কৃষ্ণদেবের পরবর্তীকালে বিজয়নগর: তালিকোটার যুদ্ধ :

কৃষ্ণদেব রায়ের মৃত্যুর সঙ্গেই শুরু হয় বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অবক্ষয় ও পতনের পর্ব। কৃষ্ণদেব মনোনীত উত্তরাধিকারী অচ্যুত রায়ের বিরুদ্ধে এবং কৃষ্ণদেবের আঠারো মাসের নাবালক সন্তানের পক্ষে সিংহাসন দাবি করেন কৃষ্ণদেবের শ্যালক রাম রায় (রাম রাজা)। অচ্যুত রাম রায়কে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অর্থপ্রদানের বিনিময়ে কোনোক্রমে সিংহাসনে বসান। বিজয়নগরের এই অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে উড়িষ্যার প্রতাপরুদ্র গজপতি এবং বিজাপুরের ইসমাইল আদিল শাহ প্রায় একই সঙ্গে বিজয়নগর আক্রমণ করেন। অচ্যুত গজপতিকে পরাজিত ও বিতাড়িত করলেও আদিল শাহকে বিতাড়িত করতে ব্যর্থ হন। রায়চুর ও মুদ্‌গল আদিল শাহ দখল করে নেন। ঠিক এই মুহূর্তে ত্রিবাঙ্কুরের রাজার মদতে বিজয়নগরের জনৈক মন্ত্রী সেলাপ্পা ওরফে সালুভ নরসিংহ নায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করলে, অচ্যুত রায় আদিল শাহ’কে মোকাবিলা না করেই সরে আসতে বাধ্য হন। ১৫৩২ খ্রিস্টাব্দে অচ্যুত বিদ্রোহীদের দমন করে দক্ষিণ ভারতে নিজ-কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলমাইল আদিল শাহের মৃত্যুর ফলে বিজাপুরের সিংহাসনকে কেন্দ্র করে তাঁর পুত্রদ্বয় মল্লু ও ইব্রাহিমের মধ্যে বিরোধ বাধে। এই সুযোগে অচ্যুত হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন। নুনিজের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, অচ্যুত রায়চুর পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন।

অচ্যুত রায়ের সাফল্যের মূল নায়ক ছিলেন তাঁর শ্যালক তিরুমালা। এদিকে কৃষ্ণদেবের শ্যালক রাম রায় তখন ক্রমশ ক্ষমতার অলিন্দ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে কৃষ্ণদেবের নাবালক পুত্রও মারা গেছে। এখন কৃষ্ণদেবের স্ত্রীর সমর্থন নিয়ে রাম রায় আবার বিদ্রোহী হন। সৈয়দ আলির বিবরণ মতে, তিনি অচ্যুত রায়কে বন্দি করে সমস্ত ক্ষমতা হস্তগত করেন। অল্পদিনের মধ্যেই অচ্যুত রায় বন্দিমুক্ত হলে আবার গৃহযুদ্ধের আবর্তে পড়ে বিজয়নগর।

