পল্লিকবি জসীমউদ্দীন বাংলা কাব্যে একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে তার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৌলবি আনসার উদদীন আহমদ। তিনি বাল্যকালে অম্বিকা মাস্টারের পাঠশালায় হাতেখড়ি নেন। অতঃপর ফরিদপুর জেলা স্কুল শেষ করে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৭-১৯৪৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৪ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক সরকারের প্রচার ও জনসংযোগ বিভাগে আসীন হন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
ড. দীনেশচন্দ্র সেনের ভাষায়, “তিনি দেশের পুরাতন রত্নভাণ্ডার নতুনভাবে উজ্জ্বল করিয়াছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে অনাগত রাজ্যের বার্তা বহিয়া আনিয়াছিলেন।” শুরুতেই তার কাব্য সুধীমহলের অভিনন্দন লাভ করেছিল। ‘কবর’ কবিতাটি তাকে বিখ্যাত করে তুলেছিল। গ্রাম্যজীবন ও গ্রাম্য পরিবেশ ছিল তার কাব্যের মূল উপজীব্য। তাই বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনি পল্লিকবি নামে অভিষিক্ত। জসীমউদ্দীনের সাহিত্যকর্ম আপন সীমিত পরিমণ্ডলে যথেষ্ট বৈচিত্র্যধর্মী। তার বৈচিত্র্যধর্মী সাহিত্যকর্মকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
খণ্ড কবিতাগুচ্ছ: রাখালী, বালুচর, ধানক্ষেত, রূপবতী, মাটির কান্না।
কাহিনি কাব্য: নকশী কাঁথার মাঠ, মা যে জননী কান্দে, সোজন বাদিয়ার ঘাট।
শিশু কাব্য: এক পয়সার বাঁশি, হাসু।
গীতিমঞ্জুষা: রঙ্গিলা নায়ের মাঝি।
নাটক: বেদের মেয়ে, পল্লীবধূ।
উপন্যাস: বোবাকাহিনি, হলদে পরীর দেশে।
স্মৃতি কথা: ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, জীবন কথা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment