প্রশ্নঃ জনমত পরিমাপের পদ্ধতি কী কী? 

অথবা, কীভাবে জনমত পরিমাপ করা যায়? 

অথবা, জনমত পরিমাপের পদ্ধতিসমূহ উল্লেখ কর।

ভূমিকাঃ জনমত কোন বিষয় সম্পর্কে জনগণের সুচিন্তিত ও সুস্পষ্ট অভিমত। আর এ জনমত গঠনের জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। উপর্যুক্ত পরিবেশ পেলে সুষ্ঠু জনমত গড়ে উঠে। জনমত কতটুকু সুষ্ঠু বা সঠিক হলো তা পরিমাপ করা দরকার। জনমত পরিমাপ করার বিভিন্ন পদ্ধতি বা কৌশল রয়েছে। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় একটি দেশে কতটুকু জনমত গড়ে উঠেছে।

জনমত পরিমাপের পদ্ধতিঃ নিম্নে জনমত পরিমাপের পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হলোঃ

১. সাধারণ নির্বাচনঃ আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনমত পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে কোন সরকার বা রাজনৈতিক দলের প্রতি সহজেই জনমতের পরিমাপ করা যায়।

২. জরিপঃ অনেক সময় দেশব্যাপী বা কোন অঞ্চলে জরিপ চালিয়ে জনমত পরিমাপ করা যায়। এ পদ্ধতিতে জনমতের সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটলেও এ পদ্ধতি খুব সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। এ ধরনের জনমত পদ্ধতি সাধারণত নির্বাচনের পূর্বে নেয়া হয়ে থাকে।

৩. সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ বিভিন্ন গণমাধ্যম দ্বারা কিংবা সরাসরি সাক্ষাৎকার ও মতামত গ্রহণের মাধ্যমে জনমত যাচাই বা পরিমাপ করা যায়। তবে এ পদ্ধতি অনেকটা অনুমান ও কল্পনাভিত্তিক।

৪. হ্যাঁ-না ভোটঃ জনমত পরিমাপে হ্যাঁ-না ভোট একটি বিতর্কিত পদ্ধতি। অনেকের মতে এটি শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি আবার অনেকের মতে এটি ভ্রাতিকর পদ্ধতি। সে যাহোক সামরিক শাসক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে।

৫. রেফারেন্ডামঃ রেফারেন্ডামের মাধ্যমে সরকারের কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কিংবা নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে অথবা গুরুত্বপূর্ণ কাউকে সরকারি থেকে অপসারণের জন্য এ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়। এর মাধ্যমে জনমত গঠিত হলে সে অনুযায়ী আইনি কার্যধারা বলবৎ হয়।

উপসংহারঃ আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমরা বলতে পারি যে, একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনমত পরিমাপ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর জনমত পরিমাপের যে পদ্ধতিগুলো উপরে বর্ণিত হয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে উপযুক্ত জনমত যাচাই সম্ভব হবে।