বিজয়নগরের অন্তর্দ্বন্দ্বের সংবাদে উৎসাহিত হয়ে বিজাপুর সুলতান ইব্রাহিম আদিল শাহবিজয়নগর আক্রমণ করেন। রাম রায় বা অচ্যুত কেউই তাঁকে বাধা দিতে অগ্রসর হয়নি। ইব্রাহিম ‘নাগলপুর শহরটিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেন। তবে অবশ্যম্ভাবী পতনের হাত থেকে বিজয়নগর রক্ষা পায়। ঘটনাচক্রে সেই সময় নিজাম শাহ বিজাপুর আক্রমণ করলে ইব্রাহিম স্বরাজ্যে ফিরে যেতে বাধ্য হন। অচ্যুত রায় প্রভূত অর্থপ্রদানের বিনিময়ে নিজ সিংহাসন ফিরে পান। অতঃপর তাঁর শাসন ছিল কুশাসনের নামান্তর মাত্র। শ্যালকদ্বয়ের পরামর্শে তিনি পরবর্তী ছয় বছর নির্বিচারে প্রজাশোষণ ও পীড়ন চালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতার সমর্থনে মাদুরা, তাঞ্জোর প্রায় স্বাধীন হয়ে পড়ে। তুতিকোরিনে পোর্তুগীজ বণিকদের স্বাধীন উপনিবেশ গড়ে ওঠে। একদা সমৃদ্ধ ও সংহত বিজয়নগর চূড়ান্ত পতনের প্রহর গুণতে থাকে। অচ্যুত রায়ের মৃত্যুর (১৫৪২ খ্রিঃ) পর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র প্রথম ভেঙ্কট। কিন্তু সমস্ত ক্ষমতা থাকে অচ্যুতের শ্যালক তথা ভেঙ্কটের মাতুল শালাকারাজু তিরুমল-এর হাতে। ক্ষমতালোভী মাতুল ভেঙ্কটকে হত্যা করে নিজে সিংহাসনে বসেন। এমনকি সিংহাসন রক্ষার জন্য তিনি বিজাপুরের ইব্রাহিম আদিলকে আক্রমণ করে রাজধানীতে আনতেও দ্বিধা করেননি। এমতাবস্থায় অধিকাংশ অভিজাত রাম রায়ের নেতৃত্বে তিরুমালার বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে সদাশিব (অচ্যুত রায়ের ভাইপো) সিংহাসনে বসলে আপাত বিপর্যয় থেকে বিজয়নগর রাজ্য রক্ষা পায়।

সদাশিব রায়ের শাসনকালে (১৫৪২-‘৭০ খ্রিঃ) বিজয়নগরের প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিল মন্ত্রী রাম রায় ও তাঁর দুই ভ্রাতা তিরুমল ও ভেঙ্কটের হাতে। ড. জি. ভেঙ্কটরাও লিখেছেন : কৃষ্ণদেব রায়ের আমল থেকে রাম রায় ও তিরুমল রাজ্যের বিভিন্ন সংকটের সাথে জড়িত থাকার ফলে স্বাভাবিক নেতৃত্বের অধিকারী হয়েছিলেন। বস্তুত এই মুহূর্তে বিজয়নগরের সামনে যে ত্রিমুখী সমস্যা ছিল, অর্থাৎ (১) বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির মূলোচ্ছেদ করা এবং ত্রিবাঙ্কুরের শাসকের উচ্চাকাঙ্ক্ষা দমন করা, (২) দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে পোর্তুগীজদের প্রভাব রোধ করা এবং (৩) সুযোগসন্ধানী বিজাপুরের আদিল শাহি সুলতানের গতিরোধ করা, —যা মোকাবিলা করার ক্ষমতা সদাশিবের আদৌ ছিল না। এই সংকটকালে রাম রায় বিজয়নগরের হাল ধরেন এবং অতি দক্ষতার সাথে, সাময়িকভাবে হলেও দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেন। ড. ভেঙ্কটকরাও লিখেছেন : “Vijoynagar could witness the revival of the Glories of the days of Krishna Raya, was only due to the vigilance and diplomacy of Ram Raja.” কিছুটা অতিরঞ্জিত হলেও তেলেগু ভাষার ‘রামরাজিয়ামু’ গ্রন্থ থেকে রাম রায়ের দক্ষতা ও কৃতিত্ব সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়।

