পদ্ধতি বলতে সেই প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থাকে বোঝায় যার মাধ্যমে কোন কাজ সম্পন্ন করা যায়। এটি বলতে আবার একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রমকেও বোঝানো হয়ে থাকে। পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া কিন্তু এক নয়। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে অর্জন করার যে সমস্ত ধারাবাহিক কার্যাবলী করা হয় তা হল প্রক্রিয়া। অন্যদিকে পদ্ধতি হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে (manner) লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য ধারাবাহিক কার্যাবলী করা হয়। সুতরাং পদ্ধতি হল একটা নির্দিষ্ট ছাঁচ, একটা নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী যেখানে কৌশলের উপর বেশী জোর দেওয়া হয়, এখানে কর্মে সাফল্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় মহাত্মা গান্ধীর কাছে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কিন্তু তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল অহিংস শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সেই লক্ষ্য অর্জন। একইরকমভাবে পদ্ধতিগত গণতন্ত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, কৌশল, ছাঁচ হল সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিভাবে এই পদ্ধতিকে ব্যাখ্যা করা যাবে যা গণতন্ত্রকে সফল করে তুলবে? এর উত্তরে পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের প্রবক্তারা বলেন, এর জন্য প্রয়োজন কিছু সুনির্দিষ্ট অনুপুঙ্খ নিয়মকানুনের যা অনুসরণ করলে উদ্দীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া যাবে। এই ধরনের গণতন্ত্র আসলে সুনির্দিষ্ট আইনের উপর প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতির জয়গান করে, এদের মত অনুযায়ী এইরকম আইনসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করলে একটি আদর্শ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আইন ও সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই সর্বোৎকৃষ্ট বলে এখানে মনে করা হয়।
গণতন্ত্রের এই ব্যাখ্যা বা ভাষ্য অনুযায়ী কোন সমাজ বা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে গণতন্ত্র হিসাবে বিবেচিত বা পরিগণিত হতে হলে তাকে সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অনুসারে পরিচালিত হতে হবে। এই ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু অপরিহার্য উপাদান আছে। এগুলি হল—
(ক) অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হল এই ধরনের গণতন্ত্রের প্রাণ। পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল এখানে জনগণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি প্রকৃত গণতন্ত্রের সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করা হয়। সুতরাং এই ধরনের গণতন্ত্রে আইন ও সংবিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার উপর সবিশেষ জোর দেওয়া হয়। আবার এখানে এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে সরকারের পাশাপাশি স্বাধীন নিরপেক্ষ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এই নির্বাচন তদারকি করতে পারে যাতে নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়।
(খ) পদ্ধতিগত গণতন্ত্রে নির্বাচনী ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলির খোলামেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপর জোর দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলির স্বাধীন ও মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই ধরনের গণতন্ত্রের পক্ষে অপরিহার্য বলে বিবেচনা করা হয়। আইন ও সংবিধান এখানে অবশ্যই স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দেবে নিয়মকানুন ও আচরণবিধি যা মেনে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব অসীম। রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার স্থাপিত হয়, রাজনৈতিক দল আইনসভাকে নিয়ন্ত্রণ করে, নীতি ও আইনকানুন প্রণয়ন করে ও সরকারকে পরিচালনা করে। তাই অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজনীয় এবং এইরকম নির্বাচন একমাত্র অনুষ্ঠিত হতে পারে আইন ও সংবিধান নির্দিষ্ট আইনানুগ পদ্ধতির মাধ্যমেই।
