আসসালামু আলাইকুম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যোগ দিন সীমান্ত রক্ষায় গর্বের অংশীদার হোন। আপনারা অনেকেই জানেন না, কি কি সমস্যা থাকলে বিজিবি চাকরি হয় না। আমাদের দেশে হাজার তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন বর্ডার গার্ডের যোগ দেওয়ার, কিন্তু আপনার কিছু ভুলের কারণে হয়তো আপনার স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে। সকল যোগ্যতা থাকার পরেও অনেকে চাকরি মাঠ থেকে বাদ পড়ে যায়। তাদের বাদ পড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে সামান্য কিছু ভুল। হাজার হাজার প্রার্থীদের মাঝে আপনার সামান্য কিছু ভুল থাকলে বাদ পড়তেই হবে। এমন যেসব ভুল গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আর্টিকেল। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, শারীরিক যোগ্যতার থাকার পরও কি কি সমস্যা থাকলে বিজিবি চাকরি হয় না।

 

কি কি সমস্যা থাকলে বিজিবি চাকরি হয় না

কি কি সমস্যা থাকলে বিজিবি চাকরি হয় না : আমি আজকে ৯ টি সমস্যার কথা বলবো যে সমস্যা আপনার মধ্যে থাকলে আপনি কখনো বিজিবি চাকরি হবে না। সেগুলো হলো : কোন মামলা থাকলে, সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে, ভুল তথ্য দেয়া, মাদক সেবন করা, সাঁতার না জানা, বয়স বেশি হওয়া, অবিবাহিত না হওয়া, মাঠে ভূল কাগজপএ নেয়া, মাঠে শান্ত না থাকা। এসব সমস্যা থাকলে আপনি বিজিবি মাঠ থেকেই বাদ পড়ে যাবেন।

কোন মামলা থাকলে

আপনি যদি কোনও ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন বা থানায় যদি আপনার নামে কোন প্রকার মামলা থাকে তাহলে আপনার বিজিবিতে চাকরি হবে না। শুধু বিজিবি তে নয়, আপনার কোন ডিফেন্সে চাকরি হবে না।

বরখাস্ত হয়ে থাকলে

আপনি যদি কোনো সরকারি চাকরিতে বরখাস্ত বা অপসারিত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার বিজিবিতে চাকরি হবে না।  অর্থাৎ আপনি যদি কোনো সরকারি চাকরি হইতে স্বেচ্ছায় বা আপনার কোন অপকর্মের জন্য বরখাস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে চাকরি হবে না।

 

ভুল তথ্য দেয়া

চাকরির আবেদনে বা কাগজপত্র কোন প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। যদি কোন প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে আপনার চাকরি তো হবেই না বরং আপনাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলবো, চাকরির আবেদনে বা কাগজপত্র কোন প্রকার ভুল তথ্য দিবেন না।

 

মাদক সেবন করা

মাদক হইতে সাবধান বিজিবিতে ভর্তি পরীক্ষার সময় মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিক্ষার করার জন্য, ডপ টেস্ট করানো হয়। সেই টেস্ট টিতে যদি মাদকাসক্ত প্রমাণিত হয় তাহলে চাকরি মাঠ থেকে বাদ পড়তে হবে। মাদক একটি জীবনকে ধ্বংস করার জন্য যতেষ্ঠ। তাই আসুন আমরা মাদককে না বলি, সুন্দর একটি দেশ গড়ি।

 

সাঁতার না জানা

বিজিবিতে ভর্তি-ইচ্ছুক পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে। আপনার যদি লক্ষ থাকে বাংলাদেশ বিজিবিতে যোগ দেওয়া তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে। সাঁতার শুধু চাকরির ক্ষেত্রে নয়, এটি আপনার জীবনের সেফটি হিসেবে কাজে দিবে। তাই নিজের প্রয়োজনের জন্য হলেও সাঁতার জানা টা জরুরি।

 

বয়স

আপনার বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স একদিন কমবেশি হলে আপনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাই বিজিবিতে যোগ দিতে হলে বয়স অবশ্য সঠিক থাকতে হবে।

 

অবিবাহিত না হওয়া

প্রার্থী যদি বিবাহিত হয়ে থাকে বা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তাহলে বিজিবিতে চাকরি হবে না। আপনার যদি লক্ষ থাকে বিজিবিতে চাকরি করা তাহলে আপনাকে অবশ্যই অবিবাহিত থাকতে হবে। আপনার চাকরি হওয়ার পর তারাই আপনাকে সময় দিবে বিয়ে করার জন্য। সেই সময় আপনাকে বিয়ে করতে হবে, তার আগে কোনো ভাবেই করা যাবেনা।

 

সঠিক কাগজপএ নিয়ে না নিয়ে যাওয়া

বিজিবি মাঠে প্রবেশের আগে অবশ্যই সকল কাগজপত্র ভালো করে চেক করে প্রবেশ করতে হবে। কাগজপত্রের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি কাগজে সামান্য ভুল থাকলে প্রার্থীকে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হবে। তাই কাগজপত্র খুব ভালো করে চেক করে নিবেন এবং চাকরির মাঠে যাওয়ার সময় খুব যত্ন করে রাখবেন। মনে রাখবেন একটি ভুলের কারণে আপনাকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে হতে পারে।

 

মাঠে শান্ত না থাকা

মাঠে প্রবেশের পর কোন ঝামেলা করা যাবে না। কারণ প্রার্থী মাঠে প্রবেশের পর থেকেই তাকে ফলো করা হয়। তাই মাঠে প্রবেশের পর থেকেই যথাসম্ভব নম্র ভদ্র ভাবে থাকতে হবে। প্রার্থীর কোন অশ্লীল কাজ তাদের চোখে পড়লে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হবে।

 

তো এই ছিল : কি কি সমস্যা থাকলে বিজিবি চাকরি হয় না আর্টিকেল । এরকম আর্টিকেল পেতে চাইলে তোহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আল্লাহ হাফেজ।