“ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না।”- কেন?
বাড়ি থেকে অল্প হাঁটলেই মৃত্যুঞ্জয় অফিসের ট্রাম পায়। নামেও অফিসের সামনে। তার পাড়ায় ফুটপাথ কম; তাকে বাজারহাটেও যেতে হয় না। তাই ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না।
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা কে করত?
বাড়ির বাজার ও কেনাকাটার কাজ মৃত্যুঞ্জয় নিজে কখনও করত না। সেই কাজ করত বাড়ির চাকর ও তার ছােটোভাই।
“নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই।”— কীসের দর্শন?
উদ্ধৃত অংশে ফুটপাথের উপর দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে, এমন একটি দৃশ্য দর্শনের কথা বলা হয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয় কোথায় প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল।
নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় সেই ব্যাপারে কীভাবে জেনেছিল?
নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় শুধু খবরের কাগজ পড়ে আর লােকের মুখে শুনেই সেই ব্যাপারে জেনেছিল।
মৃত্যুঞ্জয়দের বাড়ি কেমন জায়গায় অবস্থিত ছিল?
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ছিল শহরের এক নিরিবিলি পাড়ায়, যেখানে ফুটপাথও বেশি ছিল না।
মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কীভাবে অফিসে যেত?
মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে রাস্তায় গিয়ে ট্রামে উঠত এবং ট্রাম থেকে প্রায় অফিসের দরজায় নামত।
গল্প ─ ভাত (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
গল্প ─ ভারতবর্ষ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ রূপনারানের কূলে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ শিকার (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ মহুয়ার দেশ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ আমি দেখি (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
কবিতা ─ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ বিভাব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
নাটক ─ নানা রঙের দিন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
আন্তর্জাতিক কবিতা ─ পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভারতীয় গল্প ─ অলৌকিক (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ভাষাবিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ ধ্বনিতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ রূপতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ বাক্যতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
ভাষা ─ শব্দার্থতত্ত্ব (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর)
মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে মনে কী হয়?
মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবােধের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কষ্টবােধও চলতে থাকে।
অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন অফিসে পৌঁছে মৃত্যুঞ্জয় কী করেছিল?
অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত মৃত্যুঞ্জয় অফিসে পৌছে বাড়ি থেকে খেয়ে-আসা খাবারের সমস্তটাই বমি করে দিয়েছিল।
“তখন সে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে একদিন অনাহার-মৃত্যু দেখার পর অফিসে গিয়ে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছিল।
নিখিল অবসরজীবনটা কীভাবে কাটাতে চায়?
নিখিল বই পড়ে এবং নিজস্ব একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে তার অবসরজীবনটা কাটাতে চায়।
নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কত টাকা বেশি মাইনে পায় এবং কেন?
নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় একটি বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পায়।
নিখিলের চেহারা এবং প্রকৃতি কেমন ছিল?
নিখিলের চেহারা ছিল রােগা। প্রকৃতিগত দিক থেকে সে ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং একটু অলস।
“সংসারে তার নাকি মন নেই।” -তার মন কীসে ছিল?
নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের দু-বছর আগে বিয়ে করলেও সংসারে তার মন ছিল না বরং তার মন বইপত্র এবং চিন্তাজগতেই ডুবে থাকত।
মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার কেমন ছিল?
আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিল পছন্দ করত। মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে তাকে ভালােও বাসত। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিল ছিল সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল।
মৃত্যুঞ্জয় দুর্বলচিত্ত ভাবপ্রবণ আদর্শবাদী হলেও কীভাবে সে নিখিলের কাছে ‘অবজ্ঞেয়’ হত ?
দুটো খোঁচা দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরকার সব অন্ধকার বেরিয়ে আসত এবং সে নিখিলের কাছে অবজ্ঞেয় হত।
মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে…।”—কখন ভাবে?
নিখিল মাঝেমধ্যে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক শক্তির কাছে কাবু হয়ে পড়ে, তখনই সে মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে ভাবে।
“মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে..।”কী ভাবে?
মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে তখন নিখিল ভাবে যে, সে যদি নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হত, তাহলে খারাপ হত না।
“মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল…।”—নিখিল কী অনুমান করতে পারল?
নিখিল অনুমান করতে পারল যে, মৃত্যুঞ্জয় বড়াে একটা সংকটের মুখােমুখি হয়েছে এবং সেই সংকটের অর্থহীন কঠোরতায় সে শার্সিতে আটকে-পড়া মৌমাছির মতাে মাথা খুঁড়ছে।
“মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!” এই কথাটা মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কীভাবে বলেছিল ?
প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে কথাটি মৃত্যুঞ্জয় অন্যমনস্কভাবে, অস্ফুটবাক্যে আর্তনাদের মতাে করে নিখিলকে বলেছিল।
আরও কয়েকটা প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হল…।”কী মনে হয়েছিল নিখিলের?
মৃত্যুঞ্জয়কে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হয়েছিল যে, মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরটা যেন সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে।
নিখিল কেন মৃত্যুঞ্জয়কে হয়তাে মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে?
মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ, শান্ত, সহজসরল এবং সৎ হওয়ার পাশাপাশি মানবসভ্যতার প্রাচীনতম পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করত।
সেটা আশ্চর্য নয়।-কোন্টা আশ্চর্য নয়?
ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর মতাে সাধারণ এবং সহজবােধ্য ব্যাপারটা যে মৃত্যুঞ্জয় ধারণায় আনতে পারছে না, নিখিলের কাছে তা আশ্চর্য নয়।
নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি কোন্ কোন্ নেতিবাচক মনােভাব মৃদুভাবে পােষণ করত?
নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং ঈর্ষা—এই দুই নেতিবাচক মনােভাব মৃদুভাবে পােষণ করত।
‘আদর্শবাদ’-এর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পে কী বলা হয়েছে?
‘আদর্শবাদ’ হল মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরােনাে এবং সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য—গল্পটিতে আদর্শবাদ সম্বন্ধে এমন কথাই বলা হয়েছে।
কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পে লেখক কীসের সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা শ্লথ, নিস্তেজ নয়’?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে লেখক মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলেছেন যে, তা শ্লথ, নিস্তেজ নয়।
মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে”—মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ কী ছিল?
মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ, শান্ত, সহজসরল এবং সৎ হওয়ার পাশাপাশি মানবসভ্যতার প্রাচীনতম পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করত।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে কত পা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয়কে ট্রামে উঠতে হত?
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু-পা হেঁটে ট্রামে উঠতে হত।
মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কী কী খেয়ে এসেছিল ?
মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে ভাজা, ডাল, তরকারি, মাছ, দই আর ভাত খেয়ে এসেছিল।
মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মােটেও শ্লথ বা নিস্তেজ ছিল না, শক্তির একটা উৎস ছিল তার মধ্যে।
“…এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী?” অপরাধটি কী ছিল?
মৃত্যুঞ্জয় পেটভরে খেয়ে বেঁচে আছে, আর একটা লােক না খেতে পেয়ে মরে গেল। এই ভাবনা মৃত্যুঞ্জয়ের মনে অপরাধবােধ জাগিয়ে তুলেছে বলেই সে এমন উক্তি করেছে।
“..আজ চোখে পড়ল প্রথম।”-কার চোখে কী প্রথম ধরা পড়ল?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখে প্রথম ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য ধরা পড়ল।
“কী হল হে তােমার?”- কে, কাকে এ কথা বলেছিল?
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের বমি করা ও শরীর খারাপ দেখে সহকর্মী নিখিল তাকে এ কথা বলেছিল।
“শত ধিক্ আমাকে।”- কেন এমন কথা বলা হয়েছে?
মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল কারণ দেশের লােকের অনাহারজনিত মৃত্যুর কথা জেনেশুনেও সে চারবেলা পেটপুরে খেয়েছে।
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি ১৩৫০ বঙ্গাব্দে প্রথম সারদাকুমার দাস সম্পাদিত ভৈরব পত্রিকার প্রথম শারদসংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
“এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল…।”- কার কথা বলা হয়েছে?
এখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের কথা বলা হয়েছে।
“বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’পা হেঁটেই সে ট্রামে ওঠে,”—যার কথা বলা হয়েছে সে ট্রাম থেকে কোথায় নামে?
প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে উদ্দিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় ট্রাম থেকে অফিসের দরজার কাছে গিয়ে নামে।
“বাড়িটাও তার শহরের এমন এক নিরিবিলি অঞ্চলে যে…।”—এর ফলে তার কী সুবিধা বা অসুবিধা হয়েছিল?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের নিরিবিলি এবং ফুটপাথহীন অঞ্চলে হওয়ায় এর আগে ফুটপাথের অনাহার মৃত্যু তার চোখে পড়েনি।
“একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে।”—কলঘরে যাওয়ার কারণ কী?
মৃত্যুঞ্জয় কলঘরে উঠে যায় সকালে বাড়ি থেকে খেয়ে-আসা ভাজা, ডাল, তরকারি, মাছ, দই, ভাত সব খাবার বমি করে দেওয়ার জন্য।
“..নিখিল যখন খবর নিতে এল…।”—তখন মৃত্যুঞ্জয় কী করছিল?
নিখিল যখন মৃত্যুঞ্জয়ের খবর নিতে এল তখন মৃত্যুঞ্জয় কলঘর থেকে বমি করে ফিরে কাচের গ্লাসে জল খাচ্ছিল।
“নিখিল যখন খবর নিতে এল…।” -নিখিল কোথা থেকে, কার খবর নিতে এসেছিল?
মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী বন্ধু নিখিল পাশের কুঠুরি থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের খবর নিতে এসেছিল।
“গ্লাসটা খালি করে নামিয়ে রেখে”—মৃত্যুঞ্জয় কী করছিল?
গ্লাসটা খালি করে নামিয়ে রেখে মৃত্যুঞ্জয় শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিল।
“হয়তাে মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে।” -কে, কাকে ভালােবাসে?
মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী-বন্ধু নিখিল তাকে পছন্দও করে এবং মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে।
মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কখন বলেছিল- “মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল!”?
মৃত্যুঞ্জয়ের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে যখন নিখিল তাকে জিজ্ঞাসা করে, যে তার কী হয়েছে, তখনই সে কথাগুলি বলেছিল।
“ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর মতাে সাধারণ সহজবােধ্য ব্যাপারটা” -ফুটপাথের অনাহারে মৃত্যুকে সাধারণ, সহজবােধ্য বলা হয়েছে কেন?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পটি পঞ্চাশের দশকে মন্বন্তরের পটভূমিকায় রচিত হয়েছে বলেই লেখক ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর ঘটনাকে সাধারণ, সহজবােধ্য বলেছেন।
“আনমনে অর্ধ-ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়।” -আর্তনাদটা কী ছিল?
নিখিল যখন সতর্কভাবে মৃত্যুঞ্জয়কে প্রশ্ন করল যে তার কী হয়েছে, তখন সে “মরে গেল! না খেয়ে মনে গেল!” বলে আর্তনাদ করে উঠেছিল।
“…মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।” -মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থতার কারণ কী?
মৃত্যুঞ্জয় একদিন অফিস যাওয়ার পথে ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যুর মতাে এক বীভৎস দৃশ্য দেখে ফেলে। সেটাই তার অসুস্থতার কারণ ছিল।
“অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।”—কোন কথা?
নিখিল প্রশ্ন করলে মৃত্যুঞ্জয় উত্তরে পালটা প্রশ্ন করে যে, সে বেঁচে থাকতে লােকটা যে না খেয়ে মরে গেল, তার সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী।
কোথায় তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে?
