ভূমিকাঃ পদ্ধতিগত প্রশ্ন সমাজবিজ্ঞানে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। অন্যান্য বিজ্ঞানের ন্যায় সমাজবিজ্ঞানও গবেষণার জন্য কতগুলাে পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলাে কেস স্টাডি। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞানের ‘Micro-analysis’-এর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হচ্ছে। কোনাে নির্দিষ্ট এককের বিভিন্ন দিকের অসংখ্য চলক (Variable) সম্পর্কে সুগভীর ও সুবিস্তৃত অনুসন্ধান করাই হলাে Case study-এর প্রাথমিক কাজ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ নিম্নে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানির দৃষ্টিকোণ থেকে কেসস্টাডি পদ্ধতির সংজ্ঞা প্রদান করা হলাে-
কেসস্টাডি পদ্ধতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে P. v. Young বলেন, ‘কেস স্টাডি পদ্ধতি হলাে সামাজিক এককের জীবনধারা উদ্ঘাটন ও বিশ্লেষণের একটি পদ্ধতি; সেই একক একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক দল অথবা কোন একটি গােষ্ঠিরসমষ্টি হতে পারে।’
G. v. Adams এবং J. D Schvan evelat বলেন, কেস স্টাডি পদ্ধতিতে একটি কিংবা স্বল্পসংখ্যক ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ সাধারণত অনুসন্ধেয় চলকসমূহের ধরন ও পরিমাণের ওপর আলােকপাত করা হয় এবং এর উপায় সর্বাত্মক ও গভীরতর অনুসন্ধানমুখী।
অতএব আমরা বলতে পারি, কোনাে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সম্প্রদায় অথবা যেকোনাে একক প্রপঞ্চের বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য যে ধরনের গবেষণা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকে, কেস স্টাডি পদ্ধতি বলে।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, কেস স্টাডি পদ্ধতিতে Micro-level-এ গবেষণা করার সুযােগ ঘটে। অনেক সময়ই বৃহৎ সমাজ সম্পর্কে ব্যাপকভাবে গবেষণা করা সম্ভব হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে কেস স্টাডির মাধ্যমে বৃহৎ সমাজের একটি প্রতিনিধিত্বশীল অংশকে গবেষণা করা হয়। যদিও George A. Lundberg এটাকে গবেষণা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা না করে গবেষণার একটি কৌশল বলেছেন, তারপরও Case study-এর মাধ্যমে বৃহৎ সমাজ সম্পর্কে একটা ধারণা অর্জন করা যায়।
Leave a comment