দুটি ভিন্ন ধাতুর মৌল দ্বারা গঠিত তড়িৎদ্বারকে দুটি ভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে আংশিক নিমজ্জিত করে দ্বি-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট যে কোষ গঠন করা হয় তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।
গ্যালভানিক কোষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 

যে ধাতুর তড়িৎদ্বার অধিক সক্রিয় তাকে অ্যানোড হিসাবে এবং যে ধাতুর তড়িৎদ্বার কম সক্রিয় তাকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গ্যালভানিক কোষে অ্যানোডে জারণ ও ক্যাথোড বিজারণ সংঘটিত হয়। অ্যানোডে ধাতব পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন হিসেবে দ্রবণে যায়। এজন্য অ্যানোডে ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি থাকে। 

যার কারণে অ্যানোড ঋণাত্মক হয়। অপরদিকে ক্যাথোডে ইলেকট্রন ঘনত্ব কম থাকায় গ্যালভানিক কোষে ক্যাথোড ধনাত্মক হয়।