অথবা, যাঁহা যাঁহা নিকসয়ে তনু তনু জ্যোতি। তাঁহা তাঁহা বিজুরি চমকময় হোতি। -এখানে কার রূপের কথা বলা হয়েছে? সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : বৈষ্ণব পদাবলীর মূল উপজীব্য রাধাকৃষ্ণের প্রেম। কৃষ্ণ রাধার রূপে, গুণে মুগ্ধ। রাধা প্রেমিক কবির দৃষ্টিতে অনন্য রূপের আধার শ্রীরাধিকা। রাধার রূপের স্পর্শে বাসন্তী বাতাস উল্লাসে থরথর করে কেঁপে উঠছে। যেখানে রাধার দেহদ্যুতি নির্গত হচ্ছে সেখানে বিদ্যুৎ চমকিত হচ্ছে। সুতরাং রাধার এ অপরূপের স্পর্শে সবকিছু হয়ে উঠে রূপময়। যেখান দিয়ে রাধা হেঁটে চলে সেখানে স্থলকমলের দল ঝরে পড়ে। তাই রাধার দেহ নিঃসৃত রূপলোকে বসুমতি ধন্য। তাঁর মধুর হাসি দেখে কুন্দু কমুদ প্রকাশিত হয়ে উঠে। তাঁর রূপের মধ্যে আছে গতিময়তা, আছে উজ্জ্বল ও প্রোজ্জ্বল। তাঁর এ দেহ নিঃসৃত রূপ আত্মস্থ করে অন্যরা পদ্মের মতো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠে।
সুতরাং রাধার রূপে গুণে মুগ্ধ কবি গোবিন্দদাস বলেন- কানু এই রাধাকে চিনেও যেন চিনতে পারেন না।
Leave a comment