অফিসে নিখিল যে সংবাদপত্রটি অন্যমনস্কভাবে তুলে নিয়েছিল, তারই এক জায়গায় তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে।
কেন তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে?
কুড়িটির মতাে মৃতদেহের যথাযথ সঙ্কার করে তাদের স্বর্গে পাঠানাের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে সংবাদপত্রের একস্থানে হাহুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছিল।
মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের ওপর কোন কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল?
মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের ওপর তার মাইনের পুরাে টাকা কোনাে ত্রাণ-তহবিলে দান করার দায়িত্ব দিয়েছিল।
মৃত্যুঞ্জয় মাইনের পুরাে টাকাটা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার কথা জানালে সেই প্রসঙ্গে নিখিল তাকে কী বলেছিল?
মৃত্যুঞ্জয় মাইনের পুরাে টাকাটা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার কথা জানালে নিখিল তাকে বলেছিল যে, পরিবারের ন-জনের ভরণ-পােষণের জন্য এমনিতেই মাইনের টাকায় মৃত্যুঞ্জয় সংসার চালাতে পারে না, প্রতিমাসেই তাকে ধার করতে হয়।
“আমায় কিছু একটা করতে হবে ভাই।”—কী কারণে বক্তা কিছু করার তাগিদ অনুভব করেছিল?
ফুটপাথের উপর এক অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মৃত্যু দেখার পর তীব্র দুঃখে এবং প্রবল অপরাধবােধে জর্জরিত হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়। তাই সে অনাহারী মানুষদের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করেছিল।
“এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।” -বক্তার এ কাজের উদ্দেশ্য কী ছিল?
মন্বন্তরগ্রস্ত লােকদের খাবার বিলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বক্তা মৃত্যুঞ্জয় সস্ত্রীক এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল।
“এ অন্যায় নয়? অত্যাচার নয়?” -বক্তা কাকে অন্যায় এবং অত্যাচার বলেছে?
সে না খেলে তার অসুস্থ স্ত্রী যে অন্ন গ্রহণ করে না, বক্তা মৃত্যুঞ্জয় তাকেই অন্যায় এবং অত্যাচার বলেছে।
মৃত্যুঞ্জয় তার স্ত্রী সম্বন্ধে কেন বলেছিল, “মরে তাে মরবে না খেয়ে।”?
মৃত্যুঞ্জয় না খেলে তার অসুস্থ স্ত্রী অন্ন গ্রহণ করত না। তার আচরণে ক্ষুস্ধ এবং তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় মৃত্যুঞ্জয় এ কথা বলেছিল।
অনাহার মৃত্যু দেখার আগে করা নিজের কোন্ কোন কাজের জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছিল?
ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ জেনেও চারবেলা পেটপুরে খাওয়া এবং ত্রাণকার্যে লােকাভাব থাকলেও সে কাজে অংশ না নিয়ে অবসর কাটানাের চিন্তায় মশগুল হয়ে থাকার জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছিল।
মাইনের দিন নিখিল মানি অর্ডারের ফর্মআনিয়ে কলম ধরেকী ভাবছিল ?
নিখিল প্রতিমাসে তিন জায়গায় যে অর্থসাহায্য করে, সেই তিনটি সাহায্য পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে কি না – সে কথাই ভাবছিল নিখিল।
দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার জীবনযাত্রার কোন্ পরিবর্তন ঘটিয়েছিল?
দুর্ভিক্ষের জন্য নিখিল তার খাওয়াদাওয়া যতদূর সম্ভব কাটছাঁট করে কমিয়ে দিয়েছিল।
মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কোন্ কোন্ বিশেষণে তিরস্কার করেছিল?
মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে ‘পাশবিক স্বার্থপর’ এবং ‘বদ্ধ পাগল’ বলে তিরস্কার করেছিল।
জীবনধারণের অন্নে মানুষের দাবি’ যে জন্মাচ্ছে না, নিখিল তার মূল কারণ কী বলে মনে করে ?
ভিক্ষা দেওয়ার মতাে অস্বাভাবিক পাপ আজও পুণ্য বলে পরিগণিত হয় বলেই ‘জীবনধারণের অন্নে মানুষের দাবি’ জন্মাচ্ছে না বলে মনে করে নিখিল।
নিখিলের মতে কী হলে ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’?
অনাহারী মানুষদের এক কাপ অখাদ্য ফ্যান দেওয়ার বদলে যদি তাদের স্বার্থপর করে তােলা যেত, তবে নিখিলের মতে ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’।
“সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষ গম্ভীর হয়ে আছে।” -কোন্ দিনের পর থেকে?
ফুটপাথে যেদিন মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল, সেদিনের পর থেকেই সে বিষন্ন, গম্ভীর হয়ে আছে।
নিখিলের মতে, অনাহারীরা স্বার্থপর হলে কী কী সত্ত্বেও ‘অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না’?
অনাহারীরা স্বার্থপর হলে অন্ন হাজার মাইল দূরে থাকলেও অথবা একত্রিশটা তালা লাগানাে গুদামে থাকলেও অন্ন না পেয়ে মরত না।
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে কতজন লােক ছিল?
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে ন-জন লােক ছিল।
“.ভূরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।”—উক্তিটি কার?
প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী বন্ধু নিখিলের।
“ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।”—এখানে কোন স্বার্থপরতার কথা বলা হয়েছে?
দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড় পাপ—এই বক্তব্যকে মৃত্যুঞ্জয় একধরনের পাশবিক স্বার্থপরতা বলে উল্লেখ করেছে এখানে।
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নিখিল সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়ে কী দেখতে পেল?
নিখিল সংবাদপত্রে চোখবুলিয়ে দেখতে পেল ভালােভাবে সদগতির ব্যবস্থা করে গােটা কুড়ি মৃতদেহকে স্বর্গ পাঠানাে হয়নি বলে একস্থানে তীক্ষ্ণধার হাহুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে।
“একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই।” -কাজটি কী?
মৃত্যুঞ্জয় অফিসের মাইনের দিন নিখিলের হাতে একতাড়া নােট দিয়ে সেগুলি রিলিফ ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য অনুরােধ করেছিল। এখানে সেই কাজের কথাই বলা হয়েছে।
কোন যুক্তিতে নিখিল ভেবেছিল যে, ভিক্ষা দেওয়া ‘অস্বাভাবিক পাপ’?
ভিক্ষা দিয়ে মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমস্যাকে বাইরে থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে নিখিল ভিক্ষা দেওয়াকে ‘অস্বাভাবিক পাপ’ বলে ভেবেছিল।
“..কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম।” -কাকে ‘অনিয়ম’ বলা হয়েছে?
মন্বন্তরে বা স্বাভাবিক অবস্থায় ভিক্ষা দিয়ে রূঢ় বাস্তব নিয়মকে উলটে যে মধুর আধ্যাত্মিক নিয়ম তৈরি করা হয়, তাকেই নিখিল ‘অনিয়ম’ বলে ভেবেছে।
“..তিনটে সাহায্যই এবার পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে…।”—কোন্ সাহায্যের কথা বলা হয়েছে?
নিখিল প্রতি মাসে তিন জায়গায় কিছু কিছু করে যে অর্থসাহায্য পাঠাত, সেই সাহায্যের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
“আমার আর টুনুর মা’র”—টুনুর মা কে?
টুনুর মা হলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী।
“মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঝিয়ে উঠল।”—কোন্ মন্তব্য?
নিখিল যখন মৃত্যুঞ্জয়কে জানিয়েছিল যে, টুনুর মার যা স্বাস্থ্য, তাতে একবেলা খেলে সে পনেরাে কুড়ি দিন টিকবে, তখন সেই মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঝিয়ে উঠেছিল।
“..এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।” -এটা কার ভাবনা?