রাম রায় খুব সহজেই অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে দমন করেন। কিন্তু বাহমনী রাজ্যের ধ্বংসস্তূপের ওপর গড়ে ওঠা মুসলমান রাজ্য-পঞ্চকের উচ্চাশা দমন করা ছিল কষ্টকর। উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রাম রায় সিদ্ধান্ত নেন যে, চিরাচরিত শক্তিপ্রয়োগ নীতি দ্বারা এই সুলতানি রাজ্যগুলিকে দমন করা অসম্ভব। তাই তিনি মুসলিম রাজ্যগুলিতে কুটনীতির দ্বারা বিরোধ ও বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের ক্ষমতা খর্ব করার উদ্যোগ নেন। প্রথমে তিনি আহম্মদ নগরের সুলতান বুরহান নিজাম শাহের সাথে মৈত্রী স্থাপন করে পরপর তিনটি যুদ্ধে বিজাপুরকে পরাজিত করেন। পোর্তুগীজ বণিকদের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করে রাম রায় বিজাপুরকে ঘোড়া সরবরাহ বন্ধ করে দেন। কিন্তু বুরহানের পর হুসেন নিজাম শাহ আহম্মদনগরের সিংহাসনে বসে গোলকুণ্ডার সাথে মিলিতভাবে বিজাপুর আক্রমণ করলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বিজাপুর সুলতান রাম রায়ের সাহায্যপ্রার্থী হন। পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করেন রাম রায়। তাঁর কূটচালে গোলকুণ্ডা পরাস্ত হয়। অতঃপর তিনি ও বিজাপুর মিলিতভাবে আহম্মদনগর আক্রমণ করেন (১৫৫৫ খ্রিঃ)। এই যুদ্ধে বিজয়নগরের হিন্দুসেনারা সম্ভবত অকথ্য অত্যাচার ও ধ্বংসকার্য চালায়। ফেরিস্তার বিবরণ অনুসারে, “হিন্দুসেনার প্রতিহিংসামূলক মনোভাব দ্বারা চালিত হয়ে আহম্মদনগরে ধ্বংস ও হত্যাকাণ্ড চালায়। মসজিদ ধূলিসাৎ হয়, নারীর সম্ভ্রম পদদলিত হয়, এমনকি পবিত্র কোরানও বিজয়ী-বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি।”

ক্রমে রাম রায়ের কূটনৈতিক উদ্দেশ্য মুসলিম রাজ্যগুলির কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। অক্ষমতার দত্তে রাম রায়ও কিছুটা উগ্র হয়ে উঠেন। তিনি ভুলে যান যে, বিজাপুর, গোলকুণ্ডা ইত্যাদি এক-একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাজ্য। তিনি অনেক ক্ষেত্রেই ওই সকল রাজ্যের সূক্ষ্ম অনুভূতিতে আঘাত করেন। ক্রমে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই তাঁর সার্বিক খবরদারিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। শুরু হয় মুসলিম-জোট গড়ার প্রচেষ্টা। হিন্দু বিজয়নগরের বিরুদ্ধে এই মুসলিম জোট গড়ার প্রকৃত উদ্যোক্তা কে, সে বিষয়ে মতানৈক্য আছে। সৈয়দ আলির মতে, আহম্মদনগরের নিজাম শাহ এই কাজের পথপ্রদর্শক ছিলেন। কিন্তু ফেরিস্তার মতে, বিজাপুরের আলি আদিল শাহ ছিলেন এর উদ্যোক্তা। জি. ভেঙ্কটরাও প্রমুখ আধুনিক ঐতিহাসিকদের মতে, এ কাজে মূল ভূমিকা ছিল গোলকুণ্ডার সুলতান ইব্রাহিম কুতুব শাহর। তিনি নিজামশাহি ও আদিলশাহি বংশের মধ্যে মিলন ঘটানোর জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হন। ফলস্বরূপ নিজাম শাহের কন্যা চাঁদবিবির সাথে আদিল শাহের বিবাহ হয়। আবার আদিল তাঁর কন্যার সাথে নিজাম শাহের জ্যেষ্ঠপুত্র মূর্তজার বিবাহ দেন। যাই হোক, এই জোটে বিদর রাজ্যও যোগ দেয়। তবে বেরার এই জোটের বাইরে থাকে।

