অথবা, কুকুরীপা সম্পর্কে যা জান লেখ।
অথবা, কুকুরীপা কী মহিলা কবি ছিলেন প্রমাণস্বরূপ আলোচনা কর।
উত্তর: চর্যাপদের ধারায় বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন কবিদের মধ্যে কুকুরীপা অন্যতম। তিনি চর্যাপদের একজন বিখ্যাত কবি। তিনি ছিলেন খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকের কবি। অর্থাৎ তার জীবৎকালের উচ্চতম সীমা ছিল ৮৪০ সাল। তাঁর রচিত পদের সংখ্যা দুটি- ২ ও ২০ সংখ্যক। মনে করা হয়, খুঁজে না পাওয়া ৪৮নং পদটিও তাঁর রচনা। সে হিসেবে ৩টি। কুকুরীপা মহিলা কবি ছিলেন কি না সে বিষয়ে সুনিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে ড. সুকুমার সেনের মতে, কুকুরীপার ভাষার সঙ্গে নারীদের ভাষার মিল আছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, কুকুরীপা বাংলাদেশের লোক। কারো কারো মতে, তিনি তিব্বতের কাছাকাছি কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি ইন্দ্রভূতির অন্যতম গুরু। রাহুল সংকৃত্যায়নের মতে, কুক্কুরীপা দেবপালের রাজত্বকালে বর্তমান ছিলেন। সেই হিসেবে তাঁর জন্মস্থান কপিলবস্তু এবং তাঁর জন্মা হয়েছিল ব্রাহ্মণ বংশে। তিনি ছিলেন অন্যতম সিদ্ধা। তারানাথের মতে, একটি কুকুরী সর্বদা সঙ্গে রাখতেন বলে এই সিদ্ধা কুকুরীপা নামে পরিচিত। কুকুরী প্রকৃত চর্যার পদসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এর ভাব ইতর, ভাষা গ্রাম্য। কুকুরীপা রচিত অতি পরিচিত দুটি পক্তি হলো-
১. দিবসহি বহুড়ী কাউহি ডর ভাই
রাতি ভইলে কামরু জাই।
চর্যা-২
অর্থাৎ দিনে বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় কিন্তু রাত হলেই
সে কামরূপ যায়।
Leave a comment