কোনাে দেশের মােট জনসংখ্যা ও মােট জমির আয়তনের অনুপাতকে সেখানকার জনঘনত্ব বলে।
জনঘনত্ব নির্ধারক বিষয়দুটি হল কোনাে অঞ্চলের মােট জনসংখ্যা ও মােট জমির পরিমাণ।
কোনাে দেশ বা অঞ্চলের জনসংখ্যার সঙ্গে কার্যকরী জমির অনুপাতকে মানুষ-জমি অনুপাত বলে।
জনসংখ্যার বিবর্তন বা পরিবর্তন তত্ত্বে কোনাে দেশের জনসংখ্যা পরিবর্তনের ক্রমপর্যায় বােঝানাে হয়।
যেসব অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 100 জনের বেশি তাকে অতি নিবিড় জনঘনত্ব অঞ্চল বলে।
নিবিড় জনঘনত্ব অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 51 থেকে 100 জন।
মধ্য বা নাতি-নিবিড় জনঘনত্ব অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 11 থেকে 50 জন।
বিরল জনবসতি অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 1 থেকে 10 জন।
অতি-বিরল জনবসতি অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 1 জনের কম।
জনসংখ্যার বিবর্তন জন্মহার, মৃত্যুহার ও পরিব্রাজনের মাত্রার ওপর নির্ভরশীল।
ভারতের প্রথম আদমশুমারিতে ডাব্লিউ. ডাব্লিউ. হান্টার-এর উল্লেখযােগ্য অবদান রয়েছে।
জনগণনাকালীন নারী ও পুরুষের অনুপাতকে প্রগৌণ বা টার্সিয়ারি লিঙ্গ অনুপাত বলা হয়।
2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের নারী ও পুরুষের অনুপাত 950 : 1000।
ভারতে 2011 জনগণনা অনুযায়ী অরুণাচল প্রদেশের (17 জন/বর্গকিমি) জনঘনত্ব সর্বনিম্ন।
উন্নত দেশগুলিতে বয়স্ক জনসংখ্যার (60 বছরের বেশি) আধিক্য দেখা যায়।
ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, 2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত মেঘালয় (27.80%) রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক।
ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, 2001 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত নাগাল্যান্ড (-0.50%) রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন।
ভারতের জনগণনার ইতিহাসে 1921 সালের জনগণনা বিখ্যাত কারণ— এই জনগণনার দ্বারাই সর্বপ্রথম অবনমিত শ্রেণিকে চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়ার সূচনা হয়।
ভারতবর্ষে Census of India আদমশুমারি পদ্ধতিটি সঞ্চালনা করে।
কোনাে দেশের জনসংখ্যা যখন সেই দেশের উৎপাদিত সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে বা কার্যকরী জমির অনুপাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে, তখন সেই জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যা বলে।
কাম্য জনসংখ্যার দুটি বৈশিষ্ট্য হল—(i) এটি জনাকীর্ণতা ও জনস্বল্পতার নির্ধারক (ii) এটি জনসংখ্যা ও উৎপাদিত সম্পদের মধ্যে ভারসাম্য সূচক।
কোনাে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা কম হলে, তাকে জনস্বল্পতা বলে
কোনাে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলে, তাকে জনাকীর্ণতা বলে।
বিশ্বের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, আমাজনের জঙ্গল, কালাহারি মরুভূমি অঞ্চল, চিরতুষারাবৃত ভূখণ্ড প্রভৃতি অঞ্চলে জনস্বল্পতা দেখা যায়।
জনাকীর্ণতা চিন, ভারত, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি = (জন্ম – মৃত্যু) + পরিব্রাজন।
জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার হঠাৎ কমে গেলে জনসংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়, জনসংখ্যার এরূপ বৃদ্ধিকেই জনবিস্ফোরণ বলে।
যে লেখচিত্রের সাহায্যে কোনাে দেশ বা অঞ্চলের জনসাধারণের বয়ঃক্রম অনুযায়ী নারী-পুরুষের জন্ম মৃত্যুর মাত্রা ও গঠনবিন্যাস প্রকাশ করা হয়, তাকে জনসংখ্যা পিরামিড বলে।
উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা পিরামিড ত্রিভুজ এবং ধনুক আকৃতির হয়।
উন্নত দেশের জনসংখ্যা পিরামিড উত্তল ধরনের, ঘণ্টা বা বেল অথবা নাসপাতির মতাে আকৃতিবিশিষ্ট হয়।
ইথিওপিয়া, নাইজিরিয়া, উগান্ডা প্রভৃতি দেশ হল প্রথম শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিডের অন্তর্গত।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ হল দ্বিতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিডের অন্তর্গত।
পশ্চিম ইউরােপের দেশগুলিতে তৃতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড দেখা যায়।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশ হল চতুর্থ শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিডের অন্তর্গত।
নরওয়ে, ইটালি, জাপান প্রভৃতি দেশ হল পঞ্চম শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিডের অন্তর্গত।
ম্যালথাসের তত্ত্ব অনুযায়ী জনসংখ্যা গুণােত্তর প্রগতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ম্যালথাসের তত্ত্ব অনুযায়ী খাদ্যের জোগান সমান্তর প্রগতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
যেসব দেশে জন্ম ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি হওয়ায় জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমি বেশি বিস্তৃত এবং মস্তকদেশ তীক্ষ্ণ, এরূপ পিরামিডবিশিষ্ট দেশ সমূহের জনসংখ্যাকে অগ্রগামী জনসংখ্যা বলে।
কোনাে দেশের মােট কার্যকরী জমি বা সম্পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনসংখ্যার পরিমাণ হল সেই দেশের কাম্য জনসংখ্যা। অপরদিকে, কোনাে দেশের মােট কার্যকরী জমি ও মােট জনসংখ্যার অনুপাত হল মানুষ-জমি অনুপাত।
যেসব দেশে জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই কম হওয়ায় জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমি ও মস্তকদেশ কম প্রশস্ত, এরূপ পিরামিডবিশিষ্ট দেশসমূহের জনসংখ্যাকে পশ্চাদগামী জনসংখ্যা বলে।
জমির কার্যকারিতা সর্বদা পরিবর্তনশীল হওয়ায় মানুষ-জমি অনুপাতের ধারণাটি গতিশীল প্রকৃতির।
কোনাে দেশের মােট জনসংখ্যা এবং সেই দেশের মােট কার্যকরী জমির অনুপাতকে মানুষ-জমি অনুপাত বলে। অন্যদিকে, কোনাে দেশের মােট জনসংখ্যা এবং সেই দেশের মােট জমির অনুপাতকে জনঘনত্ব বলে।
স্বেচ্ছায় বা বাধ্যতামূলকভাবে স্থায়ী বা অস্থায়ীরূপে মানুষের স্থান থেকে স্থানান্তরে বিচলন প্রক্রিয়াকে পরিব্রাজন বলে।
যেসব জমি মানুষের কাজে আসে অথবা যেসব জমি থেকে মানুষ সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে, সেই জমিকে কার্যকরী জমি বলে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনঘনত্ব অতি নিবিড় প্রকৃতির, প্রতিবর্গকিমিতে 100 জনের বেশি।
শিল্পবিপ্লবের আগের পর্যায়কে, যখন জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি ছিল।
জনসংখ্যা ঘনত্ব থেকে আমরা কোনাে দেশের জনসংখ্যার বণ্টন সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি।
পরিব্রাজন ও মানুষ-জমি অনুপাতের সমানুপাতিক সম্পর্ক অর্থাৎ মানুষ ও জমির অনুপাত যত বেশি হবে পরিব্রাজনের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে।
খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে জমির কার্যকরী ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে তােলা হল জমির অভ্যন্তরীণ বহন ক্ষমতা।
প্রাক-শিল্প পর্যায়ে জনবিবর্তনের বৈশিষ্ট্য হল জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই বেশি হয় বলে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি খুবই কম।
আদর্শ মানুষ-জমি অনুপাতকে কাম্য জনসংখ্যা বলে।
দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ ও জমির কার্যকারিতার ওপর কাম্য জনসংখ্যা নির্ভরশীল।
কাম্য জনসংখ্যা দেখা যায় এমন দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ড প্রভৃতি।
বিগত বছরগুলির জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে জনসংখ্যা অভিক্ষেপ নির্ণয় করা হয়।
