উত্তর: চর্যাগীতিকাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াদের পদ্ধতিমূলক
গান। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ধ্যাভাষায় রূপকের মাধ্যমে সাধকদের গূঢ় ধর্মসাধনার কথা প্রচার করা। ঐতিহাসিক পটভূমিকায় চর্যাগীতিগুলো রচিত। চর্যাপদকর্তাগণ নিজ নিজ অবস্থায় নিজেদের ধর্মতত্ত্ব ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তৎকালীন সমাজের বাস্তব জীবনযাত্রার যেসব রূপকল্প ব্যবহার করেছেন তা বিস্ময়ের বটে।

চর্যাকারেরা তাদের সাধন মার্গের কথা ইশারা ইঙ্গিতে ব্যক্ত করেছেন সামনে দৃশ্যমান কিছুর আলোকে। আর এই চর্যাপদে চর্যাকারেরা প্রবাদ প্রবচনের সার্থক প্রয়োগ করেছেন। চর্যায় বহু ধাঁধা ও প্রবাদ প্রবচনের উল্লেখ আছে। প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহৃত সাহিত্যিক মূল্য অপরিসীম।

ক. আপন মাংসে হরিণা বৈরী’ [৬ নং চর্যা]
খ. দুহিলা দুধু কি বেল্টে সামাই। [৩৩ নং চর্যা।
গ. উদক চান্দ জিন সচ্চন মিচ্ছা। [২৯ নং চর্যা।
ঘ. নিসিত আন্ধারী মুসার চারা। [২১ নং চর্যা