(গ) পদ্ধতিমূলক গণতন্ত্রের আরও একটি অপরিহার্য উপাদান হল অবাধ সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সমস্ত নাগরিকের ভোটাধিকার গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য শর্ত। পদ্ধতিগত গণতন্ত্রেও একজন ব্যক্তি/একটি ভোট এই রাজনৈতিক সমতার নীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, মনে করা হয় এই অধিকার সুনিশ্চিত না করা গেলে প্রকৃত গণতন্ত্র কখনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
(ঘ) পদ্ধতিমূলক গণতন্ত্রের আর একটি অপরিহার্য উপাদান হল নিরপেক্ষতা বা পদ্ধতিগত স্বচ্ছতা। এখানে নিরপেক্ষতা বা পদ্ধতিগত স্বচ্ছতার অর্থ হল রাষ্ট্র বা সরকার একটা নিরপেক্ষ অধিকারের পরিকাঠামো বজায় রাখবে যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে তার পক্ষে কোন্টি ভাল বা মন্দ তা বেছে নিতে পারবে। এর অন্তর্নিহিত অর্থ হল সরকার বা রাষ্ট্র তার নীতি বা আইনের দ্বারা কাউকে বাধ্য করবে না বা করতে চেষ্টা করবে না কোন নির্দিষ্ট জীবনধারা বা শৈলীকে বেছে নিতে। অর্থাৎ সরকারের কোন নির্দিষ্ট আদর্শগত পক্ষপাতিত্ব বা ঝোঁক থাকবে না, তার একমাত্র লক্ষ্য হবে নাগরিকদের কল্যাণ। এখানে সরকারের অন্য কোন আদর্শগত অবস্থান থাকবে না কারণ গণতন্ত্রই হল সবচেয়ে বড় আদর্শ। পদ্ধতিগত স্বচ্ছতা বা ন্যায্যতা আরও দাবী করে যে সরকার বা রাষ্ট্রব্যবস্থা হবে পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ। সরকার কোন পক্ষপাতিত্ব করবে না বা কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না। সরকার সমাজে অবস্থিত সমস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে যথোচিত সম্মান দেবে। এই পদ্ধতিগত স্বচ্ছতাই জনগণের প্রকৃত সুখ বা আদর্শ জীবন সুনিশ্চিত করবে।
(ঙ) পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের তত্ত্ব অনুযায়ী এই গণতন্ত্রের একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সরকারের ধারাবাহিক সাড়া দেওয়ার সামর্থ্য (responsiveness)। এর অর্থ হল সরকার দায় নেবে, সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে, এবং জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকবে। সরকারী আধিকারিকরা আইন নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী সরকারী কাজকে সম্পন্ন করবেন, কোন অন্যায় বা অন্যায্য পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না। শেষ বিচারে পদ্ধতিগত গণতন্ত্র হল সেই ধরনের সরকারী ব্যবস্থা যেখানে এমন পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হয় যা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে বা শাসন করতে সামর্থ্যশীল করে তোলে।
পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের ধারণার সূত্রপাত হয় বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী জোসেফ সুমপিটার (Joseph Shumpeter)-এর লেখা থেকে। তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র গণতন্ত্র’-তে এই ধারণাটি তুলে ধরেন। ধ্রুপদী গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় যে ‘সাধারণ মানুষের শাসন, জনগণের শাসন’-এর ধারণা থাকে সুপিটার তাকে বদলে ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতির’ ধারণার উপর জোর দেন। তার মতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হল এমন এক প্রাতিষ্ঠানিক বিন্যাস যার মাধ্যমে জনগণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। সুপিটারের মতে এই পদ্ধতিগত গণতন্ত্রেই একমাত্র জনগণ সরকারী নীতি নির্ধারণ করার সামর্থ্য অর্জন করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোটের মাধ্যমেই একাজ সম্পন্ন হয়। পদ্ধতিমূলক গণতন্ত্রে গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধ ধারণার উপর জোর দেওয়া হয়। এখানে যে সমস্ত স্বাধীনতা স্বীকৃত হয় তা হল বাক্য ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, নিজস্ব সংঘ বা সমিতি গঠন প্রভৃতি। তবে মনে রাখা প্রয়োজন এগুলি কোনভাবেই এখানে গণতন্ত্রের নির্ধারক নয়।