যেসব অঞ্চলে প্রতি বর্গকিমিতে 11-50 জন লােক করে সেই অঞ্চলকে নাতি নিবিড় জনবসতিযুক্ত অঞ্চল বলে।
উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমিভাগ ও শীর্ষদেশ উভয়ই খুব তীক্ষ্ণ হয়।
পশ্চাদগামী জনসংখ্যা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর-পশ্চিম ইউরােপের দেশসমূহ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে দেখা যায়।
কোনাে দেশের এক বছরে জন্ম ও অভিবাসনের মােট সংখ্যা, মৃত্যু ও প্রবাসনের মােট সংখ্যার সমান হলে সেই দেশের জনসংখ্যার কোনাে পরিবর্তন হয় না, এইরূপ অবস্থাকে শূন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলে।
জনবিবর্তন তত্ত্বের চতুর্থ পর্যায়ে শূন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেখা যায়।
মানুষ-জমি অনুপাত থেকে আমরা কোনাে দেশের আদর্শ বা কাম্য জনসংখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারি।
কোনাে দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার 1%-এর কম হলে, তাকে শূন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা স্থিতিশীল জনসংখ্যা বলে
শূন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি কোনাে দেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে সূচিত করে।
জনস্বল্পতার প্রভাবে কোনাে দেশে শ্রমশক্তির অভাবে সম্পদ উৎপাদন ব্যাহত হয়, ফলে সেই দেশটি কৃষি ও শিল্পে উন্নতি লাভ করতে পারে না।
কোনাে দেশে যখন প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হয় তখন সেই দেশে অতি-জনাকীর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পৃথিবীতে মানুষের প্রথম আর্বিভাব ঘটেছে আজ থেকে প্রায় 10 থেকে 20 লক্ষ বছর আগে।
জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের প্রথম পর্ব বা পর্যায়ের নাম প্রাক্ শিল্প পর্যায়।
আটাকামা মরুভূমিতে নাইট্রেট খনিজ ভাণ্ডারের অবস্থিতি সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জনবসতির বিকাশ লাভে সহায়তা করেছে।
দেশের মধ্যে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে পরিব্রাজন বেশি হয়।
ইউরােপের জন-অক্ষ বলতে সাধারণত ইংলিশ চ্যানেল থেকে রাইন উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে বােঝায়।
বয়ঃলিঙ্গ পিরামিড থেকে নারী পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাসের তারতম্য জানা যায়।
উন্নত দেশে উত্তল ও ঘন্টা আকৃতির বয়স-লিঙ্গ পিরামিড হয়। অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশে ত্রিভুজ আকৃতির বয়স-লিঙ্গ পিরামিড হয়।
প্রতি হাজার পুরুষের সাপেক্ষে নারীর সংখ্যার অনুপাতকে লিঙ্গ অনুপাত (Sex-ratio) বলে।
লিঙ্গ অনুপাত তিনপ্রকার। যথা—প্রাথমিক বা প্রাইমারি লিঙ্গ অনুপাত, মাধ্যমিক বা সেকেন্ডারি লিঙ্গ অনুপাত এবং প্রগৌণ বা টার্সিয়ারি লিঙ্গ অনুপাত।
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন প্রাথমিক ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অনুপাতকে প্রাথমিক বা প্রাইমারি লিঙ্গ অনুপাত বলে। এর ব্যবহার তুলনামূলক কম।
জন্মের সময় নারী ও পুরুষের অনুপাতকে মাধ্যমিক বা সেকেন্ডারি লিঙ্গ অনুপাত বলে।
জাপানে শিশু জন্মের প্রত্যাশিত আয়ু সবচেয়ে বেশি।
জন্মহার মৃত্যুহার অপেক্ষা কম হলে বয়স-লিঙ্গ পিরামিডের আকৃতি নাসপাতির মতাে হয়।
কোনাে দেশে শিশু ও কিশােরদের তুলনায় উপার্জনশীল জনসংখ্যা বেশি হলে বয়স-লিঙ্গ পিরামিডটি উত্তল আকৃতির হয়।
ভারতে নারী-পুরুষ অনুপাত নির্ণয়ের সূত্রটি হল—কোনাে নির্দিষ্ট বছরে প্রতি 1000জন পুরুষে মােট নারীর সংখ্যা।
জন্মহার মৃত্যুহার অপেক্ষা কম হলে বয়ঃলিঙ্গ পিরামিডের আকৃতি উত্তল ধরনের হয়।
সেলভা অরণ্যে বনজ সম্পদ সংগ্রহের বিশেষ সুবিধা না থাকায় এখানে জনবসতি বিকাশ লাভ করতে পারে নি।
