষক
দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
উপসংহার
মানুষ গড়ার কারিগর হলেন একজন শিক্ষক। আর প্রতি বছর ৫ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক
দিবস পালন করা হয় আর এই দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষকদের অবদানের
স্বীকৃতি স্বরূপ এবং তাদের সম্মানার্থে এই দিবস পালন করা হয়। একজন শিক্ষক কত
সম্মানিত আমরা তা বুঝতে পারি কবি কাদের নেওয়াজ এর শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতার
মাধ্যমে। পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত শিক্ষকরা সম্মানিত
ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
Leave a comment