বর্তমানে গণতন্ত্র অত্যন্ত জনপ্রিয়: বর্তমান বিশ্ব গণতন্ত্রের জয়গানে মুখর। তত্ত্বগত বিচারে আদর্শ ও সর্বোৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা হিসাবে গণতন্ত্র রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তাজগতে সর্বজনস্বীকৃত। প্রাচীন গ্রীক রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় স্বাধীনতা, সাম্য ও সমানাধিকারের দাবির ভিত্তিতে যে গণতান্ত্রিক ধারণার উৎপত্তি, বিংশ শতাব্দীতে তা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রতত্ত্বের বৃহত্তর ও মহান আদর্শে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা ভাবনার ব্যাপক প্রভাবে বর্তমান শতাব্দীতে অন্যান্য শাসনব্যবস্থার ধারণা হীনমান। সেইজন্য বর্তমান দুনিয়ার ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক নির্বিশেষে সকল রাষ্ট্রেই গণতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। গণতন্ত্রের এই ব্যাপক প্রসার ও জনপ্রিয়তা এর সম্ভাবনাময় উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিস্বরূপ।
গণতন্ত্রের সংকট: বিংশ শতাব্দীতেই গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা ও আদর্শের বিশেষ বিকাশ ঘটেছে। তাই আধুনিক যুগকে গণতন্ত্রের যুগ বলা হয়। আবার বর্তমান শতাব্দীতেই গণতন্ত্র গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারণা ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে আজকাল বিরোধ-বিতর্ক ও আপত্তির ঝড় উঠেছে। গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ ও আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই অস্থির মানসিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার সুযোগেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকট-স্বরূপ ফ্যাসিজমের উৎপত্তি হয়। পর্যুদস্ত জাতীয় চেতনা ও অর্থনৈতিক সংকটের অনুকূল আবহাওয়ায় মুসোলিনী ও হিটলার গণতন্ত্রের কবর রচনায় প্রবৃত্ত হন। ইতালি, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। বেকার সমস্যা, অর্থনৈতিক সংকট দুনিয়া জুড়ে ক্রমশ তীব্রতর হতে থাকে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থার অস্তিত্বহেতু প্রশাসনিক স্থায়িত্ব ও দৃঢ়তা নষ্ট হতে শুরু করে। আভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্বল নীতি বিভিন্ন দেশে সংকটের সৃষ্টি করে। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি দৃঢ়তা ও সাফল্যের সঙ্গে এই প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে পারেনি। তার ফলে ফ্যাসিজিম গণতন্ত্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তোলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামরিক ও সাম্রাজ্যবাদী একনায়কতন্ত্রের উদ্ভব হয়। স্পেনে ফ্রাঙ্কো ও দক্ষিণ রোডেসিয়ায় স্মিথের একনায়কতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
একদলের মতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ হতাশাব্যঞ্জক: একদল রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব সম্পর্কে শঙ্কিত। তাঁদের আশঙ্কা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নৈরাশ্যজনক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। কারণ হিসাবে বলা হয়। যে গণতন্ত্র বর্তমানে চরম সংকটের মুখোমুখী। গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের মনে যে প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছিল। তা এখনও অপূর্ণ। ধনবৈষ্যম্যের বিষময় পরিবেশে যথার্থ সাম্য ও স্বাধীনতা এখনও তত্ত্বকথা মাত্র। অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেইজন্য গণতন্ত্র পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার শিকারে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ কেবল অর্থনৈতিক বা শাসনতান্ত্রিক গণতন্ত্রের অভাবে রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রে গণতন্ত্র অর্থহীন হয়ে পড়তে বাধ্য।