কোনাে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূল ভিত্তি হল কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্য।
ভারতের বারাণসী, পুরী, হরিদ্বার ও দেওঘরে কেবল ধর্মীয় কারণে জনবসতি গড়ে উঠেছে।
ভারতের শান্তিনিকেতনে শিক্ষায়তনকে কেন্দ্র করে জনবসতি গড়ে উঠেছে।
জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের মূল কথা হল—কোনাে দেশের জনসংখ্যার ধারাবাহিক পরিবর্তন মূলত নেই দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহার দ্বারা নির্ধারিত হয়।
শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়।
জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—এর মাধ্যমে কোনাে দেশের জনসংখ্যা পরিবর্তনের ক্রমপর্যায় অর্থাৎ, কোনাে দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহার দ্বারা নির্ধারিত জনসংখ্যার ধারাবাহিক পরিবর্তন বােঝা যায়।
কোনাে দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার প্রতি হাজারে 18-20 জনের মধ্যে হলে তাকে চিলি হার বলে।
কোনাে শিশুর সম্ভাব্য গড় আয়ুষ্কালকে প্রত্যাশিত আয়ু বলা হয়।
নরওয়ে ও ডেনমার্ক জনবিবর্তন তত্ত্বের পরিণত বা হ্রাস পর্যায়ে অবস্থিত।
গড় জনঘনত্বের তারতম্য অনুসারে ভারতকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। (i) অত্যধিক জনঘনত্ব অঞ্চল, (ii) অধিক জনঘনত্ব অঞ্চল, (iii) মধ্যম জনঘনত্ব অঞ্চল, (iv) স্বল্প জনঘনত্ব অঞ্চল, (v) অতি-স্বল্প জনঘনত্ব অঞ্চল।
ভারতের মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে স্বল্প জনঘনত্ব দেখা যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিরল জনবসতিযুক্ত মহাদেশ হল অ্যান্টার্কটিকা।
উত্তর আমেরিকা মহাদেশটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো নিয়ে গঠিত।
সম্পদ উৎপাদনের পরিমাণ বর্তমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল, কিন্তু ভবিষ্যতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানাে সম্ভব এরূপ অবস্থাকে আপেক্ষিক জনাকীর্ণতা (Relative Over Population) বলে।
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অন্তর্গত দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, নিউজিল্যান্ড।
“The Dictionary of Human Geography গ্রন্থটির রচয়িতা আর.জে.জনস্টন (R. J. Johnston)।
ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে জনসংখ্যা ধনাত্মকভাবে সম্পর্কিত। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে জনসংখ্যারও বৃদ্ধি হবে।
প্রাকৃতিক অবস্থা অনুকুল হওয়া সত্ত্বেও কেবল সাংস্কৃতিক উন্নতির অভাবে সম্পদ উৎপাদন প্রয়ােজনের তুলনায় কম—এরূপ একটি দেশের নাম হল ভারত।
যদি কোথাও জনাধিক্য বা জনাকীর্ণতা এবং কোথাও স্বল্প জনসংখ্যা বা জনবিরলতা সৃষ্টি হয় কেবল তখন মানুষ-জমির আদর্শ অনুপাতের ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।
যে সমস্ত দেশে মৃত্যুহারের চেয়ে জন্মহার কম সেইসব দেশে জনসংখ্যা না বেড়ে বরং হ্রাস পায়, একে জনসংখ্যার ঋণাত্মক বৃদ্ধি বলে।
সাংস্কৃতিক উন্নতি ঘটলেও কেবল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে সম্পদ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে—এরূপ একটি দেশের নাম হল ইজরায়েল।
প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ অনুকূল হলেও কেবল স্বল্প জনসংখ্যার কারনে সম্পদ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এরূপ একটি দেশের নাম হল অস্ট্রেলিয়া।
কোনাে দেশের বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা সম্বন্ধে পূর্বানুমান করাকে জনসংখ্যার অভিক্ষেপ বলে।
পরিব্রাজন প্রধানত দুই প্রকার। যথা-অভিবাসন ও প্রবাসন।
বিভিন্ন অনুকূল কারণের প্রভাবে মানুষ যখন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে আসে, তখন পরিব্রাজনের এই প্রক্রিয়াকে নতুন দেশটির সাপেক্ষে অভিবাসন (Immigration) বলে।
