বাংলা গদ্যের প্রাথমিক নিদর্শন কোনটি? সংক্ষেপে লেখ

উত্তর: ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও শ্রীরামপুর মিশনকে কেন্দ্র করেই বাংলা গদ্যের প্রচলন হয়। অথচ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বয়স হাজার বছরেরও অধিক। অবশ্য গবেষকগণ অনেক অনুসন্ধানের পর আগেকার বাংলা গদ্যের ছিটেফোঁটা কিছু নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন। ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ উনিশ শতকের আগেকার বাংল’ পদ্যের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। রোমান ক্যাথলিক পর্তুগিজ পাদ্রি মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁও ১৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি রচনা করেন এবং পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে রোমান হরফে মুদ্রণ করেন। গ্রন্থটি ঢাকার ভাওয়াল এলাকার নাগরী নামক স্থানে লিখিত।

গ্রন্থের বাম পৃষ্ঠায় বাংলা এবং ডান দিকের পৃষ্ঠায় পর্তুগিজ ভাষায় গুরু ও শিষ্যের কথোপকথন বর্ণিত হয়েছে। এগুলোর আলোচ্যবিষয় ধর্মগুরু ও শিষ্যে ধর্ম বিচারচ্ছলে খ্রিষ্টধর্মের মাহাত্ম্য বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করা। মনে করা হয় গ্রন্থটির মূল পর্তুগিজ অংশ মনোএল দ্যা আসসুম্পসাঁও এর লেখা এবং বাংলা অংশ দেশীয় কোন খ্রিষ্টান কর্তৃক রচিত। গ্রন্থকার ঢাকার ভাওয়ালে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের সময় গ্রন্থটি রচনা করেছেন বিধায় এতে ভাওয়াল এলাকার আঞ্চলিক শব্দ বয়েছে। গ্রন্থটির রচনারীতি সহজ নয়। পর্তুগিজ থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে গিয়ে অনুবাদক ভাষাবিন্যাসে শৃঙ্খলা আনতে পারেননি। এজন্য গ্রন্থটি অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বোধ্য।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।