আপনি যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে যেতে চান তাহলে আপনাকে চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং
স্কলারশিপ  – সহ যাবতীয় তথ্য জানতে হবে।আর আপনি যদি
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  – সহ যাবতীয় তথ্য না জেনে
চীনে যান তাহলে আপনাকে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই যারা চিনে যেতে চান
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  – সহ যাবতীয় তথ্য তাদের
জন্য।

আমি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  – সহ যাবতীয় তথ্য সহ
চীনে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়,চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ,চীনে মেডিকেলে পড়ার
যোগ্যতা,চীনে মেডিকেলে পড়ার খরচ,চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং,চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং
পড়া কি ভালো,চীনে যেসব বিষয় পড়তে পারবেন যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  – সহ
যাবতীয় তথ্য 

চীনে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়

বর্তমানে চীন দেশে অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে থাকেন। আপনি যদি চিনে
ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ এ পড়ার জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে চীনে স্কলারশিপ
পাওয়ার উপায় গুলো জানতে হবে। মনে রাখবেন আপনি চীনে দুই ভাবে স্কলারশিপ এর জন্য
আবেদন করতে পারেন এগুলো হলো-

সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন এবং দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন

সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন

তবে মনে রাখবেন আপনি যদি চায়না স্কলারশিপের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
আবেদন করেন তাহলে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর যদি দূতাবাসের
মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে স্কলারশিপ প্রতিযোগী অনেক বেশি থাকবে এবং দূতাবাসের
মাধ্যমে যারা আবেদন করে তাদের মধ্যে থেকে কম পরিমাণ স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। আর
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ গুলো হল-

  • চাইনিজ স্কলারশিপ
  • চাইনিজ লোকাল গভারমেন্ট স্কলারশিপ
  • ফরেন গভারমেন্ট স্কলারশিপ
  • বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ
  • এন্টারপ্রাইজ স্কলারশিপ
  • কনফুসিয়াস স্কলারশিপ
  • কাউন্সিল রোড এন্ড বেল্ট স্কলারশিপ
  • মুভকম স্কলারশিপ
  • কাজ স্কলারশিপ

এছাড়াও আপনার স্কলারশিপে আবেদনের জন্য যা যা প্রয়োজন হবে তা হল-

আপনাকে কোন কোন ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আবার কখনো কখনো অনলাইনে
আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে হার্ডকপিও পাঠাতে হবে।

  • ছয় মাসের মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সত্যায়িত সব নম্বর পত্র এবং সার্টিফিকেট
  • ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছেন এমন সার্টিফিকেট
  • দুটি রিকমান্ডেশন লেটার
  •  স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন পত্র
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য আবেদন পত্র
  • ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট

উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো আপনাকে অবশ্যই ঈদ স্কলারশিপ আবেদনের সময় প্রস্তুত করে
রাখতে হবে আর আপনি যদি স্কলারশিপে সিনে যান তাহলে যে সুবিধা গুলো পাবেন তা হল

  • ফ্রী টিউশন ফি
  • হোস্টেল ফি ফ্রি
  • প্রত্যেক মাসে আপনি বাংলাদেশী টাকায় ৫০০০ টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত
    বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন

তবে মনে রাখবেন আপনি এই সুবিধাগুলো ফুল স্কলারশিপ এ যদি গিয়ে থাকেন তাহলে পাবেন
আর আপনি যদি ফুল স্কলারশিপের না গিয়ে হাফ স্কলারশিপ এ যান তাহলে আপনি এই
সুযোগগুলোর অর্ধেক পাবেন এছাড়াও আপনি যদি সিমে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলার্শিপ  এ
গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য যে প্রোগ্রাম সমূহগুলো পাবেন সেগুলো হল-

আরো পড়ুনঃ  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি আজ তরুণ সমাজের প্রধান সমস্যা

  • এমবিবিএস করার জন্য পাঁচ বছর।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং বেচেলার প্রোগ্রামের জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর।

চীনে স্কলারশিপ আবেদনের জন্য যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন তা হলো-

  • আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • অন্য কোন স্কলারশিপে মনোনীত হলে চলবে না।
  • আপনার ইস্কুলের সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং বয়স ২৫ বছরের নিচে হতে হবে।
  • আপনিযদি বেচেলার ডিগ্রী করতে চান তাহলে আপনার বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে।
  • পিএসডি মাস্টার্স এর জন্য বয়স ৪০ এর নিচে হতে হবে ।
  • জেনারেল প্রোগ্রাম স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে হাই স্কুল সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং
    বয়স ৪৫ এর নিচে থাকতে হবে।
  • অথবা আপনার মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে এবং এসোসিয়েট প্রফেসর বয়স ৫০ বছরের
    নিচে থাকতে হবে।