প্রশ্নোধৃত উদ্ধৃতিটি নিখিলের ভাবনা।
“…এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।” -কীভাবে?
মৃত্যুঞ্জয় যে সস্ত্রীক একবেলা খাবার না খেয়ে সেই খাবার দুর্ভিক্ষপীড়িতদের বিলিয়ে দেয়, তা করে দেশের লোেককে বাঁচানাে যায় না বলে মনে করে নিখিল।
“এক কাপ অখাদ্য গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে..।”—গুয়েল’কী ?
জলে সেম্ধ করা তরল খাদ্য বা ভাতের ফ্যান-ই হল ‘গ্রুয়েল’।
এক কাপ অখাদ্য গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে কী করলে ভালাে হত বলে মনে করে নিখিল?
দুর্ভিক্ষপীড়িতদের এক কাপ করে গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে তাদের স্বার্থপর করে তুললেই তাদের ভালাে করা হত নিখিল এমনটাই মনে করে।
“তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।” -কবে থেকে?
অফিসে মাইনের দিনে সহকর্মী নিখিলের সঙ্গে আদর্শগত মতবিরােধের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল।
মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের পেশাজীবনে কী পরিবর্তন এসেছিল ?
মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় অফিসে দেরি করে আসত এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেরিয়ে যেত, কাজে ভুল করত, আর প্রায়সময়েই অফিসে বসে বসে ভাবত।
অনাহারীরা সারাদিন কোথায় কোথায় পড়ে থাকত?
অনাহারীরা সারাদিন খােলা ফুটপাথে, বড়াে কোনাে গাছের তলায়, ডাস্টবিনের ধারে পড়ে থাকত।
অনাহারীরা শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে রাতে কী করত?
আশ্রয়হীন অনাহারীরা অনেক রাতে শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে হামাগুড়ি দিয়ে নিকটবর্তী রােয়াকে উঠে আশ্রয় গ্রহণ করত।
অনাহারীরা ভাের চারটে থেকে কী করত?
অনাহারীরা ভাের চারটে থেকে লঙ্গরখানায় অন্নের প্রত্যাশায় লাইন দিত।
“নিখিলকে বার বার আসতে হয়।”-নিখিলকে বার বার আসতে হয় কেন?
পথে পথে ঘুরে বেড়ানাে বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লােকেদের খোঁজখবর নিতে নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে বার বার আসতে হয়।
“টুনুর মা তাকে সকাতরে অনুরােধ জানায়,…।” -কী অনুরােধ?
টুনুর মা নিখিলকে সকাতরে অনুরােধ জানায় যে, নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে খেয়াল রাখে, সে যেন একটু মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকে।
টুনুর মা নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের দেখভাল করার অনুরােধ করলে নিখিল তাকে কী বলে?
টুনুর মার অনুরােধে নিখিল তাকে জানায় যে, সে যদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে পরিবারের বাকি সকলের দেখভাল করে তবেই সে মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকবে।
“এই ভাবনাতেই ওঁর মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”—কোন্ ভাবনায় ?
টুনুর মার মতে অনাহারীদের জন্য কিছুই কি করা যায় না সেই ভাবনাতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
“কেমন একটা ধারণা জন্মেছে…।”—কার, কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?
যথাসর্বস্ব দান করেও সে অনাহারীদের কিছুমাত্র ভালাে করতে পারবে না-মৃত্যুঞ্জয়ের এই ধারণার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে কোন কোন্ বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতি লক্ষ করে ?
মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে অভিযােগ ও প্রতিবাদের অনুপস্থিতি লক্ষ করে।
ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় কী পরত?
ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় ধুতি এবং সিল্কের জামা পরত।
ফুটপাথে পাকাপাকিভাবে থাকার পর মৃত্যুঞ্জয়ের সাজসজ্জার কী পরিবর্তন হয়েছিল?
