উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় লােকসংগীত ভাওয়াইয়ার সঙ্গে সঙ্গে চটকার কথা উচ্চারিত হলেও আবেদনের দিক থেকে উভয়ের বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। রংপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির নিজস্ব সংগীত ভাওয়াইয়াতে প্রেমের অনুভূতি, গভীরতা, ব্যঞ্জনা, বিরহ-কাতরতা ও নারীমনের নৈরাশ্যকে উপজীব্য বিষয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ভাওয়াইয়ার সুর তাই মর্মস্পর্শী ও বেদনাবিধুর।
অন্যদিকে, চটকা হল লঘু সুরে বিন্যস্ত একপ্রকার চটুল ভাবের গান। বাহারি, মনােরঞ্জক, চটকদার বিষয় নিয়ে লেখা চটকা গানে সুরবৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। জীবনঘনিষ্ঠ নানা ঘটনা ও প্রণয়কে বিষয় করে এই গান রচিত।
ভাওয়াইয়া ও চটকা গানের অবিস্মরণীয় শিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমেদ তার লেখায় ভাওয়াইয়া ও চটকা গানের পার্থক্য নিরূপণ করেছেন এইভাবে- “ভাওয়াইয়া টানা সুরের গান, শিল্পীর গলা ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায় গানের সময়, সুরের বৈচিত্র্যও বেশি। রচনার দিক থেকে এ গান বিরহমূলক, “উত্তরবঙ্গের প্রকৃতি যথাযথভাবে ধরা পড়ে এ গানে, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, গরুর গাড়ি, পাহাড়ের খাঁজ যেন এ গানের সুরে রূপ পায়। চটকা চটুল দ্রুত তালের গান।”
ভাওয়াইয়া আর চটকার মধ্যে মানবিক প্রেমভাব প্রকাশে, সুরবিন্যাসে, বাক্যবন্ধ রচনায় কিংবা উচ্চারণ ভঙ্গি এবং গানের রীতির ক্ষেত্রে মিল লক্ষ করা যায়। ভাওয়াইয়ায় যেখানে বিরহজনিত বেদনা ও হতাশা, চটকায় সেক্ষেত্রে মিলনাকাঙ্ক্ষাজনিত প্রেমের আর্তি ও আকুলতা প্রকাশ পায়।
ভাটিয়ালি গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা লােকসংগীতের ধারায় সারিগানের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও।
পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে।
কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও।
Leave a comment