ক্লাইভ স্ট্রিট : ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের এক বিশাল মিছিল বেরিয়েছিল ক্লাইভ স্ট্রিটে। মিছিলটির নেতৃত্বে ছিল তিনটি দল— কংগ্রেস, মুসলিম লিগ ও ছাত্র নওজওয়ান। রাইফেলধারী পুলিশ সে মিছিলের পথরােধ করে হঠাৎই সেই মিছিলের উপর বেটন হাতে ঝাপিয়ে পড়ে। গর্জে ওঠে কাদুনে বােমা। ফলে প্রচুর ছাত্রের শারীরিক ক্ষতি হয়।
মুচিপাড়া থানা : বউবাজার স্ট্রিটের কংগ্রেস অফিস থেকে ইংরেজের গােরা সার্জেন্ট ও লাল পাগড়িওয়ালা পুলিশ এক নেতাকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যায়। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে বিশাল জনতাও সেই ভ্যানের সঙ্গে সঙ্গে যায়। ভ্যানটি মুচিপাড়া থানার সামনে এসে থামলে লােকারণ্য হয়ে যায়।
রাজাবাজার বস্তি : রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, বিড়ি শ্রমিক, কলকারখানার মজুর—এইসব গরিব লােকের বাস ছিল রাজাবাজার বস্তিতে। স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী কদম রসুল থাকত এই বস্তিতেই। অসম্ভব সাহসী ও উদার মনের কদম রসুল ছিল গ্যাস কোম্পানির ইউনিয়নের এক বড়াে নেতা। বস্তির সবাই তাকে ভালােবাসত। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার মৃত্যু হলে বস্তির বাকিরা চাদা তুলে কদমের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিতে সচেষ্ট হয়।
চিনেপাড়া : লেখক পুরােনাে বাড়ি ছেড়ে ফিরিঙ্গি পাড়ায় নতুন ভাড়া বাড়িতে উঠে আসার পর একদিন হাঁটতে হাঁটতে চিনেপাড়ায় গিয়ে দেখেন আবগারি পুলিশ বেআইনি মদের জালা ধরে নিয়ে আসছে। দু-বগলে ক্রাচ নিয়ে ঘােরা ইনফর্মারের দৌলতে গাঁজা আফিঙের বে-আইনি ঠেক থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়া লােকেদের জামিনদার হয় চিনেপাড়ার জুতাের দোকানের মালিক চিং- থাই। সারাদিন ধরে লেখক চিনেপাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে এইসব দৃশ্যই দেখতেন।
খিদিরপুর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানিরা দিনের বেলা বােমা ফেলেছিল খিদিরপুরে। এর ফলে ডকের অনেক মজুর মারা গিয়েছিল।
Leave a comment