নিরুদকঃ  যে সকল পদার্থ অন্য পদার্থ থেকে পানি শোষণ করে নেয় ঐসকল পদার্থকে নিরুদক বলে।

গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) একটি নিরুদক পদার্থ। 

কারণ, সালফিউরিক অ্যাসিড চিনি (C₁₂H₂₂O₁₁), অ্যালকোহল (R-OH) ইত্যাদি থেকে পানি শোষণ করতে পারে। তাই গাঢ় সালফিউরিক এসিড একটি নিরুদক পদার্থ। 

H₂SO₄ চিনির মধ্যে যোগ করলে চিনি থেকে পানি শোষণ করে। ফলে চিনি কালো হয়ে যায়। 

আবার অ্যালকোহল যেমনঃ ইথানল (C₂H₅OH) এর সাথে H₂SO₄ যোগ করলে ইথানল থেকে পানি শোষণ করে এবং ইথিন উৎপন্ন হয়।

H₂SO₄+C₁₂H₂₂O₁₁—–>12C +H₂SO₄ .11H₂O

H₂SO₄+C₂H₅OH—–>H₂C=CH₂ +H₂SO₄.H₂O

 

জারকঃ যে সকল পদার্থ অন্য পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে।
 

গাঢ় সালফিউরিক এসিড জারক পদার্থ। কারণ এটি হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) এর সাথে বিক্রিয়া করে ক্লোরিন গ্যাস (Cl₂) এবং সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে H₂SO₄ ক্লোরিন কে জারিত করে এবং নিজে বিজারিত হয়।
আবার, H₂SO₄ হাইড্রোজেন সালফাইডকে (H₂S) জারিত করে।
 
2HCl + H₂SO₄ ——> Cl₂ + SO₂ + 2H₂O
   

3H₂S + H₂SO₄ ——-> 4S + 4H₂O

এখানে, বিক্রিয়ক ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে উৎপাদে জারণ সংখ্যা 0 (শূন্য) হয়েছে এবং ক্লোরিনের জারণ সংঘটিত হয়েছে। অপরদিকে সালফিউরিক এসিডে সালফারের জারণ সংখ্যা +6 থেকে হ্রাস পেয়ে উৎপাদে +4 হয়েছে অর্থাৎ সালফিউরিক অ্যাসিড বিজারিত হয়েছে। 

আবার, H₂S এ সালফারের জারণ সংখ্যা -2 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শূন্য হয়েছে। অপরদিকে সালফিউরিক এসিডে সালফারের জারণ সংখ্যা +6 থেকে হ্রাস পেয়ে উৎপাদে শূন্য হয়েছে অর্থাৎ সালফিউরিক এসিডের জারণ এবং H₂S বিজারণ সংঘটিত হয়েছে। H₂SO₄ উভয় বিক্রিয়ায় জারক হিসেবে বিক্রিয়া করেছে।

অতএব, আমরা বলতে পারি সালফিউরিক এসিডের নিরুদক ও জারক উভয় ধর্ম বিদ্যমান।