অথবা, সংক্ষেপে চর্যাপদের পদ বা গানের পরিচয় দাও

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন চর্যাপদ। এটি বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সংগীত। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার থেকে এটি উদ্ধার করেন এবং ১৯১৬ সালে সম্পাদনা করেন। উদ্ধারকালে চর্যাপদ ছিন্নাবস্থায় পাওয়া যায় বলে এর পদ বা গানের সংখ্যা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, এর পদের সংখ্যা ৫০টি। সুকুমার সেনের মতে চর্যাপদের পদসংখ্যা ৫১টি। তবে সুকুমার সেন তাঁর প্রথম গ্রন্থে ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ (১৯৫৬) ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। এ গ্রন্থের আলোচনা অংশে তাঁর বক্তব্য ….. মুনিদত্ত পঞ্চাশটি চর্যার ব্যাখ্যা করেয়ছিলেন। উল্লেখ্য যে, টীকাকারের কাছে মূল চর্যার পুথিতে আরো অন্তত একটি বেশি চর্যা বা পদ ছিল যা একাদশ ও দ্বাদশ পদের মাঝখানে। এই চর্যাটির ব্যাখ্যা না থাকায় টীকাকার এটি উল্লেখ করেন নাই, শুধু ‘টাকা নাই’ এই মন্তব্যটি করেছেন। সুতরাং একাদশ ও দ্বাদশ পদের মাঝখানে পদটি ধরলে দাঁড়ায় চর্যা বা পদের সংখ্যা মোট ৫১টি।