গলনাঙ্কঃ  স্বাভাবিক চাপে (1atm) যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাকে ঐ পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
যেমনঃ পানির গলনাঙ্ক 0° সেন্টিগ্রেড ও সোডিয়াম ক্লোরাইড এর গলনাঙ্ক 801 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

 

স্ফুটনাঙ্কঃ স্বাভাবিক চাপে (1atm) যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় সে তাপমাত্রাকে উক্ত পদার্থের স্ফুটনাংক বলে।
যেমনঃ পানির স্ফুটনাঙ্ক 100 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।

পদার্থের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বিদ্যমান থাকে। কঠিন পদার্থের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের মান সবচেয়ে বেশি থাকে। যার কারণে কঠিন পদার্থের অনু সমূহের গতিশক্তি থাকে না। কঠিন বস্তুকে তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন বস্তুর অণুসমূহের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল ভেঙ্গে যায় এবং গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। যে অবস্থায় কঠিন বস্তুর অনু সমূহের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল ও গতিশক্তি সমান হয় তা ঐ বস্তুর গলনাঙ্ক।
আবার তরল পদার্থকে তাপ দিলে তরল পদার্থের অণুগুলির আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল ভেঙ্গে গ্যাসীয় পদার্থ পরিণত হয়। এক্ষেত্রে গ্যাসীয় পদার্থের অনু সমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় পদার্থের অনু সমূহের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল অপেক্ষা অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হয় বা বস্তুটি বাষ্পীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় তাকে ঐ বস্তুর স্ফুটনাংক বলে। বাষ্পীভূত অবস্থার জন্য বস্তুর অণুসমূহের গতিশক্তি সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আরো বেশি গতিশক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপ শক্তির প্রয়োজন। তাই স্ফুটনাংক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ভিন্ন পরিমাণ তাপশক্তির জন্য বস্তুর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয়।