এই গণতন্ত্রের আর একজন তাত্ত্বিক Adam Przeworski । তিনি ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ নামক গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্র হল এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে শাসকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতা লাভ করেন। Przeworski ও তার সহযোগী লেখকদের মতে গণতন্ত্র হল এমন এক সরকারী ব্যবস্থা যেখানে সরকারী পদগুলি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এঁরা মনে করেন, গণতন্ত্র তখনই সফল হয় যদি গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বজায় থাকে। সুতরাং তাঁদের মতে কোন রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গণতন্ত্র বলে স্বীকৃত হতে হলে সেখানে অবশ্যই শাসকপ্রধান জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। একটি নির্বাচিত আইনসভা থাকবে এবং এমন নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকবে যেখানে নির্বাচনে অন্তত দুটি বা তার বেশী দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অনেকের মতে পদ্ধতিমূলক গণতন্ত্রের তত্ত্ব গণতন্ত্র সম্পর্কে এলিট তত্ত্বের বক্তব্যকে সমর্থন করে। এলিট তত্ত্বের প্রবক্তাদের মতে গণতন্ত্রে কেবলমাত্র এলিট বা প্রবর গোষ্ঠীভুক্ত ব্যক্তিরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং এই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শাসক পদে নির্বাচিত হবার পর সাধারণ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না, কারণ সাধারণ মানুষ রাজনীতির কিছুই বোঝে না।
এলিট তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কাঠামো বজায় রাখলেও প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে কেবলমাত্র ন্যূনতম দায়বদ্ধতার কথা বলে। প্রকৃত দায়বদ্ধতার কথা নয়। প্যারেটোর মতে এলিটরাই একমাত্র নির্বাচনে জেতার যোগ্য কারণ তারা সাহসী ও চতুর। মসকা তার The Ruling Class নামক গ্রন্থে দেখিয়েছেন কিভাবে এলিটরা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশী ঐক্যবদ্ধ এবং সেই জন্যই তারা নির্বাচনে জয়লাভ করে আসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। মিচেলস্ দেখিয়েছেন কিভাবে সব প্রতিষ্ঠানেই চূড়ান্ত ক্ষমতা মাত্র কিছু লোকের হাতে সীমাবদ্ধ থাকে। এঁদেরকে অনুসরণ করে সুপিটার এবং সারতরি ঘোষণা করেছেন যে সাধারণ মানুষের ভূমিকা হল কেবলমাত্র এলিটদের মধ্যে থেকে শাসককে বেছে নেবার। সি. রাইট মিলস চিহ্নিত করেছেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র বলে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৃত ক্ষমতা কিভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক এলিটরা কুক্ষিগত করে রাখে। অন্যদিকে বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের প্রবক্তারা যেমন রেমন্ড অ্যারণ, রবার্ট ডাল প্রভৃতি এলিট তত্ত্বের বক্তব্য মানতে রাজী নন। তাদের মতে সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া একটি বিকেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া যেখানে নানান স্বাধীন ছোটবড় গোষ্ঠী দরকষাকষির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, সুতরাং কিছু শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই ধারণা সঠিক নয়। তবে এতদ্সত্ত্বেও তাঁরা একথা মানতে বাধ্য হয়েছেন আর্থ-সামাজিক কারণে কিছু গোষ্ঠী (এলিটরা) অন্যদের তুলনায় বেশী সুযোগসুবিধা ভোগ করে।
পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের তত্ত্ব ও বক্তব্যসমূহ আলোচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের প্রবক্তারা (তা সে এলিট তত্ত্ব বা বহুত্ববাদী তত্ত্ব যাই হোক না কেন) শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পদ্ধতিগত দিকের উপর জোর দিয়েছেন, এরা গণতন্ত্রের পদ্ধতিকে অতিক্রম করে যেতে পারেন নি; ফলত এদের গণতন্ত্র কেবলমাত্র পদ্ধতিসর্বস্ব হয়ে রয়ে গিয়েছে যা শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক। নির্বাচন শুধুমাত্র একটি উপায় (means) যার মাধ্যমে শাসকরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে তাদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করবে (উদ্দেশ্য বা end)। এই মূল বিষয়টিই পদ্ধতিগত গণতন্ত্রের তত্ত্বে উপেক্ষিত হয়েছে; ফলত এটি একটি নিষ্প্রাণ গণতন্ত্রের তত্ত্বে পর্যবসিত হয়েছে।
রবার্ট ডালকে সংশোধনবাদী গণতন্ত্রের একজন প্রধান তাত্ত্বিক হিসাবে ধরা হয়। তিনি পদ্ধতিমূলক গণতন্ত্রের তিনটি মৌলিক উপাদান চিহ্নিত করেছেন— (ক) রাজনৈতিক সাম্য, যার অর্থ হল সমষ্টিগত সিদ্ধান্তে সমস্ত ব্যক্তির মতামতের সমান গুরুত্ব থাকবে; (খ) কার্যকর অংশগ্রহণ, অর্থাৎ প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ থাকবে নিজস্ব পছন্দ জানানোর ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার; (গ) আলোকদীপ্ত বোঝাপড়া (enlightened understanding) যার অর্থ হল নীতি-নির্ধারণে প্রতিটি ব্যক্তির যথেষ্ট এবং সমান অধিকার থাকবে।
Leave a comment