ভারতীয় পদ্ধতিতে শিল্পশিক্ষার উদ্যোগকে জনপ্রিয় করতে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রাচ্য শিল্পসভা। পরবর্তীকালে এটি জাতীয় শিল্পের অন্যতম প্রকাশরূপে ‘দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট’নামে পরিচিত হয়। সােসাইটির প্রথম সভাপতি ও যুগ্মসচিব হলেন যথাক্রমে লর্ড কিচেনার, নর্ম্যান ব্রান্ট এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অনেক বিদেশি উদ্যোক্তার পাশাপাশি ছিলেন উত্তরপাড়ার রাজা প্যারীমােহন মুখােপাধ্যায়, নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়,বর্ধমানরাজ বিজয়াদ চাঁদ মহত্তাম, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ। সােসাইটির বার্ষিক প্রদর্শনীতে অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ প্রমুখের আঁকা ছবি ও পূর্ব এশিয়ার শিল্পকীর্তি দেখানাের ব্যবস্থা হত। বাংলার গভর্নর লর্ড রােনাল্ডশে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারের অধীনে নিয়ে আসেন। তাঁর এবং সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহায়তায় সােসাইটির আর্ট স্কুল খােলা। হয়। এই স্কুলে ছবি আঁকার তিন বছরের পাঠ্যসূচি প্রবর্তিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটিতে স্মৃতি থেকে মানুষ ও প্রকৃতির ছবি আঁকার পাশাপাশি প্রাচীন মূর্তির ও ছবির অনুকরণও শেখানাে হত। শিক্ষা পরিচালনার ভার প্রধানত ন্যস্ত ছিল নন্দলাল বসু, ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার ও শৈলেন্দ্রনাথ দের ওপর। মূর্তিকলা শেখানাের দায়িত্ব নেন কৌলিকবৃত্তিধারী গিরিধারী মহাপাত্র। ভগিনী নিবেদিতা, উডরক, জেমস্ কাজিন এবং অবনীন্দ্রনাথের মতাে পৃষ্ঠপােষকদের হাত ধরে এই সােসাইটি শিল্প সমালােচনার ক্ষেত্রে এক নতুন আদর্শ গড়ে তােলে। এ ছাড়া সােসাইটির ক্যাটালগে প্রতি ছবির সঙ্গে চিত্তাকর্ষক বর্ণনা দেওয়ার রীতি এখানেই গড়ে ওঠে।

এভাবেই ভারতীয় চিত্ররীতির বিকাশসাধন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি, শিল্প সংক্রান্ত আলােচনা সভার আয়ােজন, শিল্পরুচির পরিবর্তন ঘটানাে, পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ক তৈরি, দেশীয় শিল্পের পৃষ্ঠপােষকতা প্রভৃতি ছিল সােসাইটির নানান মহৎ উদ্দেশ্য। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যামিনী রায়, অমিত হালদার, মুকুল দে, অতুল বসু, রথীন মৈত্র, দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, যামিনীপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রমুখ। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে নানাবিধ জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।

বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে। 

বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলােচনা করাে। 

অথবা, বঙ্গদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে ভাস্কর ও চিত্রকর রামকিঙ্কর বেইজের অবদান ও স্বকীয়তা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় বিনােদবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

চিত্রশিল্পী হেমেন মজুমদারের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলা চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে জয়নুল আবেদিনের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।