প্রশ্নঃ খাজনা কি? কিভাবে খাজনা আদায় করা হয়?
ভূমিকাঃ ভূমির মালিক কোন ভূমি তার নিজের দখলে রাখার জন্য সরকারকে যে অর্থ প্রদান করে তা-ই হলো খাজনা। প্রজাস্বত্ব রক্ষা করতে হলে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা প্ৰদান করতে হয়। সকল জমি খাজনার জন্য দায়ী।
খাজনা (Rent) কাকে বলেঃ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২(২২) ধারা অনুযায়ী-
কোন জমির দখল এবং ব্যবহার করার ফলে প্রজা কর্তৃক সরকারকে আইনসংগতভাবে যে অর্থ প্রদান করা হয় তাকে খাজনা বলে।
প্রজাস্বত্ব রক্ষা করতে হলে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা প্রদান করতে হয়। এই আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে- সকল জমি খাজনার জন্য দায়ী হবে।
কিভাবে খাজনা আদায় করা হয়ঃ নিম্নে খাজনা আদায়ের পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-
(১) সরকারকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ : সরকারের উপর ন্যাস্ত সকল বকেয়া খাজনা, কর, সুদ ইত্যাদি সরকারকে পরিশোধ করতে হবে অন্যকে নয়।
(২) মামলার কার্যক্রম বন্ধ : সরকার কোন খাজনা প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণ করলে এবং বকেয় খাজনা আদায়ের জন্য কোন মামলা বা ডিক্রি দেওয়ানি আদালতে রুজু থাকে তাহলে মামলার কার্যক্রম আর অগ্রসর করা যাবে না।
(৩) সম্পত্তি বিক্রি করে খাজনা আদায় : সার্টিফিকেট খাতক সরকারের অধীন প্রজা হলে এবং বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য দেওয়ানি কারাগারে আটক রেখে বকেয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায় করা যাবে।
(৪) জোত-জমা বিক্রি : সরকারি দাবি আদায় আইন অনুযায়ী খাজনা আদায়ের সার্টিফিকেট জারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জোত-জমা বিক্রি করা যাবে।
(৫) বকেয়া খাজনার সুদ : কোন খাজনা বা তার কিস্তি বকেয়া পড়লে ৬.২৫ টাকা হারে সুদ ধার্য করা যাবে।
(৬) বকেয়া খাজনা আদায় : সকল প্রকার বকেয়া খাজনা শুধু সরকারি দাবী আদায় আইনের অধীনে আদায় করা হবে।
(৭) তামাদি মেয়াদ : বকেয়া খাজনা আদায়ের সময় সীমা হলো যে বছর বকেয়া প্রদানের জন্য নির্ধারিত হয় সেই বছরের শেষ দিন থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।
উপসংহারঃ খাজনা সরকারের একটি আয়ের উৎস। জনগণ তার ভূমির মালিকানা বজায় রাখার জন্য সরকারকে খাজনা প্রদান করতে হয়। এই খাজনা সরকার যে কোন সময় বৃদ্ধি করতে পারে আবার হ্রাস করতেও পারে। খাজনা হ্রাস করতে হলে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হয় না কিন্তু খাজনা বৃদ্ধি করতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
Leave a comment