বিভিন্ন প্রতিকূল কারণের প্রভাবে মানুষ যখন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যায়, তখন পরিব্রাজনের এই প্রক্রিয়াকে পূর্ববর্তী দেশটির সাপেক্ষে প্রবাসন (Emigration) বলে।
(i) বিভিন্ন আকর্ষক কারণ, যথা-উচ্চ শিক্ষার সুযােগ, উন্নত চাকরির সুযােগ এবং (ii) অনুকুল প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের উপস্থিতি পরিব্রাজনকে সর্বাধিক প্রভাবিত করে
পরিব্রাজনের দুটি প্রভাব হল—(i) এর ফলে একদিকে যেমন কোনাে স্থানের জনঘনত্বের পরিবর্তন ঘটে, অন্যদিকে, (ii) পরিব্রাজনের ফলে কোনাে স্থানের বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, রীতিনীতি ও সামাজিক অনুশাসনেরও পরিবর্তন ঘটে।
পরিব্রাজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের পরিব্রাজক বলা হয়।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণে যখন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে জনগণ পরিব্রাজন করে তখন তাকে অর্থনৈতিক পরিব্রাজন বলে।
বিভিন্ন সামাজিক কারণে মানুষ যখন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে যে পরিব্রাজন করে তখন তাকে সামাজিক পরিব্রাজন বলে।
পরিব্রাজনকারী যখন স্থানান্তরে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তখন তাকে স্থায়ী পরিব্রাজন বলে।
অস্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে স্থানান্তরে গমন করলে তাকে অস্থায়ী পরিব্রাজন বলে।
একই দেশের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যখন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে জনসংখ্যার স্থানান্তর ঘটে তখন তাকে অভ্যন্তরীণ পরিব্রাজন বলে।
উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশ থেকে বুদ্ধিজীবী, শীর্ষ ব্যবস্থাপক, গবেষক, বিজ্ঞানী প্রমুখের উন্নতদেশে দীর্ঘমেয়াদে স্থানান্তরকে মেধাপ্রবাহ বলে।
যেসব প্রতিকূল কারণের প্রভাবে মানুষ তার বাসস্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়, তাকে বিতাড়ক কারণ বা Push Factor বলে।
যেসব অনুকূল কারণগুলির জন্য মানুষ অন্যত্র গমন করে, সেই কারণগুলিকে আকর্ষক কারণ বা Pull Factor বলে।
দেশের মােট জনসংখ্যাকে বয়স এবং নারী পুরুষ অনুসারে শ্রেণিবদ্ধ করে একটি শঙ্কু আকৃতির কাঠামাে বা পিরামিডের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় একে বয়স লিঙ্গ পিরামিড বলে।
বর্তমানে ভারত জনসংখ্যা বিবর্তন মডেল-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রায় শেষ প্রান্তে বা তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশের মুখে অবস্থান করছে।
পশ্চিম ইউরােপের দেশগুলির জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতি উত্তল ধরনের।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতি ঘণ্টা বা বেল (Bell) আকৃতি হয়।
মােট জনসংখ্যা ও মােট জমির অনুপাতকে গাণিতিক ঘনত্ব (Arithmetic density) বলে।
শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশে অগ্রগামী জনসংখ্যা দেখা যায়।
জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের পর্যায়গুলি হল—(i) প্রাক্ শিল্প পর্যায়, (ii) নবীন পাশ্চাত্য পর্যায়, (iii) আধুনিক পাশ্চাত্য পর্যায়, (iv) পরিণত বা হ্রাস পর্যায়।
উন্নত দেশগুলিতে শিক্ষার বিস্তার ও সামাজিক সচেতনতা অনেক বেশি থাকার কারণ নারী ও পুরুষের জনসংখ্যার ব্যবধান কম।
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে নারী শিক্ষার অভাব, নারীর প্রতি অবহেলা এবং সমাজ সচেতনতার অত্যধিক অভাব থাকার ফলে নারী-পুরুষ জনসংখ্যার ব্যবধান অনেক বেশি হয়
জনসংখ্যা বিবর্তন তত্ত্বের দুজন প্রবক্তা হলেন—ওয়ারেন থম্পসন এবং ফ্র্যাঙ্ক নটস্টাইম।
Leave a comment