জমিদারি শােষণ ও অত্যাচারের চিত্র: লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় ছাতির বদলে হাতি রচনায় গারাে পাহাড়ের চাষিদের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে, ফসল কাটার পর প্রথমেই চাষিকে সেই ফসল জমিদারের খামারে তুলতে হত। ভূস্বামীর ধারদেনা মেটানাের পরই চাষিরা অবশিষ্ট ফসল নিজেদের ঘরে তুলতে পারত। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান জমিদারকে দিয়ে চাষিকে ঋণশােধ করতে হত। এক টাকা ধারের জন্য সেই সময় ধার্য ছিল এক মন ধান। তার ওপর ছিল আবওয়াব অর্থাৎ অতিরিক্ত দেয় কর, আবার মূল করের চেয়ে আবওয়াবের পরিমাণ বেশি ছিল। তাই, কয়েক মাস ধরে যে চাষি তার বুকের রক্ত দিয়ে জমিতে ফসল ফলাত, শেষমেশ শূন্য হাতেই সে ঘরে ফিরতে বাধ্য হত।
সাধারণ প্রজাদের তুলনায় নানকার প্রজাদের অবস্থা ছিল আরও দুর্বিষহ। স্বত্বহীনভাবে যারা চাষজমি ভােগ করত অর্থাৎ জমিদার বা তালুকদারের যেসব ভৃত্য চাষ করত, তারাই ছিল নানকার প্রজা। জমির ফসল বা আম-কাঁঠালে তাদের কোনাে অধিকার ছিল না। জমি জরিপ করার পর তাদের প্রত্যেকের জন্য আড়াই টাকা পর্যন্ত রাজস্ব ধার্য হত। সেই খাজনা দিতে না পারলে তহশিলদার নানকার প্রজাকে জমিদারের কাছারিতে নিয়ে গিয়ে পিছমােড়া করে বেঁধে মারধর করত এবং গুদামঘরে আটকে রাখত। তারপর নিলাম ডেকে সেই প্রজার সমস্ত সম্পত্তি দখল করতেন জমিদার।
ফিরে এসে কলকাতার গল্প বলেছিল মােনা ঠাকুর।—মােনা ঠাকুর কলকাতায় গিয়েছিল কেন? সে কলকাতার কোন্ গল্প বলেছিল?
অথবা, মােনা ঠাকুর বর্ণিত কলের কলকাতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
কলকাতা থেকে মােনা ঠাকুররা তাড়াতাড়ি কেন ফিরে এসেছিল, তা কলের কলকাতা রচনার অন্তর্গত মােনা ঠাকুরের ভাষ্য অবলম্বন করে লেখাে।
কলকাতায় আসার পর কলের কলকাতা রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলকাতা একেবারেই ভালাে লাগেনি কেন?
কলকাতায় এসে লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়রা যে পাড়ার ভাড়াবাড়িতে প্রথম এসে উঠেছিলেন, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে সেই পাড়াটির বর্ণনা দাও।
খালি মাঠে সব সময় ভিড়।—কলের কলকাতা রচনার লেখক খালি মাঠের ভিড়ে যেসব দৃশ্য দেখেছিলেন, তার বর্ণনা দাও।
হঠাৎ একদিন খেপে উঠল কলের কলকাতা।—কলকাতার খেপে ওঠা বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? কলকাতার খেপে ওঠা-র ফল কী হয়েছিল?
তবু ভালাে এই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা। -এই রাস্তার বিবরণ দাও।
পুলিশকে মােটে কেয়ার করে না হে!—কে কেয়ার করে না? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি?
ইংরেজের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -এখানে কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? লেখকের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও।
অথবা, ইংরেজদের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -লেখকের জেলখানায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও।
কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় তিন মাস অসুখে অচেতন থাকার পর সেরে উঠে কলকাতার কোন্ পরিবর্তন দেখেছিলেন?
কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়দের ভাড়াবাড়িতে আসা সরকারি উকিলের কথাগুলি বর্ণনা করে তার সম্বন্ধে লেখকের মূল্যায়ন পর্যালােচনা করাে।
চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? তাকে দেখে লেখক কেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না?
Leave a comment