খুদেগল্প, খুদেগল্পের বৈশিষ্ট্য |
খুদেগল্প
বিশ্বসাহিত্যের Mini Story (১৮ শতক) বাংলা সাহিত্যে নাম ধারণ করেছে খুদেগল্প (১৯ শতক)। ক্ষুদ্র থেকে খুদে শব্দটির উদ্ভব যায় অর্থ অতি ছােটো। খুদেগল্পের সহজ সংজ্ঞার্থ হলাে ছােটো না— অতি ছােটোগল্পই খুদেগল্প। সংক্ষিপ্ত বর্ণনাত্মক কাহিনি যখন ক্ষুদ্র আকার ধারণ করে তখন খুদেগল্প হয়। তবে তাতে অবশ্যই গল্পের বৈশিষ্ট্য থাকবে।
খুদেগল্পের বৈশিষ্ট্য
১. একটি আকর্ষণীয় ও যুক্তিসংগত শিরােনাম থাকবে ।
২. একটি কাহিনি বা প্লট থাকবে।
৩.কাহিনি জটিল না হয়ে সহজ-সরল ও উপভােগ্য হবে।
৪. কাহিনিতে নাটকীয় ভাবনা থাকবে ।
৫. কাহিনির শুরু ও শেষে নাটকীয়তা থাকলে ভালাে।
৬. কাহিনির একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
৭. প্রধান চরিত্রকে কেন্দ্র করে অপ্রধান চরিত্র আসতে পারে প্রধান চরিত্রকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
৮. চরিত্রগুলাের একটি ভাষা ও সংলাপ থাকতে হবে। তবে প্রধান বা অপ্রধান চরিত্রের মাধ্যমে ২/১টি সংলাপ থাকবে।
৯. লেখকের জীবনদর্শন যেমন থাকবে তেমিন বর্ণনা থাকতে হবে। তবে বর্ণনা ক্ষুদ্র, সহজ-সরল এবং ছােটো ছােটো বাক্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
Leave a comment