নৈরাশ্যের কারণ: গণতন্ত্রের সামনে উপস্থিত সংকটের পিছনে আরও কিছু কারণ আছে। গণতন্ত্রে জনগণকে শক্তির উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়। জনসাধারণের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সম্মতির উপরই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। তাই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সফল করতে হলে নাগরিকদের রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনা জাগ্রত হওয়া দরকার। জনসাধারণ তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সদা সচেতন থাকবে। সদা-সতর্ক দৃষ্টিই স্বাধীনতার রক্ষক এবং এটাই হল গণতন্ত্রের নীতি। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উদ্যোগ ও ক্ষমতা না থাকলে গণতন্ত্রের সাফল্য ব্যাহত হতে বাধ্য। গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য যে নাগরিক চেতনা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য বিবেচিত হয় তার বিশেষ অভাব আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। লয়েডের মতে, নাগরিকদের নির্লিপ্ততার জন্য গণতন্ত্র সংকটের সম্মুখীন (“Democracy is in danger of grow hing state through the laziness of its members.”)। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য জনগণের আগ্রহ, উদ্যোগ ও ক্ষমতা যদি না থাকে তা হলে গণতন্ত্রের সাফল্য আশা করা যায় না।
অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তা উদারনৈতিক গণতন্ত্র (Liberal Democracy) হিসাবে পরিচিত। ব্যক্তিত্বের যথাযথ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান উদারনৈতিক গণতন্ত্রে সংরক্ষণ করা হয়। উদারনৈতিক গণতন্ত্র ও জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়নি। তবে এক্ষেত্রেও গণতান্ত্রিক জনগণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের অভাবই কারণ হিসাবে উল্লেখযোগ্য। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় গণতন্ত্র বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে। ধনী-দরিদ্রের মধ্যে পর্বতপ্রমাণ পার্থক্য, প্রকট অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সংকট সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগকে অসম্ভব করে তুলেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি ও সংরক্ষণ এবং সাম্য নীতির ভিত্তি এইসব অধিকারের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ রচিত হয়। গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য এটা দরকার। অর্থনৈতিক গণতন্ত্র ছাড়া রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কিন্তু অর্থনৈতিক গণতন্ত্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
উপযুক্ত ও দায়িত্বশীল নাগরিকের অভাব: তবে গণতন্ত্রের ব্যর্থতার পিছনে নাগরিকদের দায়িত্বও কম নয়। নাগরিকদের অশিক্ষা, অযোগ্যতা, বুদ্ধিবৃত্তির অভাব প্রভৃতি গণতন্ত্রের সাফল্যের পথে বড়ো বাধা। এইসব কারণেই জনসাধারণ সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনে অপারগ হয়। তাদের মধ্যে যে নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা ও উদ্যমহীনতা দেখা যায়, তার ফলে দেশের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব কিছু চতুর ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তির করায়ত্ত হয়ে পড়ে। দেশের সম্পদ ও সরকারী কর্তৃত্ব মুষ্টিমেয় বিত্তবান ও চতুর লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার কারণে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হয় এবং সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার উপেক্ষিত হয়। আর এই অবস্থার চরম পরিণতি হিসাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও গণতন্ত্র উপহাসের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও গণতন্ত্রই গ্রহণযোগ্য: উপরিউক্ত বিষয়াদি এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক ও হতাশাব্যঞ্জক ধারণা পোষণ করেন। তথাপি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ-আনুকূল্যে ঘাটতি ঘটেনি। রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র প্রভৃতি অতীতের বিভিন্ন রকম সরকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আর কোনো মোহ নেই। সকলেরই আন্তরিক অভিপ্রায় হল যে-কোনো উপায়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত করা। বার্নস (C. D. Burns) ও তাঁর ‘গণতন্ত্র’ শীর্ষক গ্রন্থে বলেছেন: ‘প্রতিনিধিমূলক শাসনব্যবস্থায় ত্রুটি আছে অস্বীকার করা যাবে না, কিন্তু তাই বলে প্রাচীন কালের পরিত্যক্ত শাসনব্যবস্থাগুলিকে আঁকড়ে ধরা মূর্খামির পরিচয়’ (“No one denies that existing representative assemblies are defective but if an automobile does not work well, it is foolish to go back into a farm cart, however romantic”)। তাই আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নানারকম দোষ-ত্রুটির অস্তিত্ব সত্ত্বেও পরিহারের পরিবর্তে এর প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যাপারে সকলেই আগ্রহী। গণতন্ত্রের উপযোগিতা বা