প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবার পর আদিল শাহ রাম রায়ের কাছে রায়চুর মুদ্গল দাবি করেন। স্বাভাবিক কারণেই রাম রায় এই অন্যায় দাবি নস্যাৎ করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে চার রাজ্যের মুসলিম বাহিনী বিজয়নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা শুরু করে (ডিসেম্বর ১৫৬৪ খ্রিঃ)। রাম রায় প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হন। কৃষ্ণা থেকে সিংহল পর্যন্ত সমস্ত মিত্র ও সামস্তকে তিনি এই যুদ্ধে যোগ দিতে আহ্বান জানান। কৃষ্ণা নদীর তীরে দুই বাহিনী মুখোমুখি হয়। ‘রাখসস্’ ও ‘তাংদি’ নামক গ্রামের সন্নিকটে শুরু হয় সংগ্রাম। এটিই ইতিহাসে তালিকোটার যুদ্ধ (১৫৬৫ খ্রিঃ) নামে খ্যাত। রাম রায় ও তার দুই ভ্রাতা বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়নগর পরাজিত হয়। মুসলমান পদাতিক, অশ্বারোহী, তিরন্দাজ বাহিনীর দক্ষতা এবং বিজয়নগরের দুজন মুসলমান সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতার ফলে মুসলিম জোট বিজয়ী হয়। হুসেন নিজাম শাহ স্বহস্তে রাম রায়কে হত্যা করেন। মুসলিম বাহিনী চালায় অবর্ণনীয় অত্যাচার, লুণ্ঠন ও ধ্বংস। ফেরিস্তার মতে, প্রায় এক লক্ষ হিন্দু এই যুদ্ধে নিহত হয়। অবাধ লুণ্ঠনের ফলে প্রতিটি মুসলমান সৈনিক প্রভূত সম্পদের অধিকারী হয়। সমগ্র বিজয়নগর পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। বিজয়ী-বাহিনীর অভূতপূর্ব ধ্বংসলীলা বর্ণনা করে Sewell তাঁর ‘A forgotton Empire গ্রন্থে লিখেছেন : “শত্রুপক্ষ বিজয়নগর ধ্বংস করতে এসেছিল এবং সে কাজ তারা অবিশ্রান্তভাবেই সম্পন্ন করেছে। নির্দয়ভাবে হিন্দুদের হত্যা করেছে, ধ্বংস করেছে মন্দির, দেবমূর্তি ও প্রাসাদরাজির…..পৃথিবীর ইতিহাসে এরূপ ধ্বংসলীলা সম্ভবত আর ঘটেনি।” তাঁর ভাষায় : “Never perhaps in the history of the world has such havoc been wrought, and wrought so suddently, on so splendid a city.”

ড. ঈশ্বরীপ্রসাদ তালিকোটার যুদ্ধকে বিজয়নগর রাজ্যের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বলে অভিহিত করে লিখেছেন যে, এই যুদ্ধে বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা বিজয়নগরের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এর পরেও বিজয়নগর রাজ্যের অস্তিত্ব অরবিডুবংশীয় তিরুমল, দ্বিতীয় রঙ্গ, দ্বিতীয় ভেঙ্কট, তৃতীয় রঙ্গ প্রমুখের নেতৃত্বে হয়তো কিছুকাল টিকেছিল; কিন্তু অতীতের মর্যাদা ও প্রতিপত্তি সে কখনোই পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। তালিকোটার বিপর্যয় এবং অবাধ ধ্বংসকার্যের ফলে বিজয়নগরের আর্থিক মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। স্বভাবতই রাজনৈতিক প্রতিপত্তি পুনরুদ্ধার তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ত, তালিকোটার যুদ্ধের ধাক্কা থেকে পোর্তুগীজদের বাণিজ্যও রক্ষা পায়নি। এই যুদ্ধের ফলে দক্ষিণ ভারতের বহু ব্যস্ত বাজার ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে পোর্তুগীজদের সম্ভার বাজারজাত করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তৃতীয়ত, মুসলমান রাজ্যগুলির পক্ষেও এই যুদ্ধ শুভ ছিল না। আপাতভাবে তালিকোটার যুদ্ধ মুসলমানদের ঐক্য ও সাফল্যের প্রতীক। কিন্তু এর পরিণতি ছিল ক্ষতিকর। হিন্দুরাজ্য বিজয়নগরের সদর্প উপস্থিতি মুসলিম রাজ্যগুলির মধ্যে ঐক্যবন্ধনের উপাদান হিসেবে কাজ করত। কিন্তু এই রাজ্যের বিপর্যয় তাদের মনে একধরনের সামরিক নিস্পৃহতার জন্ম দিয়েছিল এবং তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে এনেছিল। তাই বলা চলে, ‘তালিকোটার যুদ্ধ’ যদি বিজয়নগর রাজ্যকে ধ্বংস করে, তাহলে এই যুদ্ধই মুসলমান রাজ্যগুলির পতনের পথও প্রশস্ত করে দিয়েছিল।