গ্রাম্যমেলা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর । 

শিমুল : কেমন আছ পলাশ?

পলাশ : ভালো । তুমি কেমন আছ?

শিমুল : ভালো । তবে খুব ক্লান্ত ।

পলাশ : ক্লান্ত কেন? তোমাকে কদিন দেখিনি কেন?

শিমুল : আমি নানু বাড়ি গিয়েছিলাম । মেলা দেখতে ।

পলাশ : তোমার নানু বাড়ি দুবলিয়ায় না? ওখানকার গ্রাম্যমেলা তো বিখ্যাত 1

শিমুল : হ্যাঁ । পাবনার দুবলিয়ার মেলাটি দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের পরেই জমে উঠত । এখন পূজার আগ থেকে প্রায় এক মাসব্যাপী এ মেলা চলে ।

পলাশ : এত দীর্ঘ সময় ধরে চলে মেলা?

শিমুল : শুধু দীর্ঘ সময় ধরে চলে তা-ই নয়, বিশাল অঞ্চল জুড়ে চলে এ মেলা !

পলাশ : এখানে কী কী পাওয়া যায়?

শিমুল : বাচ্চাদের খেলনা, নাগরদোলা, শিশুদের জন্য ট্রেন, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি । মিষ্টিদ্রব্য, পোশাক, আরও কত কী!

পলাশ : তোমার সবচেয়ে কী ভালো লেগেছে?

শিমুল : দল বেঁধে নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী মেলায় ঘুরছে । শিশুরা বাঁশি বাজাচ্ছে । গৃহবধূ মেলায় এসেছে বাচ্চাদের হাত ধরে । হিন্দু-মুসলমান কোনো ভেদাভেদ নেই ।

পলাশ : সবাই আনন্দের সাথে মেলায় ঘুরতে আসে তাই না?

শিমুল : হ্যাঁ, স্বতঃস্ফূর্ততাই আমাকে খুব আনন্দ দেয় । আমি মেলা থেকে তিলের মোয়া, বাতাসা, কদমা, খুরমা, ছোটো বোনটির জন্য ফিতা, ক্লিপ ইত্যাদি কিনলাম ।

পলাশ : আর কী দেখলে মেলায়?

শিমুল : নৌকা বাইচ দেখলাম । নৌকা বাইচের জন্য তিন দিন অপেক্ষা করলাম । আগে মেলাই হতো নৌকাবাইচ কেন্দ্রিক । এখন অবশ্য জলাশয় কমে যাওয়ায় সীমিত পরিসরে বিলের মতো জায়গায় নৌকাবাইচ হয় ।

পলাশ : মজা তো । আমি কখনো নৌকা বাইচ দেখিনি । তুমি দারুণ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করলে ।

শিমুল :  হ্যাঁ, আমি দেখলাম গ্রামের মানুষের যেন নব উদ্যমে নতুন কর্মশক্তিতে জেগে উঠছে, জেগে উঠছে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি ।

পলাশ : তোমাকে ধন্যবাদ বন্ধু । এত সুন্দর বিবরণ দেওয়ার জন্য ।

শিমুল : তোমাকেও ধন্যবাদ । আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য ।