প্রশ্নঃ খতিয়ান বা ‘রেকর্ড অব রাইটস’ কাকে বলে? খতিয়ান বা ‘রেকর্ড অব রাইটস’ সংরক্ষণ ও সংশোধনের দায়িত্ব কার উপর?

ভূমিকাঃ খতিয়ানের মাধ্যমে জমির বিভিন্ন অধিকার নির্ণয় করা হয়। একটি জমির মালিকানা থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য এই খতিয়ানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। যারফলে এটি সংরক্ষণ করা অতি জরুরি।

খতিয়ান বা ‘রেকর্ড অব রাইটস’ (Record of Rights) কাকে বলেঃ বিক্রয়, বিনিময়, দান, এওয়াজ বদল ইত্যাদি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভূমির মালিকানা পরিবর্তন হয়।

জনগণের নিকট থেকে ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারি জরিপ বিভাগ সকল মৌজার জমির মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, ভূমির অংশ, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিবরণসহ ক্রমিক নয় অনুসারে যে স্বত্বের রেকর্ড তৈরি করে তার প্রত্যেকটিকে খতিয়ান বলে। এক বা একাধিক দাগের সম্পূর্ণ জমি বা আংশিক জমি নিয়ে কোন ব্যক্তির নামে সরকার অথবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ যে ভূমিস্বত্ব প্রস্তুত করে তাকে খতিয়ান বলে। পরিশেষে বলা যায়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন ব্যক্তির অধিকার যার মাধ্যমে নির্ণয় হয় তা-ই হলো খতিয়ান।

খতিয়ান বা ‘রেকর্ড অব রাইটস’ সংরক্ষণ ও সংশোধনের দায়িত্ব কার উপরঃ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী খতিয়ান সংরক্ষণ ও সংশোধনের দায়িত্ব একমাত্র কালেক্টরের উপর।

কালেক্টর নির্ধারিত পদ্ধতিতে খতিয়ান প্রস্তুত করবেন, কোন ভুল সংশোধন করবেন, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করবেন ইত্যাদি। এছাড়া নিম্নের পরিবর্তনগুলি খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত করবেন- 

* সরকার কর্তৃক ক্রয়কৃত জমির নতুন বন্দবস্ত।

* সিকস্তির কারণে খাজনা মওকূফ।

* অধিগ্রহণের কারণে খাজনা মওকূফ।

* উত্তরাধিকারের ফলে নতুন নামজারি।

* বিক্রয়, বিনিময়, দান ইত্যাদির ফলে নতুন নামজারি।

* জোতের উপবিভাগ সংযুক্তিকরণ বা একত্রিকরণ। 

উপসংহারঃ ভূমি আইনে খতিয়ান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে কোন ভূমির মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, ভূমির অংশ, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। খতিয়ান চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হয়।