তবে স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে স্কলারশিপ এর জন্য কখন আবেদন করতে
হয়। এক্ষেত্রে আপনি এইচএসসি শেষে যদি স্কলারশিপ নিয়ে অন্য দেশে যেতে চান বা
চীনে যেতে চান তাহলে এইচএসসিতে থাকা অবস্থাতেই নিজের একাডেমিক অর্জন শক্তিশালী
করতে হবে। কেননা এখানে ভালো রেজাল্ট করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ অনেকটা বেশি
থাকে। তাই আপনাকে স্কলারশিপ পেতে হলে অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে হবে।

চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ

আপনি যদি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে বিভিন্ন
ইউনিভার্সিটির পড়ার খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে চীনে মেডিকেলে পড়ার
চেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ কম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে টিউশন ফি, হোস্টেল
ফি এবং থাকা খাওয়া সব মিলে আপনাকে ৫ বছরে ১৫ থেকে ২0 লক্ষ টাকা খরচ করতে
হবে। 

তবে মনে রাখবেন চায়নাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে বাংলাদেশের বেসরকারি কলেজগুলোর
চাইতে অনেক কম খরচে পড়তে পারবেন।তবে আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে,
ইউনিভার্সিটি গুলোতে প্রতি বছরের টিউশন ফি আপনাকে একবারে পে করতে হবে। আবার
ইউনিভারসিটির পড়ার খরচ কেমন তা নির্ভর করবে আপনার স্কলারশিপের ওপর।

আর আপনি যদি ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তাহলে ইনভারসিটি থেকে বিভিন্ন ধরনের
সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। আপনি যদি ফলাফলের দিকে প্রথম এক বা দুই এর মধ্যে থাকতে
পারেন তাহলে টিউশন ফি সম্পূর্ণভাবে ফ্রি পাবেন। আপনি চীনে পড়ার জন্য কয়েক
ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরগুলোতে আবেদন করতে পারেন। এগুলো হলো –

  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • আন্ডার গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • টেক্সটাইল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • জিও টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি এন্ড প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট

এই ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরগুলো চীনে ইঞ্জিনিয়ার সেক্টর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে
বেশি বিখ্যাত। আপনি এগুলোর মধ্যে থেকে যে কোন একটি সেক্টর নির্বাচন করে সেখানে
অ্যাপ্লিকেশন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি  ব্যবহার 
বিস্তারিত 

আপনি চিনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে যেসব সুবিধা গুলো পাবেন তা হল-

  • চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বেশিরভাগই বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়
  • বিশ্বের স্বনামধন্য পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে
  • ভর্তি পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না
  • আইইএলটিএস করার প্রয়োজনীয়তা নেই
  • বাংলাদেশের মতো একই পাঠক্রমে পড়াশোনা করা যায়
  • ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে হোস্টেল সুবিধা ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে
  • লম্বা ছুটিতে দেশে আসার সুযোগ রয়েছে
  • এখানে নিরাপত্তার সুবিধার সবচেয়ে বেশি

পড়াশোনার খরচ অনেক কম বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চেয়ে
অনেক কম খরচে আপনি এখানে পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন।

চীনে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা

বর্তমানে ১ হাজারেরও বেশি চীনে বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী পুরো বিশ্বে যে ১০০০
অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে চীন দেশে রয়েছে সর্বোচ্চ ৯২ টি
মেডিকেল কলেজ। অর্থাৎ শুধুমাত্র বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৯২ টি। তবে
চীনে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা এবং বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা একই।

অর্থাৎ এসএসসি এবং এইচএসসি মিলে সর্বমোট ন্যূনতম GPA নয় ৯ পয়েন্ট থাকতে হবে।
তবে একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি যদি চীনে এমবিবিএস শেষ করার পর দেশে এসে
ইন্টারসিপ করতে চান তাহলে সেটা অনায়াসে করতে পারবেন এবং সে বিষয়ে যথেষ্ট সুযোগও
রয়েছে। তবে আপনার রেজাল্ট যদি ৯ পয়েন্টের কম হয় তাহলে আপনার স্কলারশিপ নিয়ে
চীনে মেডিকেলে পড়তে যাওয়া উচিত হবে না।

কেননা পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসে আপনি ইন্টারসিপ করতে পারবেন না এখানে আপনি এসে
সমস্যায় পড়ে যাবেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে সবচেয়ে বেশি বড় একটি সমস্যা হলো
সে দেশের ভাষা গত সমস্যা। কারণ চীনে সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ চাইনিজ
ভাষায় করা হয়ে থাকে। আর চীনে মাত্র অল্প কয়েকটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে
যেখানে ইংরেজিতে পাঠদান করা হয়ে থাকে।

