‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
মধুসূদনের শ্রেষ্ঠ নাটক কৃষ্ণকুমারী। কৃষ্ণকুমারী উদয়পুরের রাজা ভীমসিংহের কন্যা। অপরূপা সুন্দরী কৃষ্ণকুমারীকে বিয়ে করার প্রস্তাব আসে জয়পুরের রাজা জগৎসিংহের কাছ থেকে। জগৎসিংহের রক্ষিতা বিলাসবতী এ বিয়ে বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়। বিলাসবতীর দূতী মদনিকার কৌশলে কৃষ্ণকুমারী মানসিংহের প্রতি অনুরোধ করবেন, কিন্তু মানসিংহ কৃষ্ণকুমারীকে বিয়ে করতে আগ্রহী জেনে তিনি মহাসংকটে পড়লেন। উদয়পুরের শত্রু মহারাষ্ট্রপতি এবং মুঘল শক্তি মানসিংহের সমর্থক। জয়সিংহ এবং মানসিংহ উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই স্থির করলেন কৃষ্ণকুমারীকে না পেলে উদয়পুর আক্রমণ করবেন। ভীমসিংহের মন্ত্রী কৃষ্ণাকে হত্যা করতে পরামর্শ দিলেন, কৃষ্ণার মৃত্যুই এ সংকট হতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়। দুঃসহ মানসিক দ্বন্দ্বে ভীমসিংহ উন্মাদগ্রস্ত হলেন। ভীমসিংহের ভ্রাতা বলেন্দ্র কৃষ্ণাকে হত্যা করবে স্থির করলেন, কিন্তু তার আগে কৃষ্ণা আত্মহত্যা করল। এ কাহিনি রাজস্থানের ইতিহাস থেকে সংগৃহীত। ইতিহাস অবলম্বনে এ প্রথম বাংলায় নাটক লেখা হলো। আর এটাই মূলত কৃষ্ণকুমারী নাটকের মূল কাহিনি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment