করলে মেলে গো + এষণা। “গো’ শব্দের অর্থ হল রশ্মি বা কিরন তথা আলোক। “এষণা” শব্দের অর্থ অম্বেষণ বা অনুসন্ধান। এই আলোক কীসের আলো? এই আলো আসলে সত্যের আলো তথ্যের আলো, যুক্তির আলো।

  • ফালদালীন এর মতে, “আমাদের উপস্থিত জ্ঞানের প্রকৃতির লক্ষ্যে সুশৃংখল অনুসন্ধান বা পর্যালোচনা, যা উদ্ধৃতি প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তা হল গবেষণা।”
  • জন ডব্লিউ বেষ্ট্রের মতে, “গবেষণা হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ দ্বারা বিশ্লেষনের আরও আনুষ্ঠানিক, সুসংবদ্ধ ও ব্যাপক প্রক্রিয়া।”
  • রিচার্ড এর মতে “গবেষণা হল সাধারন ভাবে প্রয়োগযোগ্য একটি নতুন জ্ঞান, যা সৃষ্টি করতে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।”

গবেষণা সম্পর্কে এইসব সংজ্ঞা গুলি যদি আমরা বিশ্লেষন করি তাহলে এটা বলা যায়, গবেষণা গবেষকের মৌলিকতার স্বাক্ষর বহন করে । জ্ঞান অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য আবিষ্কার করাই যে কোনো গবেষণার লক্ষ্য । তাই অনেকে মনে করেন যে, যা সকলের কাছে অজানা তা জানার নাম গবেষণা নয়। বরং যে বিষয়ে সকলের কমবেশি জ্ঞান রয়েছে সেই বিষয়ে যথার্থ বা সম্যক জ্ঞান লাভের পদ্ধতি হল গবেষণা

গবেষণার প্রয়োজনীয়তা :-

গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে একটি প্রশ্ন উঠে আসে, গবেষণা আমরা কেন করব বা গবেষণা প্রয়োজনীয়তা কেন?

  • কিছু ভালো কাজের মধ্য দিয়ে জ্ঞান লাভের আনন্দ পাওয়ার ইচ্ছায়।
  • সমাজে সেবা করার জন্য।
  • প্রায়গিক ভাবে কোন সমস্যার সমাধান খোঁজার ইচ্ছায়
  • একটি গবেষণার ডিগ্রী অর্জন লাভের ইচ্ছায়।
  • মর্যাদাবান হওয়ার ইচ্ছায়।
  • পুরাতনকে খোঁজা এবং নতুনকে সনাক্ত করা জন্য।
  • জনমত তৈরীর জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য।
  • বতর্মানে উপস্থিত কোন বিষয়ের সত্যতা যাচাই করার জন্য।

গবেষণা গুরুত্ব :-

গবেষণার উদ্দেশ্য :-

গবেষণার মূল উদ্দেশ্য গুলি কি? গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এই প্রশ্ন অনেক সময় চলে আসে। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল, বতর্মানে উপস্থিত এমন বিষয়ে গোপন সত্য আবিষ্কার করা যা এখনও পর্যন্ত সেই সত্য প্রকাশিত হয় নাই। এছাড়াও গবেষণা আরও কিছু মূল উদ্দেশ্য  সাধন করে থাকে । যেমন –

  • যে কোন ঘটনা সম্পর্কে পরিচিত হওয়া এবং সেই ব্যাপারে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা। এই ধরনের গবেষণা হল অনুসন্ধানমুখী গবেষণা ।
  • কোনো আলাদা স্বত্ত্বা, অবস্থা, দল বা গোষ্ঠির সার্বিক চিত্র তুলে ধরা এই ধরনের গবেষণা হল বর্ননা মূলক গবেষণা।
  • বিশেষ কোনো ঘটনা কতবার ঘটেছে এবং সেই ঘটনার সাথে গবেষণাটি কত টুকু সম্পর্ক যুক্ত তা নির্ণয় করা।
  • অবস্থান বা পরিবর্তন গুলির কার্যকারণ সম্পর্কে অনুমিত সিদ্ধান্ত যাচাই করা।
  • নতুন কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা বা গবেষণা করা যা নিয়ে এখনও কিছুই হয় নাই । সেই চিন্তা-ধারণা কে যথাযথ প্রমানের সাহায্যে সকলের সামনে উপস্থিত করা।
  • কোনো গবেষক দ্বারা আবিষ্কৃত গবেষণার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করা, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বর্ননা করা।

বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে অজানা উত্তর খুঁজে বের করা গবেষণার উদ্দেশ্য। আর গবেষণার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো যে সত্য গোপন আছে তা প্রকাশিত করা, যা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি তা আবিষ্কার করা।

তবে প্রত্যেকটা গবেষণার আলাদা কিছু উদ্দেশ্য থাকে যা বিশেষ সমস্যা সমাধানের পথ খুলে দেয় অথবা নতুন কোন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। আর এ জন্যই সুনির্দিষ্ট গবেষণার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য।

গবেষণার লক্ষ্য :-

জ্ঞান অনুসন্ধানের জন্য মানুষের মন সর্বদাই ব্যাকুল থাকে । জ্ঞান পিপাসু মানুষ চিরকাল জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ধাবিত হয়। জ্ঞান অর্জনের আকাঙ্খা মানব সভ্যতাকে ক্রমশঃ আগে নিয়ে যাচ্ছে। সেই জ্ঞানের যথার্থতা নির্ধারণ করা গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে গবেষককে সকল প্রকার ভুল ভ্রান্তির প্রবণতাকে পরিত্যাগ করতে হয় । তাই কোনো বিষয় সম্পর্কে উপসংহারে উপনিত হওয়ার পূর্বে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে গবেষককে স্মরণ রাখতে হয়, তার মূল্যবোধ কোন ভাবে যেন গবেষণাকে প্রভাবিত না করে।

গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া প্রয়োগের মধ্য দিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর আবিস্কার করা। গবেষণার মূল লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা তথ্য বা সত্যকে খুঁজে বের করা, যা এখনও পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি তা । যদিও প্রত্যেকটি গবেষণা অধ্যায়নের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে।

সহজ ভাষায় বললে গবেষণায় মূলত আট ধরনের লক্ষ্য হতে পারে :-

  1. আবিস্কার করা
  2. বর্ণনামূলক
  3. বিচার বিবেচনা
  4. ব্যাখ্যা করা
  5. অনুমান বা ধারণা করা
  6. পরিবর্তন করা
  7. মূল্যায়ণ করা।

আরও বিস্তারিত ভাবে বলা যায় :-

  • একটি বিষয় সর্ম্পকে পরিচিতি লাভ করা এবং তার মধ্য দিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা।
  • একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি, অবস্থা ও দলের বৈশিষ্ট্য সমূহ সম্পর্কে বর্ণনা করা।
  • বিষয় গুলোর মধ্যে অপরিকল্পিত সর্ম্পক গুলোকে পূর্ব অনুমান করার জন্য পরীক্ষা করা।
  • পুরোনো তথ্য থেকে জ্ঞানের মাধ্যমে নতুন ভাবে সাধারনীকরনের অনুসন্ধান করা।
  • নতুন তথ্যের মাধ্যমে পুরোনো সিদ্ধান্ত গুলিকে পুনরায় ঝালিয়ে নেওয়া ।
  • নতুন ধারনার জন্ম দেওয়া বা জ্ঞানের অনাবিষ্কৃত দিগন্ত উন্মোচন করা ।
  • বতর্মানে বিদ্যমান জ্ঞানের মধ্যে যে দন্দ্ব রয়েছে তার সমাধান করা ।
  • যে সমস্যার কোনো সমাধান এখনও হয় নি তাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহন করা ।
  • গবেষণার লক্ষ্য নতুন কোন গবেষণা মূলক দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করা।
  • গবেষণার লক্ষ্য সৃজনশীলতার পরিচয় প্রদান করা ।
  • বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সকলের কাছে প্রকাশ করা।

 

গবেষণার তাৎপর্য :-

  1. কোনো কাজের পরিকল্পনা সাধনের ক্ষেত্রে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রাখতে পারে।
  2. কোন প্রসঙ্গ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দান করতে গবেষণা পারে।
  3. সমাজে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
  4. মানুষের মূল্যবোধ ও কুসংস্কারকে দূরীভূত করতে, প্রয়োজনীয় ঐক্য মতের ভিত্তি সৃষ্টি করতে পারে গবেষণা।।
  5. আমাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি বা উন্নতির জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করতে পারে।
  6. প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মত অতটা সঠিক ও যথেষ্ট ভবিষ্যত বাণী করতে না পারলেও, সীমিত ক্ষেত্রে বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যত বাণী করতে পারে।

 

গবেষণার প্রকৃতি (Nature of Research ) :-

যে কোনো গবেষণাই উদ্দেশ্য গত ভাবে নতুন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের উপস্থিত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে আগ্রহী করে তোলে। বিশেষ করে এর পিছনে কাজ করে গবেষকের অনুসন্ধানী মন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য পথ নির্দেশ উদ্ভাবনের প্রত্যশা । কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে গবেষণা লব্ধের ফলাফলকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয় । গবেষণার প্রকৃতি গুলো হল :

  1. গবেষণা করা হয় ধারাবাহিক ও সুশৃংখল ভাবে।
  2. গবেষককে হতে হয় নিরপেক্ষ ও সাহসী। গবেষণার ব্যবহৃত তথ্য সমূহ সমাজের প্রচলিত নিয়মের বাইরে যদি চলে যায় তা হলেও তা প্রকাশের জন্য সাহস থাকা খুবই দরকার ।
  3. গবেষককে সকল ধরনের আবেগ অনুভুতি ত্যাগের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করতে হয় ।
  4. গবেষণা একটি সময় সাপেক্ষ, ব্যায়-বহুল ও শ্রম ও ধয্যের বিষয় ।
  5. অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নির্দেশকদের দ্বারা গবেষককে গবেষণা পরিচালনা করতে হয়।
  6. গবেষণার উপর ভিত্তি করে নতুন কোনো তত্ত্ব ও তথ্য আবিষ্কার হয় ।
  7. গবেষকের মূল উদ্দেশ্য হল অনুসন্ধানের মাধ্যমে মানবিক আচার আচরন এবং সমাজ জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি করে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ সমূহ বজায় রাখা।

 

গবেষণার বৈশিষ্ট্য :-

একটি গবেষণার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে। যেহেতু গবেষণার মাধ্যমে সত্যকে অনুসন্ধান করা হয়, তাই যাতে প্রকৃত সত্যকে খুঁজে পাওয়া যায় তার জন্য গবেষককে সুশৃংখল পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়। গবেষণার বৈশিষ্ট্য গুলি হল :

১- গবেষণা রীতিবদ্ধ :-

একটি গবেষণা হল নতুন কোনো ঘটনা উদঘাটনের একটি নিয়ম তাত্ত্বিক পদ্ধতি। এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক রীতি নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করা হয় । সুতরাং গবেষনা একটি রীতিবদ্ধ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।

 

২ – গবেষনা যৌক্তিক :-

একটি গবেষণা যৌক্তিক ভাবে সংগতিপূর্ন ও অর্থপূর্ন হয় । এক্ষেত্রে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার দ্বারা যৌক্তিক অনুসিদ্ধান্ত গঠন করা হয় এবং এই অনুসন্ধান এর মাধ্যমে বাস্তব ঘটনা বা তথ্যের সাহায্যে যৌক্তিকতা যাচাই করা হয় । কোনো গবেষণায় ব্যবহৃত ধারনা যদি বাস্তব জগতের কোনো তথ্যকে নির্দেশিত না করে তাহলে তা মুল্যহীন হয়ে পড়বে। তাই গবেষণা যৌক্তিক হয়।

