অনুচ্ছেদ লিখন বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি অবিচ্ছেদ অংশ। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় জন্মদিনের সন্ধ্যা – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি জন্মদিনের সন্ধ্যা – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা যারা পরীক্ষায় জন্মদিনের সন্ধ্যা – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
জন্মদিন প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আর এই আনন্দঘন মুহূর্তটাকে সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারা একটি অন্যরকম বিষয়। প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমাদের জন্য নিচে জন্মদিনের সন্ধ্যা – অনুচ্ছেদ বিস্তারিতভাবে লিখা হলো-
জন্মদিনের সন্ধ্যা – অনুচ্ছেদ
“জন্মদিনের শুভ সন্ধ্যা সূচনা হলো
তাই আমার এই হৃদয় জুড়ালো”।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি বিশেষ দিন থাকে যে দিনটি তার জীবনে একেবারে ভিন্ন রকম ভাবে আসে তা হলো তার জন্মদিন। প্রতিটি মানুষের কাছে তার জন্মদিন অনেক প্রিয় একটি দিন। একটি মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার পর থেকে যতদিন পর্যন্ত সে বেঁচে থাকে ততদিন পর্যন্ত সে তার এই বিশেষ দিনকে অর্থাৎ জন্মদিন কে মনে রাখে। জন্মদিন কে ঘিরে প্রতিটি মানুষের একটা আলাদা চিন্তাভাবনা থাকে। এই দিনে সে কি করবে, কিভাবে এই দিনটা সে উদযাপন করবে আরো কত কি!
আরো পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ – সেরা ৫০ টি – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
আর যদি এই জন্মদিনের সন্ধায় তার প্রিয়জনেরা বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাহলে তো এর চেয়ে আর আনন্দের কিছু হতেই পারে না। যখন জন্মদিনের সন্ধ্যায় আমন্ত্রিতরা একে একে বাড়িতে এসে হাজির হয়, শুভেচ্ছা জানাই, কিছু না কিছু উপহার হিসেবে তার হাতে তুলে দেয় তখন মন খুশিতে ভরে যায়। জন্মদিনের সন্ধাকে ঘিরে কেকের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে মোমবাতিতে ফু দিয়ে মোমবাতি নিভিয়ে কেক কাটা হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত – রচনা (৬ – ১২ সকল শ্রণীর জন্য)
সবাই কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলে হ্যাপি বার্থডে টু ইউ। তারপর শুরু হয় অতিথিদের কলতালিতে মুখরিত একটি পরিবেশ। সকলের চোখে মুখে আনন্দের বন্যা যেন বয়ে যায়। শুধু কেক কাটার মধ্যে দিয়ে জন্মদিনের সন্ধ্যা শেষ হয়ে যায় না, এর পরে থাকে নৈশ ভোজের আয়োজন আর এখানে থাকে বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবার। তবে এই আয়োজন হয় তাদের জন্যই যাদের জন্ম টা হয়েছে সোনার চামচ মুখে দিয়ে। তবে যারা সচ্ছল পরিবারের সন্তান নয় তাদের জন্মদিনের সন্ধ্যা
হয়তো অন্য রকমের আয়োজন হয় বা আয়োজন হয় না।তবে আয়োজন হোক আর না হোক জন্মদিনের সন্ধ্যা প্রতিটা মানুষের জীবনকে নাড়া দেয়। মানুষের মনকে বুঝিয়ে দেয় তার জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে গেল এবং সামনে উপস্থিত হলো আরো নতুন একটি বছর।
শেষ কথা
জন্মদিনের সন্ধ্যা সবার কাছে অনেক প্রিয় একটি মুহূর্ত তবে এই মুহূর্তটাকে আরো আবেগ ঘন করার জন্য যাদের জন্মদিন তারা ইচ্ছে করলে গরিব মানুষের মাঝে তাদের আনন্দটা ভাগ করে নিতে পারে। অযথা অপচয় না করে যদি সেই টাকা দিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় তাহলে হয়তো এই সন্ধ্যাটা হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়।
Leave a comment