বিহারের মুঙ্গের জেলায় বসবাসকারী খড়গপুরের এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নন্দলাল বসু। তিনি ছেলেবেলায় কুমােরদের দেখাদেখি মূর্তি গড়তেন। তাঁর পিসতুতাে ভাই অতুল মিত্র ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র। তার পরামর্শে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে নন্দলাল আর্ট কলেজে অবনীন্দ্রনাথ ও হ্যাভেল সাহেবের সঙ্গে দেখা করেন ও আর্ট স্কুলে ছাত্র হিসেবে গৃহীত হন। ১৯০৬-১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আঁকা বিখ্যাত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে- সিদ্ধিদাতা গণেশ’, ‘শােকার্ত সিদ্ধার্থ, ‘সতী, ‘শিবসতী, ‘জগাই- মাধাই’, ‘কর্ণ’, ‘গরুড়স্তম্ভতলে শ্রীচৈতন্য’, নটরাজের তাণ্ডব’, ‘ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা’, ‘জতুগৃহদাহ’, ‘অহল্যার শাপমুক্তি’, ‘পার্থসারথি’, ‘শিব মুখমণ্ডল’, শিবের বিষপান’, ‘যম ও নচিকেতা’, ‘মহাপ্রস্থানের পথে যুধিষ্ঠির’, ‘উমার ব্যথা’, ‘উমার তপস্যা’, ‘প্রত্যাবর্তন’ প্রভৃতি। পৌরাণিক বিষয়কে ভিত্তি করে আঁকা তার এই ছবিগুলিতে রুপনির্মাণের বিশেষ ভঙ্গি ধরা পড়েছে।
১৯১১-য় আর্ট স্কুলের পাঠ শেষ করে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে জোড়াসাঁকোয় শিল্পচর্চা নন্দলাল বসুর এক অনন্য অভিজ্ঞতা। ভগিনী নিবেদিতার বইয়ের চিত্রসজ্জা রচনা করা ছাড়াও তিনি রবীন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথেরও বহু বইয়ের অলংকরণ করেন। লেডি হেরিংহ্যামের সহকারী হিসেবে তিনি অজন্তা গুহাচিত্রের নকল করার কাজ করেন (১৯০৯)। তাঁর স্মরণীয় কীর্তির মধ্যে রয়েছে গােয়ালিয়রের বাগ গুহার ভিত্তিচিত্রের প্রতিলিপিগ্রহণ, জগদীশচন্দ্রের আহ্বানে ‘বসু বিজ্ঞানমন্দির’ অলংকরণ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত বিচিত্র ক্লাবে শিল্প শিক্ষকতা, মহাত্মা গান্ধির আহবানে লখনউ, ফৈজপুর ও হরিপুরা কংগ্রেস অধিবেশন উপলক্ষ্যে ভারতশিল্প প্রদর্শনী সংগঠন, ‘হরিপুরাপট’ অঙ্কন ইত্যাদি। ‘শিল্পচর্চা ও রূপাবলী’ তার লেখা শিল্পসংক্রান্ত গ্রন্থ। তিনি রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনিকে কালীঘাটের রঙিন পটের মতাে করে রূপদান করেন। ভারতীয় সংবিধান তারই আঁকা চিত্রে ও নির্দেশে অলংকৃত হয়।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলােচনা করাে।
অথবা, বঙ্গদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে ভাস্কর ও চিত্রকর রামকিঙ্কর বেইজের অবদান ও স্বকীয়তা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় বিনােদবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
চিত্রশিল্পী হেমেন মজুমদারের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে জয়নুল আবেদিনের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ইতিহাসে চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা পটচিত্রের ইতিহাসে কালীঘাটের পটের গুরুত্ব ও অবস্থানটি নির্দেশ করাে।
বাংলা চিত্রকলার ধারায় পুথির পাটাচিত্র ও তার বিভিন্ন ঘরানার পরিচয় দাও।
বাংলার লােকচিত্রকলার ইতিহাসে দশাবতার তাসের অবস্থান ও গুরুত্ব নির্ণয় করাে।
Leave a comment