প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো রকম সন্দেহের অবকাশ নেই। দেশে দেশে সাধারণ মানুষের দারিদ্র্যক্লিষ্ট এবং হতাশা ও বঞ্চনাপূর্ণ জীবনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই যে মর্যাদা ও আশার আলো জ্বালিয়েছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই গণতন্ত্রের বিকল্প হিসাবে অন্য কোনো শাসনব্যবস্থার কথা ভাবা হয় না। গণতন্ত্রের কট্টর সমালোচকরাও ত্রুটিমুক্ত কোনো বিকল্প শাসনব্যবস্থার সন্ধান দিতে পারেননি। সুতরাং গণতন্ত্রই হল বর্তমানে একমাত্র গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা। শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি হিসাবে স্থায়ী সংস্কার সাধনে গণতন্ত্র বিশেষভাবে উপযোগী।
গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলি দূর করা প্রয়োজন: তবে আধুনিক গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলি দূর করা দরকার। গণতন্ত্রের পথ একেবারে সুগম বা নাতিদীর্ঘ নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সাফল্যের জন্য প্রয়োজন হল নাগরিকদের যুক্তিপূর্ণ মনোভাব ও পরমতসহিষ্ণুতা। দেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা ও সহিষ্ণুতার মনোভাব থাকা দরকার। তা ছাড়া সকল নাগরিকের মানসিক উৎকর্ষ সাধনের প্রয়োজন আছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। সাম্য নীতিই হল গণতন্ত্রের ভিত্তি। সমাজে প্রচলিত যাবতীয় কৃত্রিম বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। জনগণ, বিশেষ করে সাধারণ মানুষই নিজেদের স্বার্থে গণতন্ত্রকে গ্রহণ ও রক্ষা করার ব্যাপারে ঐকান্তিক ভাবে আত্মনিয়োগ করবে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের, বিশেষ করে সাধারণ মানুষের। জনসাধারণের সদাসতর্ক দৃষ্টিই হল স্বাধীনতার রক্ষক এবং গণতন্ত্রের নীতি। শুধু আশা নয়, দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে একথা বলা যায় যে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে জনগণ সাফল্যের সঙ্গে তাদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে এবং তাহলেই উত্তরপুরুষ উন্নততর সর্বশ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থার সাক্ষাৎ পরিচয় পাবে।
গণতন্ত্রের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তত্ত্বের আলোচনায় গণতন্ত্রকে বাদ দিলে আর যে সকল শাসনব্যবস্থার কথা বলা হয়, তাদের কোনোটিই গণতন্ত্রের বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। গণতন্ত্রই সাধারণ মানুষকে স্ব-শাসনের স্বাদ দিয়েছে। এর বিকল্প হতে পারে না। ব্যানারম্যান বলেছেন : “Good government is not substitute for self-government.” বর্তমান পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে গণতন্ত্র ব্যাপক প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে। আশাহত হওয়ার কোনো কারণ ঘটে নি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দৃঢ় বিশ্বাস গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায় দুঃখ-দারিদ্র্যের অবসান হবে, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ন্যায়, সাম্য, স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব হবে। এই পথেই সকলের সুখ সমৃদ্ধির সম্ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত হবে।
উপসংহার: উপরিউক্ত আলোচনা ভাবনার সৃষ্টি করে, কিন্তু আশঙ্কার নয়। ‘গণতন্ত্র ত্রুটিহীন শাসনব্যবস্থা’ এ দাবি করা যায় না। বস্তুত অবিমিশ্র গুণযুক্ত কোনো কিছুরই সন্ধান পাওয়া যায় না। গণতন্ত্রেও দোষ-ত্রুটি আছে। কিন্তু তার সংশোধনও সম্ভব। গণতন্ত্রের সাফল্যের শর্তগুলি পূরণের ব্যাপারে নাগরিকগণ আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হলেই তা সম্ভব। আদর্শগত বিচারে গণতন্ত্র প্রকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা, তা সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। মূল ত্রুটি নাগরিকগণের মধ্যেই নিহিত। তার জন্য গণতন্ত্রকে দায়ী করা যায় না। তা ছাড়া গণতন্ত্র মানবতাবোধ ও মানবকল্যাণের যে মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত, অপর কোনো শাসনব্যবস্থার কাঠামোয় তার বাস্তবায়ন অসম্ভব। তাই বিরুদ্ধবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও, বিকল্প হিসাবে অন্য কোনো উন্নততর শাসনব্যবস্থার সন্ধান দিতে পারেননি। ব্রাইস বলেছেন: “However grave indictment that may be brought against Democracy, its friends can answer, what alternative do you offer?”
Leave a comment