অথবা, নন্দের নান্দন কাহ্ন আড়বাঁশী বাএ যেন রএ পাঞ্জরের শুআ – এখানে আড়বাঁশী বলতে কী বুঝানো হয়েছে? আলোচনা কর।
উত্তর: কৃষ্ণ বিহনে রাধার রূপ যৌবন বৃথা। তাই পৃথিবী দ্বিধাবিভক্ত হলে রাধা প্রবেশ করে আত্মগোপন করতে চাচ্ছে। কালিন্দী নদীতীরে মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হয় আর কৃষ্ণের বাঁশির সুরে আনমনা হয়ে পড়ে রাধার মন। বাঁশির সুরে রাধাকে ব্যাকুল করে কৃষ্ণ দূরে সরে আছে। আর এদিকে উন্মনা রাধার কোনো কাজেই যেন মনোযোগ নেই। বড়ায়ির কাছে তার বিশৃঙ্খল রন্ধনকার্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাধা বলছে যে, সুমধুর বাঁশির শব্দ শুনে তার রান্না এলোমেলো হয়ে গেছে। রাধা অম্বল ব্যঞ্জনে ঝাল মসলা দিয়েছে, আর শাকে দিয়েছে কানা ভর্তি পানি। বাঁশির সুরে রাধা রান্নার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। নন্দের নন্দন কৃষ্ণ আড়বাঁশি বাজায়। সেই বাঁশির সুর যেন পিঞ্জরে বন্দি শুকপাখির রবের মতো। তা শুনে রাধা চঞ্চল হয়ে উঠেছে এবং তার মন আনমনা হয়ে পড়েছে। ফলে সে পটল মনে করে কাঁচা সুপারি ঘিয়ে ভেজেছে। টক লেবুর রস চিবে নিমঝোলে দিয়েছে এবং বিনা জলে চাউল চড়িয়েছে। এভাবে কৃষ্ণের বাঁশির সুর শুনে রাধার চঞ্চল মন তার দৈনন্দিন কাজকে ব্যাহত করছে।
Leave a comment