পাকাপাকিভাবে ফুটপাথবাসী হলে মৃত্যুঞ্জয়ের ধুতির বদলে ছেঁড়া কাপড় জোটে, গা থেকে সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়, গায়ে মাটি জমা হয়, তার মুখ দাড়িগোঁফে ভরে যায়।
ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুঞ্জয়ের চেহারার কী পরিবর্তন হয়েছিল?
ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানাের ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের সারা গায়ে মাটির স্তর পড়ে যায় এবং তার মুখ গোঁফদাড়িতে ভরে যায়।
মৃত্যুঞ্জয় অনাহারী মানুষগুলির সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন ?
অনাহারী মানুষগুলি ছিল প্রতিবাদহীন। তাদের সবার বক্তব্য, ভাষা এবং বাচনভঙ্গি একইরকম বিরক্তিকর হওয়ায় মৃত্যুঞ্জয় তাদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল।
সুস্থ থাকলে টুনুর মা কী করত বলে জানায় নিখিলকে?
সুস্থ থাকলে টুনুর মা যে তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে ফুটপাথে ঘুরে বেড়াত, সেকথাই সে নিখিলকে জানায়।
“একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন।”—উক্তিটি কার?
‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে প্রশ্নোদ্ধৃত এই উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর অর্থাৎ টুনুর মার।
ফুটপাথে পড়ে থেকে মৃত্যুঞ্জয় আর দশজন ভিখিরির মতাে কী বলে?
ফুটপাথে পড়ে থেকে আর দশজন ভিখিরির মতাে মৃত্যুঞ্জয় বলে—“গা। থেকে এইছি। খেতে পাইনে বাবা। আমায় খেতে দাও।”
“সকলে এক কথাই বলে।” -কী কথা বলে ?
দুর্ভিক্ষপীড়িত সকলে অভিযােগহীন এবং প্রতিবাদহীনভাবে ঝিমাননা সুরে তাদের দুর্ভাগ্যের কথা, দুঃখের কাহিনি বলে।
“খবর দিয়ে বাড়ির সকলে কেউ গম্ভীর, কেউ কাদ কাদ মুখ করে বসে থাকে,…।” কাকে, কী খবর দেয় বাড়ির সকলে?
মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অন্য সবাই মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীকে এই খবর দেয় যে, মৃত্যুঞ্জয় খানিক পরেই আসছে।
“…তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হয়ে গেছে।” -কার কোন অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে?
মৃত্যুঞ্জয় বেশ কিছুদিন ধরে শহরের দুর্ভিক্ষপীড়িতদের দুর্বিষহ জীবনের যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, সেই অভিজ্ঞতার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।কেন তার এই অবস্থা হয়েছিল?
ফুটপাথে অনাহার মৃত্যু দেখার পর অনাহারক্লিষ্ট মানুষদের সঙ্গে দিন কাটাতে কাটাতে ক্রমে তাদের দলে যােগদান করায় মৃত্যুঞ্জয়ের গায়ের জামা ক্রমশ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
“এখন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে।”-কে, কী বন্ধ করে দিয়েছে?
দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের একঘেয়ে অভিযােগ শুনে শুনে বিরক্ত হয়ে মৃত্যুঞ্জয় তাদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করা বন্ধ করে দিয়েছে।
“..তার চোখ দেখেই টের পাওয়া যায়…।”—কী টের পাওয়া যায়?
মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখে নিখিল টের পায় যে তার কোনাে কথার মানেই মৃত্যুঞ্জয় বুঝতে পারছে না। তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হয়ে গেছে।
মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাদে কেন?
অনাদরে, অবহেলায় এবং ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদে।
“মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না”—কোথায় যায়?
মৃত্যুঞ্জয় কলকাতা শহরের ফুটপাথে ও লঙ্গরখানাগুলিতে ঘুরে বেড়ায়।
“ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয়।”-কেন?
অনেক বুঝিয়েও বিকারগ্রস্ত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তন ঘটাতে নিখিল অক্ষম হয়, তাই সে হাল ছেড়ে দেয়।
Leave a comment