চীনে মেডিকেলে পড়ার খরচ

বর্তমানে ১ হাজারেরও বেশি চীনে বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী পুরো বিশ্বে যে ১০০০
অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে তার মধ্যে চীন দেশে রয়েছে সর্বোচ্চ ৯২ টি
মেডিকেল কলেজ। অর্থাৎ শুধুমাত্র বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৯২ টি। তবে আপনি
যদি চীনে মেডিকেলে পড়ার জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেখানকার খরচ
সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

সব মিলিয়ে মেডিকেলে পড়ার জন্য আপনার টিউশন ফি, হোস্টেল ফি এবং থাকা খাওয়া সব
মিলিয়ে পাঁচ বছরে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। তবে এখানে একটি
বিষয় ভালো সেটা হলো বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মতো এখানে এক্সট্রা কোন
ডোনেশন সিস্টেম বা হিডেন চার্জ নেই। তবে আপনার টিউশন ফি প্রতি বছরে একবারে পে
করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই ভিসার দাম কত – দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিন

আপনি চীনে মেডিকেল পড়তে গেলে কম খরচে যে সুবিধা গুলো পাবেন তা হল-

  • চীনে এমবিবিএস প্রোগ্রামের সামগ্রিক ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম এবং এজন্য
    শিক্ষার্থীরা চীনের মেডিকেলে সবচেয়ে বেশি এমবিবিএস করতে যায়।
  • চীনের মেডিকেল ইনস্টিটিউট গুলো এনসিআই এবং ডাবলু এইচ ও অনুমোদিত। যেকোনো
    স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে  একটি দুর্দান্ত
    ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।
  • ইউরোপীয়, আমেরিকান এমনকি ভারতীয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোর চাইতে চীনের
    মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ফি অনেক পার্থক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে চীনের এমবিবিএস
    কোর্সের মোট ব্যয় অনেক সাশ্রয় হয়।
  • চীনে মেডিকেলে পড়াশোনা করলে নিজ দেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশে ও
    অনুশীলন করতে পারা যায়। চীনে অনেক আধুনিক বিল্ডিং রয়েছে। আপনার বাজেটের
    মধ্যে প্রচুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হোস্টেলে রয়েছে। চীনে এম বি বি এস
    অধ্যায়রত শিক্ষার্থীদের খাদ্য পরিবহন এবং আশ্রয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত চিন্তা
    করতে হয় না কারণ এ দেশের সবকিছুই যুক্তি সংগত মূল্যেই পাওয়া যায়।
  • চীনে মেডিকেল কলেজে কোন ভর্তি পরীক্ষা নেই এবং তালিকাভুক্ত দুইটি পরীক্ষায়
    প্রাপ্ত নম্বর গুলির উপর নির্ভর করে। পরীক্ষার্থীর অবশ্যই ক্লাস টু স্তরে
    বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে বিজ্ঞান থাকতে হবে এবং মোট সমষ্টিতে ৭৫% পার্সেন্ট বা
    তার বেশি নম্বর থাকতে হবে।

চীনের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং

আপনি চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য নিঃসন্দেহে যেতে পারেন কারণ
বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য চীন দেশে গিয়ে
থাকেন। কারণ বিদেশি অনেক শিক্ষার্থীর চীনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক
সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর আপনি যদি চীনের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান
তাহলে এখানের যাবতীয় বিষয় আপনাকে জানতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি চীন দেশে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য গিয়ে থাকেন
তাহলে আপনার থাকা খাওয়া, টিউশন ফি সব কিছুই ফ্রি হবে। এবং আপনি যদি হাফ
স্কলারশিপ নিয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে সবকিছু অর্ধেক পাবেন এবং অর্ধেক আপনাকে বহন
করতে হবে। তবে আপনি এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে যে সুবিধা গুলো পাবেন সেগুলো
হল –

  • এখানে আন্তর্জাতিক বা উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল্যাব এর সুবিধা রয়েছে।
  • পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে গবেষণার সুযোগ সুবিধা বেশি।
  • আপনি এখানে যে কোন বিভাগ থেকে যেকোনো পয়েন্ট নিয়েও ভর্তি হতে পারবেন এবং
    বাংলাদেশ থেকে তুলনামূলকভাবে এখানে পাস করা অনেক সহজ।
  • চীনের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করতে আপনাকে কোন সেশন জোটে পড়তে হবে না।
  • আপনি চীনে ডিপ্লোমা কোর্স করলে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পাবেন তা হল চীন
    দেশে গিয়ে পড়াশোনা করলে আপনি উচ্চশিক্ষা সহজে গ্রহণ করতে পারবেন।