৩ – গবেষনা অভিজ্ঞতালব্ধ :-

অভিজ্ঞতালদ্ধ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যই একটি গবেষণায় ব্যবহৃত হয় । গবেষনা কোনো অতি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয় বা অনুমান নির্ভরও নয়। বাস্তব ভিত্তিক ও অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্যই গবেষণার স্বরূপ। বাস্তবতার সাথে সম্পর্ক নেই এমন বিষয় গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে না।

৪ – গবেষণা পুনরাবৃত্তি মূলক :-

গবেষণার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল ঘটনা সমূহের পুনরাবৃত্তি। অনেক ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে যে বিষয়টি বা সিদ্ধান্তটি আমাদের বেড়িয়ে আসে তা পূর্বের কোনো গবেষণার বিষয়ের বা সিদ্ধান্তের মত পুনরাবৃত্তি হতে পারে। সুতরাং পুনরাবৃত্তি গবেষণার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

গবেষণার প্রকারভেদ :-

প্রেরনার দিক থেকে সামাজিক গবেষণা মূলত, দুইপ্রকার –

১) তাত্ত্বিক গবেষণা ( Pure Research) এবং

২) প্রয়োগ মূলক গবেষণা (Applied Research)।

উদ্দেশ্যের দিক থেকে সামাজিক গবেষণা তিন প্রকার –

১) অনুসন্ধানমূলক গবেষণা (Exploratory Research)

২) বর্ননামুলক গবেষণা (Descriptive Research)

3) ব্যাখ্যামূলক গবেষণা (Explanatory Research)

গবেষণা সমস্যা :-

যে বিষয়ের উপর গবেষণা করা স্থির হয় তাকে একটি বাক্যবন্ধ হিসাবে প্রকাশ করে গবেষণার কাজ শুরু করা হয়। এইটিই গবেষণার সমস্যা যা প্রকৃতপক্ষে গবেষকের জ্ঞাতব্য প্রশ্নের বিবৃত রূপ। গবেষণার সূত্রপাত অর্থাৎ গবেষণা সমস্যার উৎস কোনো পূর্ব প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব থেকে হতে পারে। তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করা, অসঙ্গতি দূর করা বা নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া এইসব উদ্দেশ্যে নতুন গবেষণা শুরু হতে পারে। আবার সরাসরি তত্ত্বের দিকে দৃষ্টিপাত শুধুমাত্র পূর্ববর্তী গবেষকরা যে জায়গায় গবেষণা শেষ করেছেন সেখান থেকেও নতুন গবেষণা শুরু করা হয়। তাদের সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই, পদ্ধতিগত অসঙ্গতি বা অসম্পূর্ণতা দূর করা এই প্রচেষ্টা থেকে নতুন গবেষণার সমস্যা নিরূপণ হতে পারে। এছাড়াও যে সব প্রাকৃতিক, সামাজিক বা ব্যক্তিগত ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নি সেগুলিও গবেষণার বিষয় হতে পারে।

গবেষণার সমস্যা নির্ধারণের জন্য একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান শুরু করে ধাপে ধাপে সুনির্দিষ্ট গবেষণা সমস্যার উপনীত হওয়া যায় এবং অনেকসময় গবেষণার সমস্যাটিকে যথাযোগ্য পদ্ধতিতে গবেষণা করা যাবে কি না তা বিচার করে দেখার জন্য ছোট করে প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়।

গবেষণায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা উঠে আসে:-

  • সমস্যাটি কী? পরিস্থিতি বা সমস্যাটি ভালভাবে বুঝতে চেষ্টা করা হয়।
  • সমস্যাটির কারণ কী? কীসের দ্বারা এবং কেন সেই সমস্যা উদ্ভব হলো, এ সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • সমস্যার সমাধান কীভাবে করা সম্ভব / যায়? সমস্যা ও এর কারণ সনাক্ত করার পর কাজ শেষ হয়ে যায় না। বরং তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হয়।