চীনে পড়ার অসুবিধা

আপনারা যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে পড়াশোনা করতে চান তাদের অবশ্যই একটি
বিষয় জানা উচিত চীনে উচ্চ শিক্ষার অসুবিধাটা ঠিক কোথায়। সে ক্ষেত্রে
আপনাকে জানতে হবে চীনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কোন বিদেশী শিক্ষক দেওয়া
হয় না। চীনের শিক্ষকেরাই পাঠ দান করে থাকেন আর এতে করে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার
সম্মুখীন হতে হয়। কারণ চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশিরভাগই চাইনিজ ভাষায়
তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম হয়ে থাকে।

খুব অল্প সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়ে
থাকে। তাই চীনে পড়াশোনায় অসুবিধায় পড়তে না হলে আপনাকে চাইনিজ ভাষা
ভালোভাবে জানতে হবে। তবে বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিদেশি শিক্ষকেরা ক্লাস
নেওয়া শুরু করেন। তবে চিন্তার কিছু নেই আপনি এখানে অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশি
পাবেন। তাই আপনি নিশ্চিন্তে চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারেন।

চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া কি ভালো

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এবং অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ
হিসেবেই পরিচিত। চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে বিভিন্ন
দেশের প্রায় চার ৪ লাখ শিক্ষার্থী বর্তমানে চীনে অধ্যায়ন করছে। আর এর মূল কারণ
হলো সুযোগ সুবিধা এবং খরচ তুলনামূলক অনেক কম। তাই অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার জন্য
এখন চীনে যান।

তবে যদি আপনি ভাল ইংলিশ এবং চীনা ভাষা বলতে পারেন তাহলে ডিগ্রী পাওয়ার পর
সেখানেই আপনি ভালো বেতনের চাকরি পাবেন। কারণ চীন অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের
বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগের
ক্ষেত্রে চীনা নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদের ও মূল্যায়ন করে থাকে।
এছাড়া চায়না সরকার সহযোগিতার জন্য বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্নভাবে
স্কলারশিপও দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায় – ব্রেন ভালো হওয়ার দোয়া জেনে নিন

ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এর টপে ১০০০ টা ভার্সিটির রয়েছে আর এর মধ্যে চীনে রয়েছে ৫0
টিরও বেশি ভার্সিটি। এছাড়াও এই ৫০ টা ভার্সিটির মধ্যে প্রজেক্ট রয়েছে ২১১ ও ৯৮৫
টি আর এর অন্যতম মূল কারণ হলো চায়না প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক উন্নত এবং
পড়াশোনার মান ও পরিবেশ অনেক ভালো। আর বলা যায় চীন প্রায় পুরোপুরি রাজনীতিমুক্ত
দেশ।

বর্তমানে চীন সরকার সরকারি বৃত্তির আওতায় এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায় বৃত্তি
দিচ্ছে আর এগুলো হলো – চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম, চাইনিজ
ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম, গ্রেট ওয়াল প্রোগ্রাম, ইউ প্রোগ্রাম, এ ইউ এন
প্রোগ্রাম, পি আই এফ প্রোগ্রাম এবং ডব্লিউ এম ও প্রোগ্রাম।

এছাড়াও চীনের ওয়ার্ড রেংকিং এ ভালো মানের ২৭৯ টি ভার্সিটিতে স্নাতক – স্নাতক
উত্তর ডঃ জেনারেল স্কলার ও সিনিয়র স্কলার ডিগ্রিতে স্কলারশিপ প্রদান করছে।

চীনে যেসব বিষয় পড়তে পারবেন

আপনারা যারা চীন দেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের অবশ্যই সেখানে গিয়ে
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়তে হবে এবং আপনারা যে সব বিষয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে
পারবেন তা হল-

  • কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ( Computer Engineering)
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ( Civil Engineering )
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ( Mechanical Engineering)

তবে আপনি চীনে উচ্চ শিক্ষার জন্য জন্য যেতে চাইলে সেনজেন ভিসার মাধ্যমে যেতে
পারেন। কারণ সেনজেন ভিসা দীর্ঘ ১২ বছর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সুদক্ষ
জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এবং বিশ্বের সকল নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে
তাদের রয়েছে সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা। মেডিকেল, যাতায়াত, ভিসা, আবেদন এমনকি চাকরি
সহ অসংখ্য বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।

আর সেনজেন ভিসা পর্যটক এবং অন্যান্য স্বল্প মেয়াদী ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত।
একটি বিষয় যারা ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার জন্য যেতে চান তাদের সেনজেন ভিসায় ভ্রমণ
করা উচিত।

শেষ কথা

আমি চীনে পড়াশোনার যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার এই
আর্টিকেল আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আমি এখানে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা
ইঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় বিষয় তুলে ধরেছি। আপনারা যদি মনোযোগের সাথে আমার
আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে সবকিছু ভালোভাবে জানতে পারবেন।